শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

কক্সবাজারে দুই লক্ষাধিক পর্যটকের ভিড়

  • আপডেট সময় শনিবার, ৬ মে, ২০২৩

বৌদ্ধপূর্ণিমা ও সাপ্তাহিক ছুটিতে পর্যটকে ভরে গেছে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রনগরী কক্সবাজার। মে মাসের আগেই বুকিং হয়ে গেছে প্রায় হোটেল-মোটেল ও কটেজের কক্ষ গুলো। ইতোমধ্যে কক্সবাজারে অবস্থান করছে প্রায় ২ লাখের বেশি পর্যটক।

পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাড়তি পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত টুরিষ্ট পুলিশ। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান করছে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বৌদ্ধ পূর্ণিমা এছাড়াও শুক্র-শনি সাপ্তাহিক ছুটির বন্ধ থাকায় পর্যটকের ঢল নামে কক্সবাজারে।

ছুটিকে কেন্দ্র করে (১ মে) থেকে পর্যটকদের ঢল নেমেছে কক্সবাজারে। পর্যটকেরা  সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়ি ছাড়াও ভ্রমন করছে ডুলাহাজারার সাফারি পার্ক, মেদাকচ্ছপিয়া ন্যাশনাল পার্ক, ছিমছড়ি, দরিয়ানগর, ইনানী ও মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির, রামুর বৌদ্ধ মন্দিরসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র।

নাঈম খান নামে এক পর্যটক জানান, ছুটি পেলেই ঢাকা থেকে কক্সবাজার বেড়াতে আসি। এইবারও ছুটি পাওয়ায় চলে এসেছি। পরিবারের সবাই একসাথে বেড়াতে এসে আনন্দ করছি।

রাজশাহী থেকে ভ্রমণে আসা সাকিব হাসান জানান, কক্সবাজার না আসলে বুঝা যাবেনা এই জায়গাটা কত সুন্দর। তাই বন্ধুরা মিলে একসাথে ঘুরতে এসেছি। আমরা আগামীকাল ইনানী, হিমছড়ি ও মহেশখালী আদিনাথে  যাব।

সাকিব বলেন, রাতের সমুদ্র খুবই সুন্দর। সমুদ্র সৈকতের পাড়ে প্রয়োজনমত আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। আর জোরদার রয়েছে নিরাপত্তা।

কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হোটেল রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান জনান, ছুটিতে দুই লাখের কাছাকাছি পর্যটক এসেছে। হোটেল ও কটেজগুলোতে পর্যটকের চাপ বেড়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে সমিতির পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বাড়তি ব্যবস্থা। পুরো হোটেল মোটেল ও কটেজজোন রয়েছে সিসিটিভি ক্যামরার আওতায়।

বৃহত্তর বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবদুর রহমান জানান, পর্যটকদের সেবা নিশ্চিত করাই হচ্ছে আমাদের কাজ। আগত পর্যটকদের যেন কোন সমস্যা না হয় সেদিকেই লক্ষ রাখা হচ্ছে।কয়েকদিনের ছুটিতে দুই লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে এসেছে। এছাড়া হোটেল কক্ষ ভাড়ায় পর্যটকদের ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দেয়া হচ্ছে।হোটেল-মোটেলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে।

কক্সবাজার ট্যুরিষ্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিল্লুর রহমান জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনের জন্য পর্যটন স্পটগুলোতে অতিরিক্ত টুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সৈকতের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট গুলোয় মনিটরিং করা হচ্ছে সবসময়। ছাড়াও ইনানী, হিমছড়িসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো রফিকুল ইসলাম  জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা প্রদানে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো ঢাকা রয়েছে নিরাপত্তার চাদরে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমন নিশ্চিত করতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে একাধিক ভ্রাম্যমান আদালতের নজরদারি রয়েছে। বিভিন্ন আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁয় অতিরিক্ত টাকা আদায় বা অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিবেশন করলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com