কেন ঘুরতে যাবেন হাভানা?

ল্যাটিন আমেরিকার দৃশ্যপট জুড়েই একটা স্বাধীনচেতা মনোভাব বিরাজ করে। শান্ত, সুন্দর কিন্তু দৃঢ়। বিপ্লবের ভূমি কিউবা। ১৯৫৯ সালে ফিদেল কাস্ত্রো এবং চে গুয়েভারার নেতৃত্বে একদল বিপ্লবী হটিয়ে দিয়েছিল স্বৈরাচারী বাতিস্তা সরকারকে। তখন থেকেই তারুণ্যের প্রতীক, জীবনের প্রতীক কিউবা। এই ঐতিহ্যের পাশাপাশি এমন কিছু বিষয় রয়েছে যে কারণে কিউবার রাজধানী হাভানা থেকে ঘুরে আসা উচিত।

১. পুরনো আমলের গাড়ি  

হাভানায় গেলে আপনি বিনামূল্যে টাইম মেশিনে চড়ার সুযোগ পাবেন। রাস্তায় নামলে দেখবেন এখনো ১৯৫০-এর দশকের ট্যাক্সিক্যাবগুলো রীতিমতো রাস্তা কাঁপিয়ে চলছে। উঠে পড়ুন ট্যাক্সিক্যাবে, সেটাই টাইম মেশিন। ভুলেই যাবেন অর্ধশতাব্দী এগিয়ে আছেন আপনি।

২.   কিউবান  

মানুষ দেখতে হলেও কিউবায় যাবেন। বন্ধুবৎসল হিসেবে খ্যাতি রয়েছে কিউবানদের। ছোট ছোট গলির ভেতরে দেখবেন দাদার বয়সীরা হাফপ্যান্ট পরে আরাম কেদারা বিছিয়ে দিব্যি বসে আছেন। রাস্তায় দেখবেন বাচ্চাদের সাথে পাল্লা দিয়ে বুড়োরা ফুটবল নিয়ে কাড়াকাড়ি করছেন। এই দৃশ্যগুলোই কিউবানদের প্রাণবন্ত জীবন-যাপনের উদাহরণ।

৩. বুড়ো শহর  

হাভানায় রয়েছে কয়েক শ বছরের পুরোনো বাড়িঘর। স্থাপত্যের দিক থেকে হাভানা ঐতিহ্যমণ্ডিত। পায়ে হেঁটে শহর ঘুরে দেখতে পারেন, সময় পেরিয়ে যাবে। এসব স্মৃতির কোনো তুলনা হয় না।

৪. নাচ এবং গান  

কিউবানদের শরীরজুড়ে রয়েছে গান এবং ছন্দ। ফুরসত পেলেই নাচে গানে আসর মাতিয়ে রাখতে ওস্তাদ কিউবানরা। হাভানায় রয়েছে অসংখ্য ড্যান্স ক্লাব। সেখানে যদি নাও যান, রাস্তায় দেখা পাবেন কোন বাঁশিওয়ালার যে একমনে বাজিয়ে চলছে ডাকাতিয়া বাঁশি। আর সালসা নাচ তো কিউবান সংস্কৃতিরই অংশ।

৫. চুরুট এবং রাম  

হাভানার নাম অনেকেই মনে রাখে হাভানা চুরুটের নামে। রাম এবং সিগারেটের বৈচিত্র্যের জন্য বিখ্যাত হাভানা। অনেকেই কার্টুন ভর্তি করে সিগারেট নিয়ে আসেন হাভানা থেকে। এত সস্তায় এত ধরনের সিগারেট সহজে আর কোথাও মিলবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

%d bloggers like this: