ঘুরে আসুন নতুন সি-বিচে,

কর্মব্যস্ত জীবনের সীমানা পেরিয়ে মাঝে মধ্যেই ছুটে যেতে ইচ্ছা করে নৈসর্গিক কোনও নতুন পরিবেশে। যেখানে নেই কোনো কাজের তাড়া, নেই কোনো পিছুটান। রোজকার একঘেয়েমি বিরক্তিকর জীবন থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই বেরিয়ে পড়েন মনের মতো জায়গার খোঁজে‌। এমতাবস্থায় এই বর্ষাকালে(Rainy Season) সবাইকার প্রথম পছন্দ হলো সমুদ্র(Sea)।

সমুদ্রের মাদকতাকে উপেক্ষা করে এই সাধ্যি কার? এমনিতেই আমরা এমন এক দেশে থাকি যার তিনদিক সমুদ্রে ঘেরা। আর তারসাথে আমাদের দেশের প্রতিটি সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য সত্যিই নজর কাড়ার মতো। তবে বাঙালিরা সমুদ্র বলতে সচরাচর দীঘা বা পুরিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকে। এমতাবস্থায় আপনি যদি দীঘা বা পুরি যেতে না চান তাহলে অবশ্যই এই সমুদ্র সৈকত ঘুরে আসা উচিত।

একথা কী জানেন উড়িষ্যায় পুরি ছাড়াও আরো একটি অপূর্ব জায়গা রয়েছে। জায়গাটির নাম বাগদা সি বিচ। এটি উড়িষ্যার বালাসোরে অবস্থিত। এই সমুদ্র সৈকতটি সদ্য তৈরি হলেও এখানের প্রাকৃতিক শোভা এতটাই অপূর্ব যে পৌঁছানো মাত্র প্রকৃতিক কোলে হারিয়ে যেতে মন চাইবে।

প্রসঙ্গত, এই বিচটি সদ্য তৈরি হওয়ায় খুব কম মানুষই এর সম্পর্কে অবগত। তাই ভিড়ও হয় খুব কম, সেই কারণে একে ‘ভার্জিন সি বিচ’ ও বলা হয়ে থাকে। এর সাথে আরো জানিয়ে রাখি, লোক সমাগম কম হওয়ায় এখানে বিলাসবহুল হোটেল কিন্তু পাওয়া যায়না। তাই রাত কাটাতে চাইলে ঝাউ গাছের নীচে টেন্ট বানিয়ে থাকতে হবে।

তাই কেউ যদি শহুরে জীবনের সব স্ট্রেস কাটিয়ে নতুন কোনো অভিজ্ঞতা বা অ্যাডভেঞ্চারের শখ থাকে তাহলে তার জন্য এই জায়গা আদর্শ। তবে সমুদ্রে ঘোরার জন্য বোটের ব্যবস্থা রয়েছে এখানে। আর সমুদ্র তটে বিশেষ লোক না থাকায় আরাম করে সমুদ্রের মজাও নিতে পারবেন। তাই শহুরে জীবন থেকে কয়েক দিন ছুটি নিয়ে একটু বিশ্রামের ইচ্ছা যদি থাকে তবে অবশ্যই ঘুরে আসুন এই বাগদা সি বিচ।

এখন প্রশ্ন হলো, যাবেন কীভাবে? প্রথমেই ব্যাগ পত্তর প্যাক করে হাওয়া কিংবা সাঁতরাগাছি থেকে বালাসোরের ট্রেন ধরুন। এখানে নেমে অটো কিংবা বাস ধরে নেমে পড়ুন বাগদা সি বিচে। তাহলে হে ভ্রমণ রসিক অপেক্ষা কিসের!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: