করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় বিজ্ঞানীরা আশার আলো দেখালেন। তাঁরা এমন এক চিকিৎসা পদ্ধতির সন্ধান পেয়েছেন, যা করোনাভাইরাসের পুনরুৎপাদন ঠেকাতে সফল হয়েছে। ইঁদুরের ওপর গবেষণা চালিয়ে তাঁরা এই সফলতা পেয়েছেন।
আজ সোমবার ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই গবেষণা প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে আন্তর্জাতিক সাময়িকী প্রোসিডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স–এ। গবেষণায় বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিছু প্রাণীর শরীরে প্রোটিজ এনজাইমের একটি প্রতিরোধক (জিসি৩৭৬) প্রয়োগ করা হয়।
এতে প্রাণীগুলোর বেঁচে যাওয়ার হার ব্যাপকভাবে বেড়েছে এবং প্রাণীগুলোর ফুসফুসে ভাইরাসের পরিমাণও কমেছে।
সারা বিশ্বে করোনার টিকাদান শুরু হলেও সংক্রমণের হার এখনো খুব একটা কমেনি। সারা বিশ্বে করোনার ভারতীয় ডেলটা ভেরিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে করোনা পরিস্থিতি আবারও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এর মধ্যে বিজ্ঞানীরা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রাণীর শরীরে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন ঠেকাতে সফল হলেন।
এই প্রোটিজ এনজাইমের প্রতিরোধক হচ্ছে একধরনের অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ, যা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে ভাইরাল এনজাইমের বিস্তার প্রতিরোধ করে ভাইরাসের পুনরুৎপাদন ঠেকাতে দারুণভাবে সহায়ক।
গবেষণার সঙ্গে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কানসাস স্টেট ইউনিভার্সিটির সহযোগী অধ্যাপক ইউনজং কিম বলেছেন, ‘করোনায় আক্রান্ত হওয়া প্রাণীগুলোর চিকিৎসার জন্য আমরা প্রোটিজ প্রতিরোধক জিসি৩৭৬ তৈরি করেছি। এখন সেটা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদনের পথে রয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান জানায় যে এই প্রতিরোধক করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য কার্যকর। এখন অনেকে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রোটিজ প্রতিরোধক নিয়ে কাজ করছে।