বাংলাদেশে গত সপ্তাহে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার মিচেল ব্যাচেলেটের সফরের সময় চারদিন ধরে বার বার সরকারের নেতাদের তার মুখ থেকে বিচার-বহির্ভূত হত্যা এবং বহু মানুষের লাপাত্তা হয়ে যাওয়ার অভিযোগ নতুন করে শুনতে হয়েছে।
তাদেরকে সে সব অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে, খণ্ডন করতে হয়েছে।
মিজ ব্যাচেলেট ঢাকায় যেদিন নামেন সেদিনেই পরপর সরকারের তিনজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীর – স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং আইন – সাথে দেখা করে গুম, খুন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জেরে সাংবাদিক হয়রানি নিয়ে তার উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
বুধবার ফিরে যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দেখা করেও তিনি এসব বিষয় তোলেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিবিসিকে বলেন, মিজ ব্যাচেলেট তাদের কাছে একটি তালিকা দেন যেখানে ৭৬ জনের নাম ছিল যারা নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক হওয়ার পর থেকে লাপাত্তা বলে অভিযোগ। মন্ত্রী বলেন, তিনি জাতিসংঘ কর্মকর্তাকে বলেছেন গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে অভিযোগ এলেই তদন্ত করেন।
“গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। সুতরাং সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে অভিযোগ উঠলে সত্যতা খুঁজে দেখা। আমরা তা করেছি,” বলেন আইনমন্ত্রী।
কীভাবে তদন্ত করা হয়েছে তার একটি ব্যাখ্যা দেন মন্ত্রী -“তথাকথিত” এসব গুমের শিকার হয়েছেন যারা তাদের পরিবারের কাছে খোঁজ-খবর করতে পুলিশকে বলা হয়েছিল। তদন্তের নামে পুলিশ স্বজনদের হয়রানি করছে বলে “মানবাধিকার কর্মীরা চেঁচামেচি শুরু করলে” পরিবারগুলোকে পরে স্বপ্রণোদিত হয়ে লিখিতভাবে তাদের বক্তব্য বা তথ্য দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হয়।
তদন্তে তারা কি পেয়েছেন? মি. হক বলেন অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গেছে মানুষজন নানা সমস্যা থেকে বাঁচতে নিজেরাই গা ঢাকা দিয়েছে এবং তাদের পরিবার গুমের অভিযোগ নিয়ে হাজির হয়েছে।
“কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে তারা হয়তো কোনো মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী, পালিয়ে রয়েছে,” আইনমন্ত্রী বলেন।
আইনমন্ত্রীর কথা থেকে এবং পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে পুরনো এসব ব্যাখ্যাই মিচেল ব্যাচেলেটের কাছে তুলে ধরেছেন মন্ত্রীরা।
জাতিসংঘ কর্মকর্তা যে সরকারের এসব ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হননি তা পরিষ্কার হয়ে যায় সংবাদ সম্মেলনে তার দেওয়া বক্তব্যে।
তিনি গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার নিরপেক্ষ তদন্তের কথা বলে গেছেন। গুম সম্পর্কিত জাতিসংঘ সনদে বাংলাদেশকে সই করার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা বাতিল করতে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
কেন তিনি সরকারি ব্যাখ্যা গ্রহণ করেননি, তার কারণ বোঝা শক্ত কিছু নয়। তদন্তের এসব সরকারি ব্যাখ্যা পুরনো যা গুম- খুনের শিকার স্বজনরা কখনই গ্রহণ করেন না। ফিরে যাওয়ার আগের দিন নিখোঁজ হয়ে যাওয়া মানুষদের কজন স্বজনের মুখ থেকে নিজের কানে তা শুনেছেন মিজ ব্যাচেলেট।
তেমন একটি পরিবারের সদস্য আফরোজা ইসলাম বিবিসিকে বলেন ২০১৪ সালের পাঁচই জানুয়ারির নির্বাচনের ঠিক এক মাস আগে বিএনপি কর্মী সাজেদুল ইসলামকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে র্যাবের লোকজন এসে তুলে নিয়ে যায়। তারপর গত প্রায় নয় বছর পরও কোনো খোঁজ নেই।
“গত আট নয় বছর ধরে পুলিশ, র্যাব, ডিজিএফআই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমস্ত জায়গায় গিয়ে গিয়ে, লিখিতভাবে জানতে চেয়েছি আমার ভাই কোথায়, কেন তাকে আটকে রাখা হয়েছে। কিন্তু কোনো সদুত্তর এখনো নেই।” পরিবারের সন্দেহ সাজেদুল ইসলামকে কোথাও আটকে রাখা হয়েছে।
হংকং-ভিত্তিক এশিয়ান হিউম্যান রাইটস কমিশনের ২০০৯ সালে থেকে অর্থাৎ বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবছর জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৬১৯ জন নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটকের পর লাপাত্তা হয়ে গেছেন। কমপক্ষে ২৬৫৮ জন মানুষকে বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যা করা হয়।
যদিও এসব পরিসংখ্যান বিতর্কিত কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলো বছরের পর বছর ধরে বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা গুম-খুন এবং হালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিকদের নির্যাতন নিয়ে ক্রমাগত উদ্বেগ প্রকাশ করে চলেছে। এসব ইস্যুতে ডজন ডজন রিপোর্ট প্রকাশ করেছে।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলে সরকার এসব অভিযোগকে পাত্তাই দেয় না। তদন্তগুলো নেহাতই লোক দেখানো।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়া কার্যক্রমের প্রধান মিনাক্ষী গাঙ্গুলী বিবিসিকে বলেন, মানবাধিকার ইস্যুতে বাংলাদেশে সরকারের যে আচার-আচরণ তার নজির তারা অন্য কোথাও দেখেন না।
“আমরা ৯০টি দেশে কাজ করি। কখনই বলি না কোথাও আদর্শ অবস্থা বিরাজ করছে। কিন্তু বাংলাদেশের সমস্যাটা একেবারেই আলাদা। এখানকার সরকার কখনই স্বীকারই করতে রাজী নয় যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে,” বলেন মিনাক্ষী গাঙ্গুলী।
তার কথা – এমনকি জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানের সামনেও সরকার সেই একই কথার পুনরাবৃত্তি করেছে।
“তার কাছেও মন্ত্রীরা বলেছেন মানুষ ইচ্ছা করে লুকিয়ে থেকে গুম হয়ে যাওয়ার কথা বলছে। অথচ সরকার খুব ভালো করে জানে পরিবারগুলো তাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। চিঠি দিয়েছে, প্রেস কনফারেন্স করেছে, সমাবেশ করেছে। অথচ এখনও তারা বলছেন পাওনাদারের ভয়ে মানুষ লুকিয়ে রয়েছে। বউয়ের সাথে সম্পর্ক ভালো নয় বলে লুকিয়ে রয়েছে…।”
“খুবই হতাশাব্যঞ্জক,” বলেন গাঙ্গুলী,”যখন র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা হয়েছে, তারপরও অপরাধীদের আড়াল করতে জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের সামনে এমন মিথ্যা তারা বলছেন!”
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে সরকার কান দেয় না – এমন বক্তব্য অসত্য।
“দুঃখিত হলাম শুনে যে তারা মনে করেন সরকার রসিকতা করে…আমরা মোটেও এ ব্যাপারে উদাসী নই, এসব অভিযোগকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেই”।
কারণ, মন্ত্রীর কথায়, “আমাদের দিক থেকে আমরা প্রমাণ করতে চাই এদেশে কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়না, গুম হয় না।”
মন্ত্রীদের কথায় ইঙ্গিত স্পষ্ট যে সরকার তাদের অবস্থানে অবিচল যে তাদের শাসনে বাংলাদেশে কোনো বিচার বহির্ভূত হত্যা বা গুমের ঘটনা ঘটেনি, এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের এসব অভিযোগ নিতান্তই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তাহলে পশ্চিমা বিভিন্ন সরকার এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছ ক্রমাগত এসব উদ্বেগ, সুপারিশ, দাবি দাওয়া কি সরকারের ওপর আদৌ কোনো চাপ তৈরি করতে পারে না?
