মেলবোর্ন
মেলবোর্ন
মনোরম আবহাওয়া, সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য্য, সঙ্গে বিশ্বের হেরিটেজ সাইটগুলি – এই সমস্ত কিছুর মধ্যেই যেন ফুটে উঠেছে সিডনি-র মাহাত্ম্য। যে কারণে অস্ট্রেলিয়ার এই শহরেই পর্যটকরা সব থেকে বেশি ভিড় জমান।
আধুনিকতায় পরিপূর্ণ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুর হল এমন একটি শহর, যে শহরে পা রাখলে আপনি প্রেমে পড়তে বাধ্য। পুরনো সমুদ্র সৈকত থেকে আধুনিক শপিং মল, বিশ্বমানের রেস্তোরাঁ কিংবা রাতের শহুরে জীবন, এই সমস্ত কিছু আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। শুধু তাই নয় শহরের চারপাশে আপনার চোখে পড়বে সবুজের সারি।
আর এই শহরে এলে স্ট্রিট ফুড চেখে দেখতে ভুলবেন না যেন! শহরের রাস্তার ধারে আপনি খুঁজে পাবেন থাই, চাইনিজ, ইন্ডিয়ান থেকে মালায়েশিয়ান – সমস্ত খাবারই।
সিঙ্গাপুর
সিঙ্গাপুর মানেই শুধুমাত্র মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা বহুতলের সারি আর ঝাঁ চকচকে, চোখ ধাঁধানো শপিং মলই নয়। আরও অনেক কিছু লুকিয়ে রয়েছে এই শহরের অন্তরে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যই হোক কিংবা রাতের শহুরে জীবন, সিঙ্গাপুর এলেই আপনার চোখে পড়বে এক বৈচিত্রময় সংস্কৃতি। পরিবারের সঙ্গে লম্বা ছুটিতে ঘুরতে এলে এই শহর আদর্শ। কেন না সমস্ত বয়সের জন্যই এই শহরে কিছু না কিছু রয়েছে।
হাওয়াই
ওয়াহু-তে সার্ফিং, কিংবা মাউই দ্বীপের বিস্ময় থেকে হনোলুলু-হাওয়াই দ্বীপের সৌন্দর্য্য, আমেরিকার গ্রীষ্মমন্ডলীয় এই এলাকায় এমন কিছু লুকিয়ে আছে যা যে কোনও অতিথির মন ভোলাতে সক্ষম।
এখানকার নীল সমুদ্র সৈকত, সবুজ জঙ্গল কিংবা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে ঝরে পড়া জলপ্রপাত, সব মিলিয়ে এই স্থান হানিমুন কাপল, অ্যাডভেঞ্চার প্রেমী কিংবা সপরিবারে বেড়াতে যাওয়ার জন্য একদম আদর্শ। বহু মানুষও অবশ্য মনে করেন সৌন্দর্য্যের বিচারে এই স্থান বিশ্বের মধ্যে অন্যতম সেরা।
জাকার্তা
ইন্দোনেশিয়ার অলিন্দে অবস্থিত জাকার্তা এক বিস্তৃত মহানগর। প্রচুর শপিং মল, জিভে জল আনা খাবার এবং রাতের সৌন্দর্য্যের কারণে এই শহরে সব সময়েই পর্যটকদের ভীড় লেগেই থাকে। পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের জন্য এখানে নানা ধরনের ব্যবস্থাও রয়েছে।
এই শহরের সংস্কৃতির মধ্যে এতটাই বৈপরীত্য লক্ষ্য করা যায় যে সমগ্র ইন্দোনেশিয়াকে যেন এই শহরের মধ্যেই আপনি খুঁজে পাবেন। এই শহরের সমস্ত কিছুই আপনার মন ভোলাবে।
ম্যানিলা
