শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৮ অপরাহ্ন

কানাডার স্টুডেন্ট ভিসা

  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

বর্তমানে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় দেশ হচ্ছে কানাডা। উন্নত জীবনযাপন, চাকরি বা পড়াশোনার জন্য কানাডা বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় দেশ। শুধু বাংলাদেশ নয়, পৃথিবীর প্রায় সব দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে  প্রথম পছন্দ কানাডা। কানাডার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর পড়াশোনার মান বিশ্বে গ্রহণযোগ্য। দেশটির ডিগ্রি বিশ্বের প্রথম সারির দেশগুলোর সঙ্গে তুলনীয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি এবং থাকার খরচ অন্যান্য দেশের তুলনায় কানাডায় কম।

আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থা, পড়াশোনার পাশাপাশি খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ, পড়াশোনা শেষে স্বল্প সময়ের মধ্যে অভিবাসী হবার সুযোগ ছাড়াও নানাবিধ সুযোগ-সুবিধার জন্য কানাডাকে বলা হয়ে থাকে উচ্চশিক্ষার স্বর্গরাজ্য।

নর্থ আমেরিকার দেশ কানাডা মূলত শীত প্রধান একটি দেশ এবং পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ । এই দেশের আয়তন ৯.৯৮ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার আর জনসংখ্যা ৩,৭৯,৭১,০২০ জন। এই দেশের অফিসিয়াল ভাষা ফ্রেঞ্চ ও ইংরেজী এবং মুদ্রা কানাডিয়ান ডলার। এই দেশের জিডিপি $১.৮১২ ট্রিলিয়ন আর পার কাপিটা জিডিপি হল ৪৯,৯৩১ ডলার। এই দেশের রাজধানী অটোয়া আর সর্ববৃহৎ শহর টরেন্টো।

অফার লেটারঃ-
কানাডার ষ্টুডেন্ট ভিসা পেতে আপনাকে প্রথমে কোন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার পেতে হবে। এজন্য আপনাকে প্রথমে আপনার পছন্দসই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবে প্রদত্ত আবেদন করার নিয়ম অনুসারে আবেদন করে, উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অফার লেটার সংগ্রহ করতে হবে।

স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করুন
কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসা নামে কোনো ভিসা দেওয়া হয় না। মূলত, স্টাডি পারমিট দেওয়া হয়, যেটাকে স্টুডেন্ট ভিসা বলা হয়। স্টাডি পারমিট মূলত আপনার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোর্সের মেয়াদের উপর নির্ভর করে। অর্থাৎ কোর্সের মেয়াদ যদি চার বছর হয় তাহলে আপনার স্টাডি পারমিটের মেয়াদও চার বছর হবে। সাথে অতিরিক্ত ৯০ দিন দেয়া হবে।

আপনার স্টাডি প্রোগ্রাম যদি ৬ মাস কিংবা তারচেয়ে কম সময়ের হয়, তাহলে আপনাকে কোনো ধরনের স্টাডি পারমিট নিতে হবে না। যদি আপনার পরিবারের কেউ কানাডা থেকে থাকেন, তাহলেও আপনাকে স্টাডি পারমিট নিতে হবে না। একইভাবে আপনার কিংবা আপনার পরিবারের কারো যদি রেজিস্টার্ড ইন্ডিয়ান স্ট্যাটাস থেকে থাকে, তাহলেও আপনাকে স্টাডি পারমিট নিতে হবে না।

স্কলারশিপ নিয়ে স্নাতক করুন কানাডায় 

কানাডার স্টাডি পার্মিটের জন্য সর্বপ্রথম সিটিজেনশিপ অ্যান্ড ইমিগ্রেশন কানাডার (CIC) ওয়েবে অনলাইনে আবেদন করুন। অথবা, নিকটস্থ কানাডিয়ান এম্বাসিতে যোগাযোগ করে অফলাইনে আবেদন করুন।  আবেদনের জন্য আপনাকে যা যা সংযুক্ত করতে হবে; কানাডার সরকার কর্তৃক অনুমোদিত বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার লেটার, কানাডায় থাকাকালীন আপনার থাকা, খাওয়া ও পড়ার খরচ বহন করার মতো পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে, তার প্রমাণপত্র, আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত নেই তার প্রমাণপত্র, আপনি পুরোপুরি সুস্থ তার প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট, কানাডায় থাকাকালীন আপনি কোনো প্রকার সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত হবেন না, তার অঙ্গীকারনামা।

