‘গ্রিন কার্ড কাদের বাতিল হচ্ছে, কেন বাতিল হচ্ছে, বাতিল হওয়ার প্রক্রিয়াটা কী? গ্রিন কার্ড চাইলে সরাসরি বাতিল হয় না।’ অ্যামেরিকায় স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের জন্য দরকার হয় গ্রিন কার্ড। অনেকের কাছে এটি সোনার হরিণ হিসেবে পরিচিত। গ্রিন কার্ডের মাধ্যমে একজন বিদেশি অ্যামেরিকায় বসবাসের অনুমতি পেলেও কিছু কিছু কারণে কার্ডটি বাতিল হতে পারে। এ কার্ড বাতিলের প্রক্রিয়াটি টিবিএন অ্যানালাইসিসের সঞ্চালক রানা আহমেদকে জানিয়েছেন অ্যাটর্নি ও নিউ ইয়র্ক সিটির কুইন্সের ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ মঈন চৌধুরী।
টিবিএন: বিষয়টা যে আগেও ছিল, তবে তেমন একটা বেশি দেখা যেত না বা খুব বড় কারণ ছাড়া সেটি হতো না, কিন্তু ইদানীংকালে আমরা দেখছি, ছোটখাটো কারণেও অনেক ক্ষেত্রেই যে গ্রিন কার্ডটা বাতিল করা হচ্ছে। আপনার কাছে প্রশ্ন হচ্ছে যে, এই বাতিল যদি করা হয়ে থাকে, কেন হচ্ছে, কী কারণে হচ্ছে কাদেরকে এ ধরনের গ্রিন কার্ড পাওয়ার পরও এই গ্রিন কার্ডগুলা, যেটাকে আমরা সোনার হরিণ বলতে পারি, সেটি বাতিল হচ্ছে।
আর যদি বাতিল হয়ে যায়, সেই বাতিলের আবার ফিরে পাওয়া বা প্রতিকারের উপায়গুলো কী আছে, সে বিষয়গুলো নিয়ে আপনার কাছে শুনতে চাই, যাতে করে যাদের ক্ষেত্রে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তারা যাতে প্রতিকার পেতে পারে এবং ভবিষ্যতে কারও যাতে না হয়, তাদের নেগলিজেন্সের কারণে হোক বা যেকোনো কারণেই হোক, তাদের যাতে বাতিল না হয়, সেই বিষয়টিও আপনি বিস্তারিতভাবে তুলে ধরবেন।
মঈন চৌধুরী: গ্রিন কার্ড কাদের বাতিল হচ্ছে, কেন বাতিল হচ্ছে, বাতিল হওয়ার প্রক্রিয়াটা কী? গ্রিন কার্ড চাইলে সরাসরি বাতিল হয় না, কিন্তু বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। গ্রিন কার্ড বাতিলের প্রক্রিয়া হচ্ছে যদি কাউকে গ্রিন কার্ড বাতিল করতে হয়, একটা ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে যাওয়া লাগে। ইউএসসিআইএসের আন্ডারে গ্রিন কার্ড হয়। আর পাসপোর্ট যে বাতিল হয়, তখন হয় স্টেইট ডিপার্টমেন্টের আন্ডারে। তখন তো ফেডারেল কোর্টে যেতে হয়। আর গ্রিন কার্ড বাতিলের প্রক্রিয়া হচ্ছে ইউএসসিআইএস যেটা করে, সেটা ইমিগ্রেশন কোর্ট করে। যেহেতু ইমিগ্রেশন কোর্টের ক্ষমতার মধ্যে পড়ে এটা।
গ্রিন কার্ড বাতিলের প্রক্রিয়া হচ্ছে প্রথমে তাকে এনটিএ ইস্যু করা হবে। নোটিশ টু অ্যাপিয়ার। যদি কোনো কারণে মনে করে যে, গ্রিন কার্ডটা বাতিলের যোগ্য তখন তাকে নোটিশ টু অ্যাপিয়ার দেবে। যখনই কাউকে নোটিশ টু অ্যাপিয়ার সার্ভ করা হয়, দ্যাট ইজ কলড ইউ আর ইন রিমোভাল প্রসিডিংস (আপনি বিতাড়ন প্রক্রিয়ায় আছেন)। সিটিজেনশিপের সময় সবসময় একটা প্রশ্ন থাকে। এটার সাথেই বলছি। আপনার কখনও বহিষ্কারের জন্য প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল কি না। যদি ইয়েস হয়, ইউ আর নট এলিজিবল ফর সিটিজেনশিপ (আপনি নাগরিকত্ব পাওয়ার যোগ্য নন)।
তো এ ক্ষেত্রে যখনই নোটিশ টু অ্যাপিয়ার সার্ভ করা হয়, সে সময় তার গ্রিন কার্ডটা বলবৎ নাই। দ্যাট মিনস কোর্ট থেকে তাকে গ্রিন কার্ড না দিলে সে আর গ্রিন কার্ড পাচ্ছে না। সে যদি দেশের বাইরে যায়, সে আর ঢুকতে পারবে না। হি উইল রিমুভ ইন অ্যাবসেনশিয়া (অনুপস্থিত অবস্থায় তাকে বিতাড়ন করা হবে)।