1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
কংগ্রেসে বি-৩ ভিসার প্রস্তাব : ইমিগ্র্যান্ট-সিটিজেনের স্বজনেরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবেন
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৩৪ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

কংগ্রেসে বি-৩ ভিসার প্রস্তাব : ইমিগ্র্যান্ট-সিটিজেনের স্বজনেরা যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারবেন

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৪ জুন, ২০২১

যুক্তরাষ্ট্রের সিটিজেন ও ইমিগ্র্যান্টদের অনেকেই পরিবারের সদস্যদের দেশে রেখে এসেছেন। ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও নানা জটিলতায় অনেকে স্বজনদের এখানে আনতে পারছেন না। অনেকে আবেদন করেও সময়মতো ভিসা পান না। ফলে একজন নাগরিক কিংবা গ্রিন কার্ডধারীকে তার কাছের মানুষটির সঙ্গে দেখা করতে দিনের পর দিন অপেক্ষা করতে হয়। সিটিজেন ও ইমিগ্র্যান্টদের সেই অপেক্ষা ও দুঃখের অবসান হতে চলেছে। পরিবারের সদস্য ও নিকটাত্মীয়রা যাতে ভিজিট ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারেন, সে লক্ষ্যে মার্কিন কংগ্রেসে বি-৩ নামে নতুন ক্যাটাগরির একটি ভিসা চালু করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেখানে বি-১ ও বি-২ ক্যাটাগরির পাশাপাশি বি-৩ ভিসার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবটি এখনো পাস হয়নি। এটি পাস হলে ইমিগ্র্যান্ট ও সিটিজেন এবং দেশে থাকা তাদের পরিবারের সদস্যদের দীর্ঘদিনের দুঃখ-কষ্ট লাঘব হবে।

বি-৩ ভিসাটি হবে কেবল ভিজিট করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের কোনো নাগরিক কিংবা গ্রিন কার্ডধারী যাকে আনতে চাইবেন, তার জন্য একটি আবেদন ফরম পূরণ করবেন। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রে আগমনে ইচ্ছুক ব্যক্তির আসা, থাকা-খাওয়াসহ সব ধরনের খরচ আবেদনকারী বহন করবেন, সেই নিশ্চয়তাও তাকে দিতে হবে। এ জন্য আবেদনকারীকে পৃথক আরেকটি ফরম পূরণ করতে হবে। কেউ যদি এককভাবে খরচ বহন করতে সক্ষম না হন, তাহলে তিনি একজন কো-স্পনসরও নিতে পারবেন। এই দুটি আবেদনপত্র জমা দেওয়ার পর নিজ নিজ দেশের দূতাবাসের মাধ্যমে ওই নিকটাত্মীয়ের ভিসার আবেদন সম্পন্ন করা হবে। এরপর ইন্টারভিউ সম্পন্ন করার পর যোগ্যদের ভিসা দেওয়া হবে। যারা সকল শর্ত পূরণ করতে পারবেন, কেবল তারাই এই ক্যাটাগরির ভিসা পাওয়ার উপযুক্ত হবেন। যিনি আমেরিকায় আসার জন্য এই ভিসা পাবেন, তাকে অবশ্যই হেলথ ইন্স্যুরেন্স নিয়ে আসতে হবে। কারণ তার কোনো চিকিৎসার প্রয়োজন হলে যাতে নিজ খরচে তিনি এখানে চিকিৎসা নিতে পারেন। ওই ধরনের ভিজিটরদের জন্য সরকার কোনো ধরনের চিকিৎসা ব্যয় বহন করবে না।

একজন সিটিজেন ও গ্রিন কার্ডধারী ব্যক্তি তার স্বামী/স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে, বাবা-মা, ভাই-বোন, শ্বশুর-শাশুড়ি, দাদা-দাদি-নানা-নানি, চাচা-চাচি-মামা-মামি-খালা-খালু-ফুপা-ফুপু, ভাগনে-ভাগনি, ভাতিজা-ভাতিজি, নাতি-নাতনিসহ মোট ১০ ক্যাটাগরির আত্মীয়স্বজনকে সাময়িকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ভিজিট করানোর জন্য আনতে পাবেন। ভিজিটে আসা ব্যক্তি এখানে একনাগাড়ে সর্বোচ্চ ১২০ দিন থাকতে পারবেন। ১২০ দিন থাকার পর তাকে দেশে ফিরে যেতে হবে এবং পরে ভিসার মেয়াদ থাকলে আবার আসতে পারবেন।

বিভিন্ন অকেশন, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং পরিবারের সদস্যদের সাথে অন্যান্য কারণে তারা মিলিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। বর্তমানে একজন সিটিজেন তার পরিবারের সদস্য কিংবা তার আত্মীয়স্বজনের জন্য ভিসার আবেদন করলে এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে হতে কয়েক বছর লেগে যায়। কিন্তু অনেক সময় গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনে তাকে তার আত্মীয়ের সাথে দেখা করা ও সময় কাটানোর ভীষণ দরকার হয়। এ জন্য বি-১, বি-২ ক্যাটাগরিতে ভিজিট করার জন্য আবেদন করেন তারা। তবে এই দুই ক্যাটাগরিতে আবেদন করলেও সব সময় ভিসা মেলে না। অনেকে ভিসা পেলেও সবাই পান না। ফলে চাইলেও আসতে পারেন না। এতে করে দিনের পর দিন একজন সিটিজেন তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে দূরে থাকেন। এমনও দেখা গেছে, অন্তঃসত্ত্বা কোনো সিটিজেন কিংবা গ্রিন কার্ডধারী তার মাকে আনার জন্য আবেদন করলেন, কিন্তু মায়ের ভিসা অনুমোদন না হওয়ায় তিনি আসতে পারেন না। এতে ওই অন্তঃসত্ত্বা মানসিকভাবে ভীষণ ভেঙে পড়েন এবং তাকে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আগামীতে এ ধরনের আবেদনকারীদেরও সুবিধা হবে। আবার অনেক সময় দেখা যায়, স্বামী কিংবা স্ত্রী এখানে আছেন, দেশে থাকা স্বামী/স্ত্রীর জন্য তারা আবেদন করার পরও ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দেরি হয়। ভিসা না হওয়া পর্যন্ত তাদের আলাদাই থাকতে হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাবা-মা এখানে থাকেন, আর ছেলেমেয়েরা দেশে। তাদের আনার জন্য আবেদন করলেও দেরি হওয়ায় ওই সন্তানেরা বাবা-মায়ের কাছ থেকে দূরে থাকেন। বি-৩ ভিসা চালু হলে এসব সমস্যার নিরসন হবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com