ফ্রান্সে বিভিন্ন পেশার জড়িত রয়েছেন অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি। ছবি: সময় সংবাদ
ফ্রান্সের বাংলাদেশি অধ্যুষিত গার্দু নর্দকে বলা হয় ইউরোপের বিজনেস স্টেশন। প্রতিদিন প্রায় ৭ লাখ মানুষের চাপ সামলানো এ অঞ্চলে বসবাসরত অধিকাংশ বাঙালির রুটি-রুজির এ কেন্দ্রে যেমন আছেন খেটেখাওয়া বাঙালি, ঠিক তেমনি আছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ী। হাজার মাইল দূরে হলেও দেশের অর্থনীতির সঙ্গে আছে যাদের নিবিড় সম্পর্ক।
তৈরি পোশাক শিল্পের পর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে প্রবাসী আয়। তবে রাজনৈতিক অস্থিরতার জেরে সম্প্রতি দেশে টাকা পাঠাতে বেঁকে বসেন প্রবাসীরা। অন্ধকার দূরে ঠেলে নতুন বাংলাদেশের দায়িত্বে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনুস, যিনি এখন ভরসা প্রবাসীদের।
প্যারিস প্রবাসীরা বলছেন, ‘গত কয়েকদিন আগে আমরা ঘোষণা দিয়েছিলাম দেশে রেমিট্যান্স পাঠাব না। তবে বর্তমানে দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তন হয়েছে। ফলে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে আমরা অবদান রাখতে চাই।’
আলোঝলমলে অভিজাত প্যারিসেও আছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। এদের অনেকেই সম্পৃক্ত অল ইউরোপ বিজনেস কমিউনিটির সঙ্গে। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের সম্পৃক্ত করতে পরলে দ্রুত ইতিবাচক ফল আসবে বলে মত সংশ্লিষ্টদের।
প্যারিসের ব্যবসায়ী কাজী এনায়েত উল্লাহ বলেন,
বড় শক্তি হচ্ছে প্রবাসীদের সেভিংস। এটা কীভাবে বাংলাদেশে নেয়া যায়, সেই চেষ্টা করতে হবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পরিকল্পনার মধ্যে প্রবাসীদের অংশগ্রহণেরও দাবি জানান এই ব্যবসায়ী।
বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, প্রবাসী আয়ে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। এর বড় অংশ আসে মধ্যপ্রাচ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য থেকে। ফ্রান্সেও আছে অপার সম্ভাবনা। উপযুক্ত পরিকল্পনায় এ সুযোগ কাজে লাগাতে চান ব্যবসায়ীরা।