চাকরিতে থাকাকালীন বিভিন্ন সময়ে মানবাধিকার সম্পর্কিত বিদেশিদের বক্তব্য বিবৃতির জবাব তৈরি করতে হয়েছে বাংলাদেশের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেনকে।
বিবিসিকে তিনি বলেন, “খুব একটা চাপ তৈরি করে বলে আমি মনে করি না। সরকার মনে করে এসব চাপ হাজির হলে সামাল দিতে হবে, এবং কিছু ফরম্যাট আছে যেগুলো অনুসরণ করে এই সামাল দেওয়ার কাজটা করা হয়।”
তার মতে – শুধু র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার মত কোনো “হুমকি” দেখা দিলে সরকার কিছুটা “বিচলিত” হয় এবং তা দূর করতে বাড়তি চেষ্টা করতে হয়।
“এ বাদে তেমন কোনো চাপ তো আমি দেখি না,” বলেন তৌহিদ হোসেন।
তাছাড়া, মি. হোসেন মনে করেন, পশ্চিমা এসব মানবাধিকার সংস্থার নিরপেক্ষতা বা উদ্দেশ্য নিয়েও সরকার ছাড়াও সাধারণ মানুষের মধ্যেও এক ধরণের সন্দেহ কাজ করে।
“আমি অবশ্যই বলছি না যে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি খুব ভালো। কিন্তু খুব নিরপেক্ষ দৃষ্টি থেকে দেখলেও দেখা যায় পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে মানবাধিকার নিয়ে যে চেঁচামেচি হয় তা সিলেক্টিভ, তার সাথে পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার স্পষ্ট।”
উদাহরণ হিসাবে ইজরায়েল-ফিলিস্তিনি সংঘাত এবং আফ্রিকার কিছু দেশের কথা তোলেন তিনি।
“ইজরায়েলের গায়ে সামান্য আঘাত লাগলেই প্রচুর কথা শুরু হয়ে যায়। অথচ ফিলিস্তিনিদের পক্ষে প্রাণহানি হলে তত কথা নেই। এমনকি যেসব পশ্চিমা মিডিয়া স্বাধীন-নিরপেক্ষ বলে নিজেদের দাবি করে তারাও দু-একটি কথা বলে চুপ করে যায়।”
ফলে, তার মতে, মানবাধিকার নিয়ে পশ্চিম বিশ্বের উদ্বেগ অনেকের কাছেই প্রশ্নবিদ্ধ। বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়।
সন্দেহ নেই বাংলাদেশে বহু মানুষ বিশ্বাস করে যে অর্থনীতি, রাজনীতি ও নিরাপত্তার স্বার্থে পশ্চিমা অনেক দেশের অনেক অগণতান্ত্রিক সরকার এবং তাদের অত্যাচার-নির্যাতন নিয়ে চোখ বুজে থাকে।
তবে বাংলাদেশের ওপরও যে খুব বেশি চাপ তৈরি হয়েছে তাও বলা যাবে না।
বিএনপির শাসনামলে ‘অপারেশন ক্লিন হার্ট’ নামে সেনাবাহিনীর তথাকথিত অপরাধ দমন অভিযানের সময় বা পরে ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে প্রচুর হৈচৈ হলে মানবাধিকার সংগঠনগুলো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর অংশগ্রহণের নৈতিক ও আইনি অধিকার নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তুলেছিল। ক্ষমতাধর দেশগুলো তাতে কান দেয়নি।
তবে সুইডেনে নির্বাসিত বাংলাদেশের সাংবাদিক তাসনিম খলিল, যিনি বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে গবেষণাধর্মী একটি বই লিখেছেন, তিনি বলেন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সাথে বাংলাদেশে সরকারের সম্পর্ক এখন এতটাই তিক্ত যে এসব সংস্থা এখন প্রতিকারের জন্য শক্তিধর দেশগুলোর সাথে দেন-দরবারের পথ নিয়েছে।
তিনি বলেন গত ১০/১৫ বছরের বেশিরভাগ সময়, বিশেষ করে শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানবাধিকার সংস্থাগুলো চেষ্টা করছে সরকারের সাথে সরাসরি কথাবার্তা বলে বিভিন্ন অভিযোগের সুরাহা করার।
