বর্তমানে প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে কানাডায় ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসেন প্রায় তিন লাখ। তবে কনফারেন্স বোর্ড অব কানাডা বলছে, প্রয়োজনের তুলনায় এটি কম। বোর্ডের মতে কানাডার অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রতি বছর ইমিগ্র্যান্ট দরকার চার লাখ ১৩ হাজার।
বেঙ্গলি ইনফরমেশন এন্ড এমপ্লয়মেন্ট সার্ভিসেস (বায়েস) আয়োজিত এক ওয়ার্কশপে এই তথ্যের কথা জানান প্রবন্ধ উপস্থাপনকারী ও ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মাহমুদা নাসরীন। টরন্টোর ডেনফোর্থস্থ এক্সেস পয়েন্টে ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়। এতে স্থানীয় বাঙালি কমিউনিটি ছাড়াও অন্যান্য কমিউনিটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
বায়েসের নির্বাহী পরিচালক ইমাম উদ্দিনের শুভেচ্ছা বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ ওয়ার্কশপে কানাডায় ইমিগ্রেশনের বর্তমান বিভিন্ন নিয়মাবলী সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। উপস্থাপক মাহমুদা নাসরীন বলেন, কানাডার ইমিগ্রেশন একটি প্রক্রিয়া। শিক্ষা, দক্ষতা এবং সরকারের চাহিদা অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগ্রহীরা কানাডায় ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসতে পারেন। আসার পর এই ইমিগ্র্যান্টরা এক পর্যায়ে নাগরিক হন এবং অন্যদের মতো সব সুযোগ সুবিধাই ভোগ করেন।
বায়েসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বর্তমানে কানাডায় বিভিন্নভাবে ইমিগ্র্যান্ট হয়ে আসা যায়। এর মধ্যে রয়েছে এক্সপ্রেস এন্ট্রি, ফ্যামিলি স্পন্সরশীপ, রিফিউজি, প্রভিন্সিয়াল নমিনি ও ইনভেস্টর (কুইবেক) ক্যাটাগরী। এছাড়া কেয়ারগিভার, স্টুডেন্ট হয়েও কানাডায় আসার সুযোগ রয়েছে। তবে আসতে হলে এসব বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান থাকা দরকার। সবচেয়ে বেশি দরকার ইংরেজী ভাষাগত দক্ষতা। কানাডায় ইমিগ্রেশনের নিয়মকানুন ও এ সম্পর্কিত যে কোন তথ্য পাওয়া যাবে সরকারি এই ওয়েবসাইটে http://www.cic.gc.ca/english/immigrate/index.asp
ফেডারেল গভর্নমেন্টের আর্থিক সহায়তায় সিনিয়রদের নিয়ে বায়েসের একটি প্রজেক্টের আওতায় কমিউনিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর প্রতি মাসে এ ধরনের একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বায়েসের ফেসবুক গ্রুপ Sharing Information, Improving Lives এর মাধ্যমে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করা হয়।