কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এর কারণে আগামী পাঁচ বছরে পৃথিবীজুড়ে কাজ হারাতে পারেন এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ। এছাড়া ১০ পেশার মানুষের কর্মসংস্থান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দখলে যাবে বলে মনে করছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফ। পাশাপাশি এআই এর ধাক্কা কাটিয়ে বাড়বে কিছু পেশার চাহিদা।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়। প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বা ডব্লিউইএফের এক সমীক্ষায় এমন তথ্য উঠে আসে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর ব্যবহার নিয়ে পৃথিবীজুড়ে আলোচনা হচ্ছে, সময়ের সাথে সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে এর ব্যবহার। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই এর ব্যবহার শুরু হয়েছে। যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার হচ্ছে, বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার উন্নয়ন ঘটছে, তাতে কর্মক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত খুলছে।
একইসাথে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মী সঙ্কোচন হবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। তারা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারের ভালো দিক যেমন আছে, তেমনই রয়েছে নেতিবাচক কিছু বিষয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো কর্মীসঙ্কোচন।
গবেষকরা বলছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগের জন্য সংস্থাগুলো যেমন কিছু কর্মী নিয়োগ করবে, তেমনি এর ব্যবহারের ফলে পুরনো অনেক কর্মীর আর প্রয়োজন বোধ করবে না সংস্থাগুলো। সেখান থেকেই আসতে পারে কর্মী ছাটাই। আগামী ৫ বছরে কোন কোন পেশায় ‘এআই’ হানা দিতে পারে সম্প্রতি তার একটি তালিকাও প্রকাশ করেন তারা।
ব্যাংকের চাকরির ক্ষেত্রে এআই-এর একটি বড় প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন গবেষক দল। তারা বলছেন, ‘অনলাইন ব্যাংকিং’ এর সুবিধা থাকায় এমনিতেই এখন ব্যাংক কর্মীদের কাজ অনেকটাই কমেছে। তবে কয়েক বছরে এআই-এর কৃপায় সশরীরে ব্যাংকে গিয়ে প্রয়োজন মেটানোর আর প্রয়োজন হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। এর ফলে গোটা বিশ্বজুড়ে কাজ হারাতে পারেন অসংখ্য ব্যাংক কর্মী।
এছাড়াও তারা মনে করছেন, পোস্টাল সার্ভিস ক্লার্ক, ডেটা এন্ট্রি কর্মী, ক্যাশিয়ার, হিসাব রক্ষক এআই-এর কারণে আগামী ৫ বছরে এই ধরনের পেশাগুলো প্রায় এক তৃতীয়াংশেরও বেসি কমতে পারে।
সম্প্রতি ‘এআই-এর কার্যকারিতা’ নিয়ে একটি আলোচনা সভা বসেছিল। সেখানে উঠে এসেছে ২০২৭ সালের মধ্যে আট কোটি তিন লাখ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বেন। আগামী ৬ বছর শুধু কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বহুল ব্যবহারে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের কাজ চলে যাবে। যা বর্তমান কর্মসংস্থানের প্রায় দু’শতাংশ।