চীন ২০০৪ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রিন কার্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসের ব্যবস্থা চালু করে। প্রথম গ্রিন কার্ডটি দেয়া হয়েছিল Joan Hinton নামে একজন আমেরিকান মহিলাকে, যিনি ছিলেন পারমাণবিক পদার্থবিদ এবং একাধারে ৬২ বছর চীনের জন্য কাজ করে গেছেন।
শুরু থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত মাত্র ৭৩৫৬ জন বিদেশিকে গ্রিন কার্ড দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশীও রয়েছেন। তবে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এই ব্যবস্থা শিথিল করার লক্ষ্যে নীতিতে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়। যার ফলস্বরুপ শুধুমাত্র ২০১৬ সালেই ১৫৭৬ জনকে চীনা গ্রিন কার্ড দেয়া হয়, যা কিনা আগের বছরের তুলনায় শতকরা ১৬৩ ভাগ বেশি। হয়তো সামনের বছরগুলোতে এই সংখ্যা আরও বাড়বে কারণ চীন এখন বিদেশি বিনিয়োগ ও দক্ষ মেধাবীদের আকৃষ্ট করত
চীনা গ্রিন কার্ডকে চারটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিটি ক্যাটাগরিতে নির্দিষ্ট শর্ত আছে, এই শর্তগুলো পূরণ হলেই কেবলমাত্র আবেদনের যোগ্যতা অর্জন করা যাবে। এরপর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিস্তারিত যাচাই বাছাই করার পরই গ্রিন কার্ড প্রদানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিবে।
আবেদনের ক্যাটাগরি, নুন্যতম যোগ্যতা ও শর্তসমূহ
১) বিনিয়োগ
২) চাকুরী
৩) চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান
চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অসামান্য অবদান আছে, অথবা এমন কেউ যার সহায়তা চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বিশেষভাবে প্রয়োজন তারাই এই ক্যাটাগরিতে আবেদনের সুযোগ পাবেন।
৪) বৈবাহিক বা পারিবারিক
চীনা গ্রিন কার্ডের সুযোগ সুবিধা
সাধারনভাবে বলা যায় একজন চীনা নাগরিকের সমমর্যদার প্রায় সকল সুযোগ সুবিধাই এই গ্রিন কার্ড মাধ্যমে পাওয়া যাবে। যেমন,
মেয়াদ
৫ বছর ও ১০ বছর মেয়াদে এই গ্রিন কার্ড বা স্থায়ীভাবে বসবাসের অনুমতি দেয়া হয়ে থাকে এবং মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার একমাস আগে আবার আবেদন করে নবায়ন করে নেয়া যায়।
সতর্কতা
যদিও গ্রিন কার্ড মানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ তারপরেও বেশকিছু কারনে কর্তৃপক্ষ চাইলে গ্রিন কার্ড বাতিল করতে পারে। যেমন –