বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

কানাডায় কখন আসবেন ও কারা আসবেন

  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

কানাডায় আসলে আপনাকে প্রথমে অনেক ধরণের চ্যালেঞ্জিং ফেস করতে হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। সে আপনি যে কোনো স্ট্যাটাস নিয়ে আসেন না কেন।

বর্তমানে কানাডার সিচুয়েশন অনুযায়ী কানাডায় কারা ও কখন আসলে ভালো হয় সে ব্যাপারে সম্পূর্ণ আমার ব্যক্তিগত মতামত বলছি।

ইমিগ্রেশন : ইমিগ্রেশনে যদি আসেন তাহলে আপনারা যাঁরা মাস্টার্স বা এর বেশি ডিগ্রি নিয়েছেন তাঁরা অন্তত তিন বছর কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। বেশি হলে আরো ভালো। তবে এখানে আরেটা বিষয় আছে। কাজের অভিজ্ঞতা বেশি করতে গেলে বয়স বেশি হয়ে যায়। তখন CRS পয়েন্টস বয়সের সেক্টরে কম হয়।

ইমিগ্রেশনের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বয়সে সর্বোচ্চ পয়েন্টস পাওয়াটা ভিন্ন হয়। যেমন আপনি যদি federal skilled worker program FSWP এর মাধ্যমে করেন বয়সের সর্বোচ্চ পয়েন্টস পাবেন ১৮-৩৫ পর্যন্ত ১২ পয়েন্টস।

আবার Express entry system এ বয়সে সর্বোচ্চ পয়েন্টস পাবেন ২০-২৯ বছর পযর্ন্ত।

এই বয়সটা হলে এবং মাস্টার্স বা হাইয়ার ডিগ্রি থাকলে, কমপক্ষে তিন বছরের অভিজ্ঞতা থাকলে ও সঙ্গে IELTS এর গুড স্কোর থাকলে আপনি ইমিগ্রেশনের জন্য আবেদন করে ফেলুন। এখানে বয়সটা ৩৫ এর মধ্যে থাকতেছে। যেটা কানাডায় আসার পর আপনার কাজে দেবে। সেটা কেমন শোনেন।

কানাডায় তো খুব struggling করতে হয়। কম বয়সে সে ধকল সহ্য করা যায়। তারপর মনে করেন যে, কানাডায় আসার সঙ্গে সঙ্গে তো আপনি আলাদীনের চেরাগ পেয়ে যাবেন না। দিনকে রাত আর রাতকে দিন বানাতে হবে। কয়েক বছর তো এভাবে চলতেই হবে। দশ বছর লাগে পায়ের নিচে মাটি ঠেকাতে। কারোর কারোর একটু কম লাগতে পারে। যাই হোক ধরেন ৩৫ এ যদি আসেন, তার সঙ্গে আরো দশ বছর জুড়ে দেন। ৪৫ বছরে যদি আপনি পায়ের নিচে পা আনতে পারেন খারাপ না।

কম বয়সে এদেশে কাজ শুরু করলে সেটা ৮০ বছরের বেশিও continue করা যায় যদি আপনি চান। এখানে আবসর গ্রহণের বয়স ৬৫। কিন্তু অনেকেই কাজ করতে থাকেন। আমার বর্তমান ম্যানেজারের বয়স পাক্কা ৭৫ বছর। সে আরো ৫ বছরের বেশি কাজ করতে চায়। তাহলে বুঝুন!

কিন্তু  আপনি যদি দেশ থেকে ৫০ বছরে আসেন মেইন ক্যান্ডিডেট হয়ে, তাহলে এখানে কাজ খুঁজে পেতে আরো বয়স পার হয়ে যাবে। খুঁজে পেতে সমস্যা হবে। আপনি আর কাজ করার শক্তিও পাবেন না।

স্টুডেন্ট: আর স্টুডেন্ট ভিসায় যারা আসতে চান আমি বলব আপনারা মাস্টার্স বা ডক্টরেট ডিগ্রি পড়ার জন্য আসেন। দেশে যদি মাস্টার্স পাশের সার্টিফিকেট থাকে সেটা ভালো। আর কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আসবেন। পয়েন্টস বাড়বে। আর এই লেভেলের পড়াশোনা করার সুবিধা হলো বর্তমানে কোনো study of field requirements নেই। আপনার spouse ওপেন ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। এক বছরের মাস্টার্সে তিন বছরে ওয়ার্ক পারমিট পাবেন। PR পাওয়া সহজ হবে।

আর যদি আপনি highest-paying master’s degrees পড়েন তাহলে আপনি খুব ভালো বেতনের চাকরি পেয়ে যাবেন।

যে বিষয়ে পড়লে ভালো চাকরি পাওয়া যাবে সেগুলোর মধ্যে অন্যতম

#1 MBA ( master’s of business administration ).

#2 Master of science in nursing.

#3 Master in economics /Finance.

#4 Madter of science in computer science.

#5 Master of science in machine learning.

# 6 master’s degree in health informatics.

তাছাড়া আরো আছে যেমন;

Masters In biomedical Engineering

Master of Science in Information Technology

Master of Engineering

Master of Architecture

এসব বিষয় মাথায় রেখে যদি কানাডায় আসেন তাহলে আপনি ভালো করতে পারবেন। সাফল্য একদিনে অর্জন হবে এটা কিন্তু  মাথায় রাখবেন না। রাতারাতি সাফল্য আসে না।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com