অ্যাসেম্বলি অফিসের সংখ্যাগরিষ্ট দলের নেতা ক্রিস্টাল পিপলস-স্টোকস, সেনেটর টিম কেনেডিসহ বেশ কয়েকজন অ্যাসেম্বলি সদস্য এতে উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনায় উঠে আসে বাফেলো অঞ্চলে কার্যকর সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ, নাগরিক সম্পৃক্ততা এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের বিভিন্ন দিক। এখানকার ক্রমবর্ধমান এশিয়ান-আমেরিকান কমিউনিটির জন্য আরও বাসযোগ্য বাফেলো গড়ে তোলাই ছিলো এর মূল লক্ষ্য।
এশিয়ান-আমেরিকান ফেডারেশন- এএএফ’র বিশ্লেষণ মতে বাফেলোয় এশিয়ান আমেরিকান জনসংখ্যা গত এক দশকে ১৪১.২% বৃদ্ধি পেয়েছে। নগরীর মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ এশীয় বংশোদ্ভুত আমেরিকান। আর এর মধ্যে বেশি সংখ্যায় রয়েছে বাংলাদেশি। এছাড়াও বার্মিজদের সংখ্যাও সেখানে বেড়েছে। এএএফ’র সহায়তায় স্থানীয় গ্রুপগুলো নতুন বাসস্থাপনকারীদের সুবিধার্ধে বিভিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
বাফেলোর এই নব্য কমিউনিটি কিভাবে তাদের নতুন চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলা করতে পারে সেসব বিষয়ে আলোচনা হয় গোলটেবিল বৈঠকে। এতে গবেষণাভিত্তিক তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি কিভাবে অনুদান আবেদনে সহায়তা ও নাগরিককে কিভাবে আরো সম্পৃক্ত করে তোলা যায় এবং সর্বপরি যে কোনো ধরনের সহিংস ঘটনা থেকে বাফেলোবাসীকে নিরাপদ রাখা যায় সেগুলো উঠে আসে। আলোচনায় গুরুত্ব পায় বাফেলো আপস্টেট-ডাউনস্টেটের মধ্যে সম্পদের সুষ্ঠু বণ্টনের দিকটিও।
আলোচনাকে গভীর ও সুসম্মৃদ্ধ উল্লেখ করে অ্যাসেম্বলির সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতা ক্রিস্টাল পিপলস-স্টোকস বলেন, বাফেলোর অপেক্ষাকৃত নতুন নেইবারহুডের সঙ্গে সুসম্পর্কের ভিত রচনার জন্য এমন আলোচনা জরুরি। তিনি বলেন, এই আলোচনা আরও চলতে থাকুক, যাতে এর মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কমিউনিটির বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করতে পারি এবং তাদের প্রয়োজনগুলো চিহ্নিত করে তার সমাধান আনতে পারি।