তবে এই স্টাডি পারমিট দিয়ে আপনি কানাডায় বসবাস করতে পারবেন না। কানাডায় ভ্রমণ ও বসবাসের জন্য আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসা অথবা ইলেকট্রনিক ট্র্যাভেল অথোরাইজেশন (ইটিএ) নামক ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

কানাডায় থাকাকালীন আপনার খরচ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত আর্থিক যোগান রয়েছে তার প্রমাণপত্র হিসেবে যা যা যুক্ত করতে হবে ; কানাডার ব্যাংকে আপনার নিজের নামের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ব্যাংক স্টেটমেন্ট, ব্যাংক ড্রাফট, এক বছরের থাকা ও পড়ার খরচ পরিশোধ হয়েছে, তার প্রমাণপত্র।  যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনার ফান্ডিং দিবে, সেই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রদানকৃত চিঠি, আপনি যদি কোন স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন, তবে তার প্রমানপত্র।

এসব কিছু সংযুক্ত করে স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করতে আপনার খরচ হবে, ১৫০ কানাডিয়ান ডলার বা ৮৬১০ টাকা। এছাড়া, স্টাডি পারমিটের জন্য আবেদন করার পর নিকটস্থ ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকে বায়োমেট্রিক ইনফরমেশন অর্থাৎ ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ছবি তুলে পাঠাতে হবে। এজন্য ১৪০০০ থেকে ১৭০০০ টাকার মতো খরচ হতে পারে।

আবেদন করার পর কী করবেন?
স্টাডি পারমিটের আবেদন করার ৩০ দিনের মধ্যে আপনাকে চিঠি অথবা মেইলের মাধ্যমে জানিয়ে দেয়া হবে যে, আপনার জন্য বায়োমেট্রিক ইনফরমেশনের দরকার পড়বে কিনা। যদি দরকার পড়ে, তবে উপরে বর্ণিত নির্দেশনার মাধ্যমে বায়োমট্রিক ইনফরমেশন পাঠিয়ে দেবেন।

তারপর আপনার আবেদন ফর্ম যাচাইবাছাই করে দেখা হবে। যদি অসম্পূর্ণ তথ্য কিংবা কোন অতিরিক্ত ডকুমেন্টে সমস্যা থাকে, তবে তারা আপনাকে তা জানিয়ে দেবেন। বিশেষ কোনো ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন অফিস থেকে আপনাকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হতে পারে কিংবা আরো কিছু তথ্য পাঠানোর জন্য বলা হতে পারে।

যদি তারা আপনার আবেদন ফর্ম গ্রহণ করেন, তবে তারা আপনাকে একটি কনফার্মেশন লেটার পাঠাবেন। এই কনফার্মেশন লেটার কানাডা পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন অফিসে দেখাতে হবে। আর যদি তারা আপনার আবেদন ফর্ম গ্রহণ না করেন, তবে তারা আপনাকে এর কারণ জানিয়ে মেইল পাঠাবেন।

টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করবেন যেভাবে-
স্টাডি পারমিট পাওয়ার পর আপনাকে টেম্পোরারি রেসিডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। এই ভিসার জন্য আবেদন করতে আপনার যা যা লাগবে- নির্ভুলভাবে পূরণকৃত আবেদন পত্র।  ভর্তিকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ প্রদত্ত অফার লেটারের মূল কপি।  চারটি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।  আপনার কোর্সের সময়সীমার চেয়ে একমাস বেশি মেয়াদের পাসপোর্ট।  আপনার সকল জাতীয় কাগজপত্র, যেমন: জন্মনিবন্ধন, জাতীয়তা পরিচয়পত্র ইত্যাদি। আপনার সব ধরনের একাডেমিক কাগজপত্র।  আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমান। স্পন্সরের প্রমানসহ বিস্তারিত তথ্য।  স্টাডি পারমিট ফি দেওয়া হয়েছে- তার প্রমাণপত্র।  ভিসা এনরোলমেন্টের ইলেকট্রনিক কনফার্মেশনের স্ক্যান কপি।

কানাডায় ডিগ্রির ধরন ও ভর্তির সেশন-
স্নাতক, স্নাতকোত্তর, ডিপ্লোমা এবং পিএইচডি ডিগ্রি। কানাডার অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়েই সাধারণত সেপ্টেম্বর থেকে মে পর্যন্ত সেশন থাকে। আবার কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে  জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, এপ্রিল ও জুনেও সেশন শুরু হয় হয়ে থাকে।

