বর্তমান সময়ের আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্বদের একজন—ডা. সাবরিনা শারমিন চৌধুরী। সাবরিনা ট্রেন্ডিং বিষয়গুলোকে মাথায় রেখেই ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করেন। এক্ষেত্রে সহায়তা নেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। তিনি কোথাও যাবেন, ফোন করে জানিয়ে দেন কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের। ফলে সাবরিনা যেখানেই যান, এই কন্টেন্ট ক্রিয়েটররা সেখানে হাজির হন। তবে গরুর হাটে গিয়ে সাবরিনার অভিজ্ঞতা ভালো হলো না। রীতিমতো হেনস্থার কবলে পড়েছিলেন এই চিকিৎসক। রাজধানীর একটি গরুর হাটে গিয়ে এক বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন তিনি। গরু দেখতে গিয়ে কন্টেন্ট ক্রিয়েটরদের ঘিরে ধরা ও ব্যাপারিদের সঙ্গে আলোচনা করার একপর্যায়ে পরিস্থিতি অস্বস্তিকর হয়ে ওঠে।

ডা. সাবরিনা একটি হাটে গিয়ে গরু দেখার সময় কন্টেন্ট নির্মাতারা তার চারপাশ ঘিরে ধরেন। তারা তাকে নানা প্রশ্ন করতে থাকেন—যেমন, তিনি ‘উট কিনতে এসেছেন কি না’ কিংবা ‘মামুন বা লায়লা নামের গরু কিনছেন কি না’। সাবরিনাও প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। তবে এসব কর্মকাণ্ডে হাটের পরিবেশ কিছুটা বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে। গরুগুলো অস্থির হয়ে ওঠে, আর ব্যাপারিরাও পড়েন বেকায়দায়।

একপর্যায়ে হাট কর্তৃপক্ষ ও ব্যাপারিরা তাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ডা. সাবরিনা হেনস্তার শিকার হন। পরে হাটের স্বেচ্ছাসেবীদের সহায়তায় তিনি নিরাপদে সেখান থেকে বের হয়ে আসেন।

সম্প্রতি ডা. সাবরিনা ‘অভিমানে তুমি’ শিরোনামের একটি নাটকে অভিনয় করেছেন, যেখানে তার সহশিল্পী ছিলেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। এছাড়া তিনি রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

তবে ডা. সাবরিনা সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসেন ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময় রিজেন্ট হাসপাতাল ও জেকেজি হেলথ কেয়ারের মাধ্যমে করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট কেলেঙ্কারিতে। তৎকালীন সময়ে তার ও তার স্বামী আরিফ চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা কোনো পরীক্ষা ছাড়াই ১৫ হাজারের বেশি ভুয়া রিপোর্ট সরবরাহ করেছিলেন। ওই মামলায় তিনি জেলও খেটেছেন।