কিন্ত, তিনি বলেন, “তাদের কথাকে বারবার উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারপর ২০১৮-তে মাদক নির্মূলের নামে কয়েকশ লোককে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়। তখন এসব সংস্থা মনে করলে সরকার যখন কথা শুনছেই না তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে যাওয়া ছাড়া তাদের উপায় নেই।”
তাসনিম খলিল মনে করেন ২০২১ সালে র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা তারই পরিণতি, এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারের বাংলাদেশে এসে সরকারের ব্যাখ্যাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানো সেই প্রক্রিয়ারই অংশ।
সরকারের সাথে মানবাধিকার সংস্থাগুলোর সম্পর্ক এখন কতটা তিক্ত, সম্পর্কে কতটা অনাস্থা মিনাক্ষী গাঙ্গুলীর কথাতেও তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
“এটা প্রমাণিত যে যখন সরকার চায় এগুলো বন্ধ হোক,” বলেন মিজ গাঙ্গুলী। উদাহরণ হিসাবে তিনি মেজর সিনহার মৃত্যুর পর এবং হালে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর বিচার বহির্ভূত হত্যা কমার কথা বলেন। “অর্থাৎ তারা চাইলে কমাতে পারেন। তাহলে করেন না কেন, আটকে রাখা লোকগুলোকে ছাড়েন না কেন?”
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এই কর্মকর্তা বলেন মানবাধিকারের এই উদ্বেগ অবজ্ঞা করলে বাংলাদেশের জন্য তার পরিণতি ভালো হবে না।
“বাংলাদেশ সত্যিই একটা বাজে অবস্থায় পৌঁছে গেছে। বাংলাদেশ থেকে অনেক মানুষ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে কাজ করে। তা বন্ধ হয়ে যাবে। যেভাবে মিথ্যা বলে বলে অপরাধীদের আড়াল করা হচ্ছে তাতে দেশ হিসাবে বাংলাদেশের মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।”
সরকারের আইন মন্ত্রী বলেছেন, কারো কথায় নয় সরকার নিজেরাই প্রমাণ করতে বদ্ধপরিকর যে বাংলাদেশে গুম-খুন হয় না।
“আমরা তাদেরকে (মানবাধিকার গোষ্ঠী) চিনি তারা কতটুকু নিরপেক্ষ। কিন্তু আমাদের কথা হচ্ছে যখনই আমাদের দিকে অঙ্গুলি তোলা হবে আমরা অভিযোগের সত্যি মিথ্যা খতিয়ে দেখবো, এবং দেখছি।”
কিন্তু তাদের একথা কেন মানবাধিকার সংস্থাগুলো বা অভিযোগকারীরা বিশ্বাস করছে না?
আইনমন্ত্রীর উত্তর ছিল – “সেটা তাদের সমস্যা। আমরা আমাদের কাজ করে যাচ্ছি।”
বুধবার বাংলাদেশ সফরে শেষে ঢাকায় এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাই কমিশনার মিচেল ব্যাচেলেট যেসব কথা বলেছেন তাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত যে গুম এবং বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড তদন্তে সরকারের ব্যাখ্যায় তিনি সন্তুষ্ট হননি। এসব অভিযোগ তদন্তে নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন এ কাজে প্রয়োজন হলে তার অফিস বাংলাদেশকে সাহায্য করতে পারে।
তিনি বলেছেন বাংলাদেশ যেহেতু জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীতে সবচেয়ে বেশি সৈন্য জোগান দেয়, ফলে ততে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মানবাধিকার রেকর্ড খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন।
এসব কথা সরকারের জন্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তিকর, কিন্তু র্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে মিচেল ব্যাচেলেটের এসব সুপারিশের সাড়া সরকার কিভাবে দেবে সেদিকেই এখন অনেকের দৃষ্টি থাকবে।
বিবিসি বাংলা