বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৯:১০ অপরাহ্ন

কম খরচে যেভাবে ইউরোপ ভ্রমণ

  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫
১. শেনজেন ভিসায় আপনি ২৯টি দেশ ভ্রমণ করতে পারবেন।
মানুষ সবচেয়ে বেশি ঘুরতে যায় ফ্রান্স, স্পেন,ইতালি, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, গ্রীস। কিন্তু এই দেশগুলো এক্সপেন্সিভ।
তুলনামূলক কম খরচের দেশগুলো হলো পোল্যান্ড , হাঙ্গেরি , বুলগেরিয়া, পর্তুগাল।পশ্চিম ইউরোপের তুলনায় এগুলোতে থাকা, খাওয়া ও পরিবহন খরচ কম।
২. ভ্রমণের জন্য কখন যাচ্ছেন তা গুরুত্বপূর্ণ। অফ-সিজন ভ্রমণ করলে খরচ অনেক কম (মার্চ-এপ্রিল, সেপ্টেম্বর-নভেম্বর)
এই সময় টিকেট, থাকা, এবং আকর্ষণীয় স্থানগুলোতে প্রবেশ ফি কম হয়।পর্যটকের ভিড় কম থাকায় ঘোরাঘুরি আরামদায়ক হবে।
ফ্লাইট, হোটেল এবং ট্রেন টিকিট অন্তত ৩ মাস আগে বুক করলে অনেক খরচ কম হয়। শেষ মুহূর্তের বুকিং সাধারণত ব্যয়বহুল।
৩. পরিবহনে খরচ কমানোর জন্য যতোটা সম্ভব ট্রেন ও বাস ব্যাবহার করুন। বাস সবচেয়ে সস্তা এবং ভালো সার্ভিস।
FlixBus বা BlaBlaBus ব্যবহার করে শহর বা দেশের মধ্যে সস্তায় যাতায়াত করতে পারবেন।
৪. ⁠এক দেশ থেকে আরেক দেশে যাবার জন্য রাতের ট্রেন বা বাসে ভ্রমণ করলে হোটেলের খরচ বাঁচবে।
৫. Eurail Pass কিনলে একাধিক দেশে সস্তায় ট্রেন ভ্রমণ করতে পারবেন।
বড় শহরগুলোর ডে পাস বা উইকলি পাস কিনতে পারেন, যা আপনাকে ট্রেন, বাস, এবং ট্রামে আনলিমিটেড ভ্রমণের সুযোগ দেয়। সাইকেল ভাড়া করতে পারেন, সস্তায় শহর ঘুরতে।
৬. যদি ফ্লাইট বুকিং দিতেই হয়, সস্তায় ফ্লাইট বুকিং করতে Ryanair, EasyJet বা WizzAir ব্যবহার করুন।
Kayak, স্কাইস্ক্যানার বা গুগল ফ্লাইটস ব্যবহার করতে পারেন।
৭. ছোট ব্যাগে প্যাকিং করলে বেস্ট (Max 10kg/person), কারণ বাজেট এয়ারলাইনে অতিরিক্ত লাগেজের জন্য বেশি চার্জ করা হয়। BlaBlaCar ব্যবহার করে অন্য পর্যটকদের সাথে ভ্রমণের খরচ ভাগ করে নিন।
৮. হোটেলের বদলে এয়ারবিএনবিতে থাকলে খরচ অনেক কম হবে। নিজের বাসার মতো থাকতে পারবেন।
একা হলে পুরো অ্যাপার্টমেন্টের বদলে একটি রুম বা শেয়ার্ড স্পেস বুক করুন। পাশাপাশি Hostelworld বা Booking.com-এ সস্তা হোস্টেল বুক করুন। ডরমিটরি রুম আরও সাশ্রয়ী। অনেকে কাউচসার্ফিং করে মানে ফ্রি থাকার জন্য স্থানীয়দের বাসায় থাকে।
৯. এয়ারবিএনবি থাকলে নিজে রান্না করে খেতে পারবেন। স্থানীয় সুপারমার্কেট থেকে খাবার কিনে নিজেই রান্না করুন।
পানি কিনে খাবার কোনো দরকার নেই। কলের পানি একদম সেইফ। স্ট্রিট ফুড বা স্থানীয় রেস্তোরাঁতে খেতে পারেন, সস্তায় পাবেন।
১০. ইউরোপের অনেক জায়গায় ফ্রি ঘোরা যায়। বেশিরভাগ শহরে ফ্রি ওয়াকিং ট্যুর পাওয়া যায়।
যেমন প্যারিসে প্রতি মাসের প্রথম রবিবার।
১১. ইউরোপের জন্য একটি ইউরোপ-ওয়াইড সিম কার্ড (যেমন: Lyca,Vodafone, Orange কিনতে পারেন। ৩০ দিনের জিন্য বেশি করে ডাটা কিনলে ভালো। ফ্রি Wi-Fi ব্যবহার করতে পারবেন হোস্টেল, ক্যাফে, এবং পাবলিক প্লেসে।
১১. প্রতিদিনের খরচের জন্য একটি নির্দিষ্ট বাজেট ঠিক করতে পারেন। থাকা-খাওয়া সহ ৫০-৬০ ইউরো। তাহলে খরচ কন্ট্রোলে থাকবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com