শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০৯ পূর্বাহ্ন

কানাডার সব শহরে যেতে চায় বিমান

  • আপডেট সময় রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

ঢাকা থেকে টরন্টো রুটে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এবার কানাডার বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বাংলাদেশিদের পৌঁছে দেওয়ার পরিকল্পনা তাদের। প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে এয়ার কানাডার সঙ্গে চুক্তির পরিকল্পনার বিষয়টি বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছে তারা।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জানায়, সোমবার (২৮ আগস্ট) রাতে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান, সাবেক সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন এবং বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিমের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত লিলি নিকোলস। এতে এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ারিংয়ের বিষয়টি উঠে আসে।

২০১৬ সালের অনুযায়ী একটি বেসরকারি হিসাব মতে, বর্তমানে কানাডায় প্রায় ১ লাখ বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং অভিবাসন প্রত্যাশী রয়েছেন। তাদের অধিকাংশই টরন্টো, অটোয়া, মন্ট্রিয়াল, ভ্যানকুভার এবং আলবার্টায় থাকেন। টরন্টো থেকে এয়ার কানাডার প্লেনে করে বাংলাদেশিদের সেসব শহরে পৌঁছে দিতেই এই চুক্তি করতে চায় বিমান।

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) কানাডিয়ান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ নিয়ে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি পাঠান বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার।

তিনি জানান, আনুষ্ঠানিক বৈঠকে কানাডা ও বাংলাদেশের মধ্যে বিমান চলাচল ও এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তির সম্ভাব্য দিকগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

এসময় লিলি নিকোলস বলেন, বিমানের ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সহজ করেছে। এই রুটে যাত্রী সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইটের সফলতার ব্যাপারে সন্দেহগুলো দূর হয়েছে।

বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও কানাডিয়ান হাইকমিশনের সহযোগিতায় ঢাকা-টরন্টো ফ্লাইট চালু করতে সক্ষম হয় বিমান। এই রুটটি বর্তমানে অন্যতম লাভজনক রুটে পরিণত হয়েছে। বর্তমানে এই রুটে ফ্লাইট ফ্রিকুয়েন্সি বৃদ্ধিরও প্রস্তাব আসছে। রুটটি চালু হওয়ার ফলে ট্রানজিট জটিলতা নিরসন হয়েছে। বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় শিক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটছে। বাংলাদেশের পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর যাত্রীরাও উপকৃত হচ্ছেন।

বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম বলেন, ১৯৯৯ সাল থেকে কানাডার সঙ্গে বিমানের ইন্টারলাইন যোগাযোগ রয়েছে। আমরা সেটি আরও বিস্তৃত করতে চাই। এয়ার কানাডার সঙ্গে কোড শেয়ার চুক্তি সম্পন্ন হলে দুই এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি যাত্রীরাও উপকৃত হবেন। ক্রমবর্ধমান যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনায় নিয়ে ফ্লাইট ফ্রিকুয়েন্সি বৃদ্ধির বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com