আইইএলটিএস ছাড়া ইউরোপের যেসব দেশে যাওয়া যায়

প্রয়োজনীয় নথিপত্রঃ- 

* পাসপোর্টের কপি।
* শিক্ষার্থীদের ফোন নম্বর দ্বারা ইমেল।
* পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
* মেডিকেল সার্টিফিকেট।
* ডিজিটাল ছবি।
* জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অনলাইন জন্মসনদ।
* পাঠক্রম বহির্ভূত কার্যক্রমের সনদ।
* সমস্ত একাডেমিক কাগজপত্র (ট্রান্সক্রিপ্ট + সার্টিফিকেট)।
* রেফারেন্স লেটার।
* স্টেট্মেন অফ পারপাস ।
* কাভার লেটার।
* সিভি।
* ইংরেজি ভাষা দক্ষতার সনদ (IELTS, Duoilingo, TOEFL ইত্যাদি)
* ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সচ্ছলতা ।
* ট্রেড লাইসেন্স।
* TIN সার্টিফিকেট।
* ট্যাক্স রিটার্ন।
* ভিজিটিং কার্ড।
* পিতামাতার ছবি (পুরানো এবং নতুন)।
* পিতামাতার পাসপোর্ট বা এনআইডি।
* জমি, সম্পত্তি বা সম্পত্তির নথি।
* সম্পদের মূল্যায়ন এবং সম্পত্তির নথি।

খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ:
কানাডায় শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ। সপ্তাহে একজন শিক্ষার্থী ২০ ঘণ্টা কাজ করতে পারেন। মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত গ্রীষ্মকাল—এই সময়ে কর্মঘণ্টার সীমাবদ্ধতা থাকে না। তখন আরও বেশি কাজ করা যায়। শিক্ষক সহকারী, বিক্রয়কর্মী, ফুড ক্যাটারিং, গবেষণা সহকারী, কম্পিউটার ওয়ার্কসহ বিভিন্ন খণ্ডকালীন কাজ শিক্ষার্থীরা করতে পারেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে পড়াশোনা শেষে ৩ বছরের ওয়ার্ক ভিসা।

পড়াশোনা শেষে চাকরির সুযোগঃ- 
কানাডায় সাধারণত পড়াশোনা শেষ করার পরেই কাজ পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা, পরীক্ষার ফলাফল, সৃজনশীলতার উপর মূল্যায়ন করে বিভিন্ন পর্যায়ে কাজের সুযোগ দেওয়া হয়। কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বছরে বিভিন্ন সময় চাকরির মেলা বা প্লেসমেন্টের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগগুলো থেকেও নিয়মিত জব-প্লেসমেন্ট করা হয়ে থাকে। এছাড়াও কানাডার বিভিন্ন সরকারি সংস্থা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাজের সুযোগ দিয়ে থাকে। অ্যাকাউন্টিং, প্রকৌশল, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, আইটিসহ গবেষণাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়ে থাকে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা।

কানাডার উল্লেখযোগ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম 

কানাডার টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়: টরন্টোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলি বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিত এবং সম্মানিত, এই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মানসম্পন্ন এবং মানসম্পন্ন প্রশিক্ষণ পায় যা কানাডার শিক্ষা প্রশিক্ষণের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮২৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, এটি শেখার ক্ষেত্রে, নতুন ধারণা আবিষ্কার করার এবং বিভিন্ন উদ্ভাবনের অগ্রগামীর ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে সেন্ট জর্জ, মিসিসাগা এবং স্কারবোরোতে তিনটি ক্যাম্পাসের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৫০০,০০০ এরও বেশি প্রাক্তন ছাত্র রয়েছে। আইন অনুষদ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুল তার অসামান্য মানের জন্য স্বীকৃত।

ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়: ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল ডিগ্রি এবং বিভিন্ন বিষয়ে স্নাতকোত্তর প্রশিক্ষণের সুযোগ সহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম অফার করে। কানাডার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ম্যানিটোবা প্রদেশের একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয়, দেশের অন্যতম উচ্চ সমৃদ্ধ প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৮৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং এটি পশ্চিম কানাডার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৯০ সাল থেকে, ম্যানিটোবা বিশ্ববিদ্যালয় পুরো কানাডায় সর্বাধিক একাডেমিক শ্রেষ্ঠত্ব তৈরির জন্য ধারাবাহিকভাবে দেশের শীর্ষ দশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে।

কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়: কানাডার রাজধানী অটোয়া। নানা ধরনের স্কলারশিপ নিয়ে পড়ার সুযোগ দিচ্ছে কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়। বাংলাদেশসহ যে কোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এ স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিভাগভেদে আবেদনের সময়সীমার ভিন্নতা রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টিতে স্নাতকে নানা ধরনের স্কলারশিপ প্রদান করা হয়ে থাকে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রেসিডেন্ট স্কলারশিপ, চ্যান্সেলর স্কলারশিপ, এক্সিলেন্স স্কলারশিপ, মেরিট স্কলারশিপ, আর্টস ফ্যাকাল্টি মেরিট স্কলারশিপ ও অটোয়া ইউনিভার্সিটি ফিনান্সিয়াল এইড বার্সারি। এসব স্কলারশিপের আওতায় ৩০ হাজার ডলার পর্যন্ত আর্থিক অনুদান পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। স্নাতকের সময়সীমা ৪ বছর।

ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া: শিক্ষার ক্ষেত্রে কানাডিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সাধারণত শীর্ষস্থানীয় হয়। ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলাম্বিয়া কানাডার শীর্ষ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। এটি একটি পাবলিক রিসার্চ ইউনিভার্সিটি যার দুটি প্রধান ক্যাম্পাস রয়েছে, একটি ভ্যাঙ্কুভারে যা পশ্চিম কানাডার একটি উপকূলীয় সমুদ্রবন্দর শহর এবং অন্য ক্যাম্পাসটি কেলোনায়। ফলস্বরূপ এটি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবেদনের হার বাড়িয়ে তুলেছে। ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় (ইউবিসি) শিক্ষকতা, শেখার এবং গবেষণার জন্য একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র। এই বিশ্ববিদ্যালয় ক্রমাগত বিশ্বের শীর্ষ ২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে রয়েছে।

দ্য ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটারলু: ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয় হল ওয়াটারলু, অন্টারিও, কানাডার একটি পাবলিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান। এই ক্যাম্পাস জুড়ে UWaterloo অধ্যয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্নাতক এবং স্নাতক ডিগ্রি প্রোগ্রাম অফার করে। ওয়াটারলু বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কয়েকটি অনুষদ রয়েছে যার মাধ্যমে এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিড়কে শিক্ষিত করে। ওয়াটারলুয়ের অনুষদের মধ্যে রয়েছে কলা অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ, পরিবেশ অনুষদ, এবং স্বাস্থ্য অনুষদ। এই পাবলিক রিসার্চ ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক এবং স্নাতক স্তরে একাডেমিক প্রোগ্রাম পাওয়া যায়।

ইউনিভার্সিটি অব ওয়াটারলু স্বীকৃতি হার

কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়: আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে স্নাতক ,স্নাতকোত্তর এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামে অধ্যায়নের সুযোগ দিচ্ছে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ব্যাচেলর, মাস্টার, পিএইচডি, ডক্টরেট, পোস্টডক্টরাল এবং সার্টিফিকেট প্রোগ্রামে সমস্ত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আবেদনের জন্য অফার করে থাকে। সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয় কানাডার একটি শীর্ষস্থানীয় পাবলিক রিসার্চ বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতি বছর তিন হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীকে সুবিধা প্রদান করে থাকে। স্নাতকের জন্য স্কলারশিপের সময়কাল ৪ বছর ,স্নাতকোত্তরের জন্য সময়কাল ২ বছর এবং ডক্টরাল প্রোগ্রামের জন্য সময়কাল ২ বছর। বিশ্ববিদ্যালয়টি চিকিত্সা ক্ষেত্রে গবেষণায় অবদানের জন্যও পরিচিত।

কানাডায় স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন প্রক্রিয়াঃ- 
শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমেই কানাডার স্টুডেন্ট ভিসার আবেদন করতে পারবেন।  তবে কানাডা ভ্রমণের নির্ধারিত তারিখের তিন মাস আগে পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন করতে ক্লিক করুন 

বাংলাদেশে অবস্থিত কানাডিয়ান এম্বাসির ঠিকানা: হাই কমিশন অফ কানাডা, বাংলাদেশ, Diplomatic Zone, United National Road, ঢাকা 1212

সময় সূচি: শুক্রবার-শনিবার- বন্ধ থাকে। রবিবার-সোমবার-মঙ্গলবার-বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪.৩০, বৃহস্পতিবার ৮.০০ থেকে ১.৩০ পর্যন্ত। মোবাইল নাম্বার: 02-55668444,

ওয়েবসাইটের ঠিকানা: https://www.internationnal.gc.ca/country-pays/bangladesh/dhaka-dacca.aspx?lang=eng

সবকিছু ঠিক থাকলে একমাসের মধ্যে আপনি হাতে পেয়ে যাবেন আপনার স্বপ্নের দেশের ভিসা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com