শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২১ অপরাহ্ন

কাতারে দর্শনার্থীদের জন্য আর কী কী আছে

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৩
tourist in the doha la corniche park walking

কাতারের দোহার অন্যতম আকর্ষণীয় স্থান সাগরতীরের সাত কিলোমিটার লম্বা রাস্তা কর্নিশ। বিশ্বকাপের কারণে এই পথ দিয়ে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও হেঁটে পার হওয়া যাবে রাস্তাটি। আর পুরো পথজুড়েই রয়েছে খাবার ও বিনোদনের বিভ্ন্নি ব্যবস্থা। ফুটবল বিশ্বকাপ দেখতে লাখ লাখ পর্যটক এখন দেশটিতে। তবে শুধু ফুটবলই নয়, পর্যটকদের মনোরনঞ্জনের জন্য এমন অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে কাতারে।

সাগরে এমন সড়কই শুধু নয়। রয়েছে বিলিয়ন ডলারের কৃত্রিম দ্বীপ। প্রায় ৪ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত পার্ল দ্বীপের ১২টি এলাকায় আছে ভিলা, বাগান আর ক্যাফে। কেনাকাটা, খাওয়া-দাওয়া ও থাকার জন্য এটিই পর্যটকের সেরা জায়গা।

কাতার যাওয়া হবে অথচ মরুভূমি দেখা হবে না; তা তো হতেই পারে না। মনোরম সৌন্দর্যে বিমোহিত হওয়ার জন্য এর বিশালতাই যথেষ্ট। মরুভূমির প্রতিকূল আবহাওয়ায় আদিম ও চকচকে বালির সাগর উপভোগ করতে হলে সাথে রাখতে হবে উপযোগী কাপড়।

দোহার পশ্চিম প্রান্তে ভিলেজিও শপিংমলে রয়েছে বিশ্বের খ্যাতনামা অনেক ব্র্যান্ডের দোকান। মজার বিষয় হল, শপিংমলের ভেতর নৌকায় চড়ার সুযোগও রয়েছে এখানে।

দোহায় দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিশেলে নির্মাণ করা হয়েছে সোক ওয়াকিফ বাজার। কাতারের অন্যতম প্রাচীন এই বাজারে রেস্টুরেন্ট, ক্যাফে ছাড়াও পাওয়া যাবে নানা ধরনের স্যুভেনিয়ারও। ৩২টি দেশের পতাকা, জার্সি, শার্ট, স্কার্ফ– নানা উপহার সামগ্রী কেনা যাবে সেখানে।

মিউজিয়াম অফ ইসলামিক আর্টে রয়েছে ইসলামী শিল্পকলার বিশাল সংগ্রহ। গবেষণা ও পড়ার জন্য আছে পাঠাগার। ৪৫ হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থিত কাতারের এই জাদুঘরটি। স্থানটি আসলে একটা কৃত্রিম উপদ্বীপ যেখান থেকে দোহা উপসাগরের দক্ষিণ প্রান্ত দেখা যায়।

কাতারের অন্যতম সেরা দর্শনীয় স্থান দেশটির জাতীয় জাদুঘর। জাদুঘরে প্রবেশে প্রাপ্তবয়স্কদের জনপ্রতি লাগবে ১০০ কাতারি রিয়াল। পুরো জাদুঘর ঘুরে দেখতে সময় লাগবে প্রায় তিন ঘণ্টা।

বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বইয়ের সংগ্রহ রয়েছে কাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে। এখানে আছে আট লাখের বেশি বই, পাঁচ লাখের বেশি ই-বুক, সাময়িকী, সংবাদপত্র ও বেশ কিছু বিশেষ সংগ্রহ রয়েছে।

অ্যাস্পায়ার পার্ক দোহার দক্ষিণে অ্যাস্পায়ার জোনে অবস্থিত। ৮৮ হেক্টরজুড়ে পার্কটি কাতারের মধ্যে বৃহত্তম। পিকনিক ও পরিবার নিয়ে ঘোরাঘুরির জন্য দারুণ জায়গা এটি।

দোহার ঐতিহাসিক সামরিক দুর্গ আল কুত নির্মিত হয়েছে ১৯২৭ সালে। কয়েক যুগ ধরেই দুর্গটি জাদুঘর হিসেবে পর্যটকদের বিস্ময়ের খোরাক যোগাচ্ছে। এখানে রয়েছে পুরনো কাঠের পণ্য, মাছ ধরার প্রাচীন উপকরণ, তৈলচিত্র আর পুরনো ফটোগ্রাফ।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com