মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

ঘুরে আসুন চেন্নাই

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

দক্ষিণ ভারতের অন্যতম শহর চেন্নাই। এটি তামিলনাড়ু অঙ্গরাজ্যের রাজধানী। ব্রিটিশ ভারতে অঞ্চলটি মাদ্রাজ নামে পরিচিত ছিল। এখানে রয়েছে অনেক দর্শনীয় স্থান। আজ আপনাদের জানাবো চেন্নাইয়ে অবস্থিত ১০টি দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে:

১. মেরিনা সমুদ্রসৈকত 

চেন্নাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হচ্ছে মেরিনা সমুদ্রসৈকত। পর্যটকরা প্রতি বছর এখানে আসেন। সমুদ্রমন্থনে সব বয়সের মানুষকে দেখা যায়। বিশেষ করে মধুচন্দ্রিমাযাপনরত দম্পতিকে এখানে বেশি দেখা যায়। সুন্দর সময় কাটানোর জন্য আপনিও ঘুরে আসতে পারেন চোখ জুড়ানো এই সমুদ্রসৈকত থেকে।

২. এলিয়টের সমুদ্রসৈকত 

মেরিনা সমুদ্রসৈকতের পরেই রয়েছে এলিয়টের সমুদ্রসৈকত। এই সমুদ্রসৈকতে বন্ধু কিংবা আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে প্রতি বছর হাজারো পর্যটক আসেন। এছাড়া অনেক দম্পতিকেও এখানে দেখা যায়। এই সমুদ্রসৈকতের আরেক নাম বেসান্ত সমুদ্রসৈকত। খাবার।

৩. আস্থালক্ষ্মী মন্দির 

চেন্নাইয়ে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিদ্যা ও অর্থের দেবী আস্থালক্ষ্মীর মন্দিরটি বেশ প্রাচীন। বেসান্ত সমুদ্রসৈকত থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত মন্দিরটি ভ্রমণের জন্য উৎকৃষ্ট জায়গা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের জন্য এটি একটি পবিত্র জায়গা। এখানে ভ্রমণ করলে মন ভালো হবে আপনারও।

৪. সরকারি মিউজিয়াম 

চেন্নাইয়ে অবস্থিত সরকারি মিউজিয়ামে রয়েছে প্রাচীন যুগের নিদর্শন। পর্যটকদের কাছে জায়গাটি খুব পছন্দের। প্রাচীন যুগের নিদর্শন দেখার জন্য বহু পর্যটক জায়গাটি ভ্রমণের জন্য বেছে নেন। ইতিহাস সম্পর্কে যদি আপনিও আগ্রহী হন তাহলে ঘুরে আসতে পারেন চেন্নাইয়ের সরকারি মিউজিয়াম থেকে।

৫. গুইন্ডি ন্যাশনাল পার্ক 

এটি একটি চিড়িয়াখানা। এখানে রয়েছে ৩০০ প্রজাতির বৃক্ষ ও চারাগাছ, ১৫০ প্রজাতির পাখি এবং ১৫ প্রজাতির প্রাণী। পর্যটকদের কাছে এটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় জায়গা। একজন প্রকৃতিপ্রেমী হিসেবে ঘুরে আসতে পারেন গুইন্ডি ন্যাশনাল পার্ক থেকে। এখানে এলে নানা প্রজাতির গাছ ও প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারবেন।

৬. শ্রীপার্থসারথী মন্দির 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্য বিষ্ণুর মন্দির এটি। তারা বিষ্ণুকে পার্থসারথী হিসেবে ভক্তি করে থাকে। শ্রীপার্থসারথী মন্দির অষ্টম শতকে নির্মিত হয়েছিলো। মন্দিরটি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়।

৭. কাপালিশ্বরের মন্দির 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্য শিবের মন্দির এটি। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠার পর  পর্তুগিজদের দ্বারা লুণ্ঠিত হয় এবং পরবর্তীতে বিজয়নাগরা সাম্রাজ্য কর্তৃক তা পুনঃপ্রতিষ্ঠা হয়। মন্দিরটির পুরাকীর্তি দ্রাবিড় যুগ ও বিজয়নাগরা সাম্রাজ্যের সমন্বয়ে তৈরি। পর্যটকদের কাছে এটি জনপ্রিয় জায়গা।

৮. কননেমারা পাবলিক লাইব্রেরি 

বইপ্রেমীদের কাছে একটি পছন্দের জায়গা হলো কননেমারা পাবলিক লাইব্রেরি। লাইব্রেরিটিতে রয়েছে ভারত থেকে প্রকাশিত সব ধরনের গবেষণাভিত্তিক বই। ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব, চারুকলা থেকে শুরু করে সমসাময়িক গবেষণা জার্নাল পর্যন্ত সব বই এখানে পড়া যাবে।

৯. মুরুন্ডেশ্বরের মন্দির 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্য শিবের মন্দির এটি। সব বয়সের পর্যটকরা মন্দিরটি থেকে ঘুরে আসেন। এটি একাদশ শতাব্দিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়। মুরুন্ডেশ্বরের মন্দির দ্রাবিড় যুগের স্থাপত্যে নির্মিত হয়।

১০. স্বামী বিবেকানন্দের বাসভবন 

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে মহতী ব্যক্তিত্ব স্বামী বিবেকানন্দ ১৯০০ সালের দিকে এই বাসভবনে বসবাস করেছেন। বাসভবনটি দোতলাবিশিষ্ট। এখানে দেশি-বিদেশি সব বয়সের পর্যটক বেড়াতে আসেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com