ভ্রমণপিপাসুদের মধ্যে যাঁরা সমুদ্রে বেড়াতে ভালোবাসেন, তাঁরা পছন্দের তালিকায় মালয়েশিয়াকে রাখতে পারেন ওপরের দিকে। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এ দেশে প্রতিবছরই বিপুলসংখ্যক পর্যটক যান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। চলুন সংক্ষেপে জেনে নিই দেশটি সম্পর্কে। ভৌগোলিক অবস্থান নানা বর্ণ, ধর্ম আর সংস্কৃতির মানুষের দেশ মালয়েশিয়া। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কেন্দ্রে দেশটির অবস্থান। প্রধানত দুই খণ্ডে বিভক্ত দেশটি; পশ্চিম মালয়েশিয়া ও পূর্ব মালয়েশিয়া। প্রায় ৪০ মাইল বিস্তৃত সমুদ্র আলাদা করে রেখেছে দেশটির দুই অংশকে। মোট আয়তন তিন লাখ ২৯ হাজার ৭৫৪ বর্গকিলোমিটার। পূর্ব মালয়েশিয়ায় রয়েছে দুটি বড় রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রনিয়ন্ত্রিত এলাকা। আর পশ্চিম মালয়েশিয়ায় রয়েছে ১১টি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত এলাকা। দর্শনীয় স্থান মালয়েশিয়া ভ্রমণের জন্য আকর্ষণীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে টুইন টাওয়ার, দাতারাস মারদেকা (মারদেকা স্কয়ার), সুলতান আব্দুল সামাদ বিল্ডিং, মার্কেট স্কয়ার, পাসার সেনি (সেন্ট্রাল মার্কেট), কেএল রেলওয়ে স্টেশন, মালয়েশিয়া টুরিজম সেন্টার (এমএটিআইসি), দ্য হেরিটেজ সেন্টার, লিটল ইন্ডিয়া প্রভৃতি।
খাবার ও সংস্কৃতি এশিয়ার খাদ্যস্বর্গ হিসেবে পরিচিত এই মালয়েশিয়া। নানা বর্ণ, ধর্ম আর সংস্কৃতির মানুষের অবস্থানের ফলে এখানকার খাবারও বেশ বৈচিত্র্যময়। মালয়, চায়নিজ ও ভারতীয় নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায় বিভিন্ন রোস্তোরাঁয়। পথের পাশের দোকানেও খুব কম দামে খাবার পাওয়া যায়। এ ছাড়া রয়েছে মধ্যপ্রাচ্য এবং থাইল্যান্ডের খাবার। নানা সংস্কৃতির মানুষের নানা উৎসবের মাধ্যমে মালয়েশিয়ার সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যও ফুটে ওঠে। সঙ্গে যা রাখা জরুরি ভ্রমণের সময় এক ঋতুর দেশ বলে পরিচিত মালয়েশিয়ায় শুধু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাসে হালকা ঠাণ্ডা পড়ে। ভারী শীতের কাপড়ের খুব একটা দরকার পড়ে না। তবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কক্ষে ভারী জামাকাপড়ের দরকার হতে পারে।
এ ছাড়া মালয়েশিয়ায় প্রচুর বৃষ্টি হয়। তাই রেইনকোট সঙ্গে রাখা ভালো। এ ছাড়া ভ্রমণের জন্য সুকটেস অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি জিনিস। তবে এটা কেনার আগে অবশ্যই এর আকারের প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। সুটকেসের আকার ২৪ থেকে ২৬ সাইজের মধ্যে হলেই ভালো। মোট কথা বহনের সুবিধা, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নেওয়া এবং ওজনের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, উড়োজাহাজ ভেদে সর্বোচ্চ ৩০ কেজি পর্যন্ত মালামাল বিনা শুল্কে বহন করা যায়।