২০২৪ সালে কুয়েতের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযানে আবাসন আইন লঙ্ঘনসহ ভিন্ন ভিন্ন অপরাধে বিভিন্ন দেশের ৩৫ হাজার প্রবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে দেশটির প্রশাসন। ভিসার ধরন ও স্থানীয় আইন সম্পর্কে ধারণা না থাকায় বৈধ ভিসায় এসে কাজ না পেয়ে অবৈধ হয়ে দেশে ফিরছেন এসব প্রবাসী।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা বেশির ভাগ পুনরায় ভিসা নিয়ে প্রবেশ করার যোগ্যতা হারাচ্ছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রবাসী বলেন, কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে শিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত বেকার যুবকরা ‘ব্যক্তিগত কফিল’ গৃহকর্মী ২০ নম্বর ভিসা বা ‘ছোট কোম্পানি’ ১৮ নম্বর ভিসার অধীনে ৭ থেকে ৯ লাখ টাকার বিনিময়ে আসছেন। কিছু ক্ষেত্রে মধ্যস্বত্বভোগী বা দালালের মিথ্যা প্রতিশ্রুতিতে বিভ্রান্ত হয়ে একক ভিসায় বাংলাদেশি কর্মী কুয়েতে আগমনের কিছুদিন পরেই মালিক তাদের অনুমতি বাতিল করে তার স্থলে অন্য ব্যক্তিকে নিয়োগ দিচ্ছেন।
এ ছাড়া মালিক কাজ না দিয়ে ভিসা লাগিয়ে ছেড়ে দিচ্ছেন তাদের। ফলে ওই ব্যক্তি অন্য মালিকের কাজ করতে গিয়ে আবাসন আইন লঙ্ঘন করছেন। সতর্কবার্তা জরিমানা অথবা ছয় মাসের মধ্যে দেশটি ত্যাগের হলুদ পেপার দেওয়া হচ্ছে তাদের। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে না গেলে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। ফলে বাংলাদেশি কর্মী কুয়েতে অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন এবং নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
এ জন্য একদিকে কুয়েতে যেমন বাংলাদেশিদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যক্তিগতভাবে বাংলাদেশি কর্মী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বাংলাদেশি কর্মীদের স্বার্থ রক্ষার্থে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুধু মালিক দ্বারা জমাকৃত একক ভিসা সত্যয়নের আবেদন দূতাবাসে গ্রহণ করা হবে বলে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাস।