শের মধ্যেই আছে নিউজিল্যান্ড পাড়া। নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন! নামটা অপরিচিত বটে। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, বাংলাদেশের এক স্থানের নাম নিউজিল্যান্ড পাড়া।
খাগড়াছড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দক্ষিণে পানখাইয়া পাড়ার পাশেই অবস্থিত ‘নিউজিল্যান্ড পাড়া’। পানখাইয়া পাড়া থেকে বেড়িয়ে আপার পেরাছড়া গ্রামের দিকে যাওয়ার রাস্তাটাকে বলে নিউজিল্যান্ড সড়ক।
সড়কের দুইপাশে সবুজ ক্ষেত খামার, এটিই খাগড়াছড়ির একমাত্র সমতল ভূমি। সবুজ শস্যক্ষেত আর তার পেছনের পাহাড়ের মিতালি এক অসাধারণ নান্দনিক সৌন্দর্য এখানে ছড়িয়ে আছে। পাহাড়ের কোলঘেঁষে নতুন আবাসিক এলাকা গড়ে উঠছে।
শহরের ভেতরে পাহাড় আর ধানখেতের মিতালি। এলাকার ল্যান্ডস্কেপটা দেখতে নিউজিল্যান্ডের মতো। তাই স্থানীয় মানুষ এর নাম দিয়েছে নিউজিল্যান্ড পাড়া।
পাহাড়ি এই স্থান এতোটাই সুন্দর যে, আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবেন মুহূর্তেই। এ কারণেই খাগড়াছড়ির এই স্থান পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। বিস্তৃত পাহাড়ি জুম ক্ষেত ও দূরে ছোট-বড় পাহাড়ের সারি দেখলেই মন জুড়িয়ে যায়।
সেখানকার অনেকের মুখেই প্রচলিত আছে, বেশ কয়েক বছর আগে এক পাহাড়ি ভদ্রলোক এই এলাকা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে বলেছিলেন, ঠিক যেন নিউজিল্যান্ডের মতো বাতাস। এরপর থেকেই নাকি এলাকার নাম হয়েছে নিউজিল্যান্ড পাড়া।
এ ছাড়াও খাগড়াছড়ি শহরের পাশ দিয়ে সর্পিল এঁকে বেঁকে বয়ে যাওয়া চেঙ্গী নদীর লালচে ঘোলা পানি আপনাকে অবাক করবে।
কর্ণফুলী নদীর সাথে মিলেমিশে একাকার হয়েছে চেঙ্গীর পানি। খাগড়াছড়ি ভ্রমণে গেলে পর্যটকরা ‘নিউজিল্যান্ড পাড়া’ থেকে ঘুরে আসতে ভোলেন না।
কীভাবে যাবেন নিউজিল্যান্ড পাড়ায়?
ঢাকা থেকে যে কোনো বাসে চড়ে প্রথমে পৌঁছাতে হবে খাগড়াছড়িতে। এরপর খাগড়াছড়ি শহর থেকে সিএনজি বা অটোতে করে নিউজিল্যান্ড পাড়া যেতে পারবেন।
যারা এখন সাজেক ভ্রমণে যাচ্ছে, তারা চাইলেই অল্প সময়ে ঘুরে আসতে পারবেন নিউজিল্যান্ড পাড়া থেকে।
কোথায় থাকবেন?
খাগড়াছড়িতে পর্যটন মোটেলসহ বিভিন্ন মানের থাকার হোটেল আছে। সেখান থেকে বাজেটের মধ্যে হোটেল বা মোটেল খুঁজে নিন।