শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৪৮ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

কক্সবাজার সৈকতে বাড়ছে পর্যটক, কমেছে স্বাস্থ্যবিধি

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২৭ আগস্ট, ২০২১

গুড়িগুড়ি বৃষ্টি। সাগরের তীরে আছড়ে পড়ছে তীব্র গর্জন করে ছুটে আসা ঢেউ। সেই ঢেউয়ের সঙ্গী হতে বহু মানুষ ভিড় জমিয়েছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে। কেউ সৈকতে ছোটোছুটি করছে, কেউ ঘোড়ার পিঠে চড়ে ছবি তোলায় ব্যস্ত। কেউবা আবার সমুদ্রকে আলিঙ্গন করতে ঝাঁপিয়ে পড়ছে ঢেউয়ের ওপরে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) পর্যটন বাড়তে দেখা গেছে।

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো বাংলাদেশের পর্যটন কেন্দ্রগুলো। ১৯ আগস্ট থেকে খুলে দেওয়া হয় পর্যটন কেন্দ্র। শুরুর দিকে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা কিছুটা কম থাকলেও ধীরে ধীরে বাড়ছে সেই সংখ্যা। ফলে ঘরবন্দি মানুষেরা অবকাশ যাপনের সুযোগ পাচ্ছে। অন্যদিকে, স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও এতদিনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে।

যদিও হোটেল মালিকসহ স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বলছেন, দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সময় লাগবে। এখনো আশানুরূপ পর্যটক না আসায় আপাতত লাভের মুখ দেখছেন না তারা।

রুস্তম আলী নামের এক শুটকি ব্যবসায়ী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এতদিন পর সব খুলছে। মালামাল অনেক নষ্ট হইয়া গেছে। এখন কিছু বিক্রিপাট্টা হচ্ছে তবে সেটা অল্প পরিমাণে। একসময় এই বিচ লোকে গিজগিজ করতো। আর এখন দেখেন কয়টা মানুষ আছে এইহানে। ফলে বিক্রিও কম।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, আমাদের হোটেলে একসময় কোনো রুম ফাঁকা থাকতো না। এখন তো প্রায় সবই ফাঁকা। তবে খোলার দিনের তুলনায় এখন পর্যটক কিছুটা বাড়ছে। আশা করছি শুক্র-শনিবার এই সংখ্যা আরো বাড়বে।

এদিকে, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকের বাড়লেও উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে মাইকিং করা হলেও পর্যটকদের সেই বিষয়ে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।

সৈকতে মুন্সিগঞ্জ থেকে সস্ত্রীক বেড়াতে এসেছেন আহনাব হোসেন। তিনি বলেন, আমার স্ত্রী কখনো সাগর দেখেনি। তাই লকডাউন ছাড়ার পরই ওকে নিকে চলে এসেছি এখানে। সৈকতের খোলা হাওয়ায় নিশ্বাস নিতে এতদূর আসা। এখানেও যদি মাস্ক পরতে হয় তাহলে ক্যামনে হবে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যে হাতে গোনা গুটি কয়েক লোক ছাড়া সবাইকেই দেখা গেছে মাস্ক ছাড়া ঘুরতে।

কক্সবাজার টুরিস্ট জোনের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, অনেক দিন পর সৈকত পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়ছে। তবে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য আমাদের তরফ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, আমাদের টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। যদিও এর মধ্যেও কিছু ব্যত্যয় ঘটছে।

স্থবির হওয়া পর্যটন শিল্পের বিকাশ সম্পর্কে তিনি বলেন, এখানের সার্বিক বিষয়াদি ইতিবাচকভাবে চলছে। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা এটাকে আবারও আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে সক্ষম হবো। আমাদের পক্ষ থেকে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য সব বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা রয়েছে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com