১৯৫৭ সাল থেকে কানাডায় ব্যাপক জনসংখ্যা বৃদ্ধির জন্য বলতে গেলে অভিবাসন একাই ভূমিকা রাখছে বলা যায়। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার নতুন হিসাবে এমনটাই বলা হয়েছে।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত কানাডার জনসংখ্যা ১০ লাখের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থাৎ এই সময়ে কানাডার জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ শতাংশ। বর্তমানে কানাডার জনসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ কোটির বেশি।
একই সময়ে কানাডায় অস্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা বেড়েছে ৪৬ শতাংশ। স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত কানাডায় অস্থায়ী বসবাসকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ লাখ।
সংস্থাটি বলছে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এই হার অব্যাহত থাকলে আগামী ২৫ বছরের মধ্যে কানাডার জনসংখ্যা দ্বিগুন হয়ে যাবে।
অভিবাসনমন্ত্রী মার্ক মিলার বলেছেন, সংখ্যাটি তাকে অবাক করেনি। তবে নবাগতদের আগমন নিয়ে পরিকল্পনার ওপর জোর দিয়েছে স্ট্যাটিস্টিকস কানাডা।
গত কয়েক বছরে লিবারেল সরকার অভিবাসনের রেকর্ড লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা সর্বোচ্চ কত সংখ্যক মানুষ কানাডায় সাময়িক ভিসায় আসতে পারবে সে ব্যাপারে সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করেনি। মিলার বলেন, আমার কাছে যেটা গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়োপযোগী মনে হয় তা হলো অভিবাসীদের যেনো আমরা আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারি সেটা নিশ্চিত করা। পাশাপাশি তারা যখন এখানে আসবেন তখন তারা যেনো সঠিক শ্রম পরিবেশ পায়। কিছু ক্ষেত্রে নাগরিকত্বও দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু এটা পরিকল্পনা ও সর্বস্তরে প্রস্তুতির ব্যাপার।
কানাডায় এখন অস্থায়ী বাসিন্দার সংখ্যা আদিবাসীদের ছাড়িয়ে গেছে। ২০২১ সালের শুমারিতে কানাডায় আদিবাসী ছিল ১৮ লাখ। গত সাত বছরে অস্থায়ী ভিসার ব্যাপক বৃদ্ধি নিয়ে মার্ক মিলার এবং আবাসনমন্ত্রী শন ফ্রেজারকে সম্প্রতি উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেছে। বিশেষ করে আবাসন সংকটের পরিপ্রেক্ষিতে এই উদ্বেগ দেখিয়েছেন তারা।
স্ট্যাটিস্টিকস কানাডার তথ্য অনুযায়ী, গত বছর কানাডায় প্রকৃত জনসংখ্যা বৃদ্ধি ১৯৫৭ সালের দ্বিগুন হয়েছে। ওই সময় বেবি বুম সর্বোচ্চ পর্যায়ে ছিল। পাশাপাশি হাঙ্গেরিয়ান শরনার্থী সংকটও ছিল।