‘ম্যানিলা’ শব্দের অর্থ ‘ম্যানগ্রোভের ফুলের এলাকা’। এই শহরে যেন জাদু আছে। যা আপনাকে বার বার টেনে নিয়ে আসবে ম্যানিলায়। মনোরম পরিবেশের সঙ্গে শিল্প ও সংস্কৃতির এক অদ্ভুত মেলবন্ধন আপনি খুঁজে পাবেন এই শহরে এলে।
লম্বা গ্যালারির মধ্যে লাইভ ইন্ডি মিউজিক, এখানকার সংস্কৃতি যেন ম্যানিলার এশিয়ান মেগাসিটি হওয়ার প্রমাণ।
অকল্যান্ড
অকল্যান্ড শহরটি যেন সবার ভাল লাগার জায়গা। ঐতিহ্যপূর্ণ স্থান থেকে আউটডোর থিয়েটার, সব বয়সের, সব ধরনের মানুষের জন্যেই বিনোদনের কিছু না কিছু ব্যবস্থা রয়েছে এই শহরে। আর্ট গ্য়ালারি, মিউজিয়াম থেকে ক্যাফে, রেস্তোরাঁ এই শহর তার অতিথিকে খুশি রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করে চলেছে।
শুধু তাই নয় অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের জন্য এখানে রয়েছে বানজি জাম্পিং, স্কাইডাইভিং, জেট বোটিং ইত্যাদির ব্যবস্থাও। অকল্যান্ডের বেশ কয়েকটি স্থানে আপনি পেয়ে যাবেন ভাল মানে ওয়াইনও।
লাংকাওয়ি
শহুরে একঘেঁয়ে জীবন থেকে এক ছুটে পালিয়ে মালয়েশিয়ার এই দ্বীপে গিয়ে কয়েকটা দিন কাটিয়ে আসতে পারেন আপনি। গ্রীষ্মমন্ডলীয় এই এলাকাকে ‘দ্য জুয়েল অব কেদ’ও বলা হয়। শান্তিপ্রেমীদের জন্য এই এলাকা একদম আদর্শ।
৯৯টি দ্বীপ নিয়ে তৈরি ল্যাকাওয়িতে পর্যটকরা সবথেকে বেশি ভিড় জমান। সূর্যাস্তের সময় সমুদ্র সৈকতে পায়চারি, জিভে জল আনা খাবার, বিশ্বমানের কাঠামো এবং ম্যানগ্রোভের জঙ্গল – ল্যাংকাওয়িতে এলে সব মিলিয়ে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পারবেন আপনি।
চীন
প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং নিজস্ব সংস্কৃতির মেলবন্ধন এই দুই নিয়ে তৈরি হয়েছে চীন। এখানে এলে আপনি দেখতে পারবেন লম্বা উপকূল, গভীর গিরিখাত, নির্জন মরুভূমি, ক্রিস্টাল হ্রদ, তুষারশুভ্র পর্বত, ক্রান্তীয় সবুজ জঙ্গল সবকিছুই।
একই সঙ্গে চীনা সঙ্গীত, নাটক এবং শিল্পও আপনার মন ভোলাবে। আর চীনে গিয়ে ‘দ্য গ্রেট ওয়াল অব চায়না’-কে ছুঁয়ে না দেখলে আপনার চীন ভ্রমণ সম্পূর্ণ হবে না।
তাইওয়ান
এই দ্বীপে এমন অনেক কিছু রয়েছে, যা বিশ্বের অন্য কোথাও খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এখানকার সবুজ পরিবেশ এবং আদিবাসী সংস্কৃতি আপনাকে বাকরুদ্ধ করে দেবে।
তাইওয়ানের রঙিন উৎসব, সুন্দর পূর্ব উপকূল, রহস্যময় দ্বীপপুঞ্জ, কিংবা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা পর্বতগুলিও আপনাকে সমানভাবে আকর্ষিত করবে।
জাপান
জাপানের প্রাচীন সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য এবং আধুনিকতার উত্তম সংমিশ্রণই পর্যটকদের হৃদয় চুরি করে।
এখানকার মন্দির, নিখুঁত ল্যান্ডস্কেপ এবং সুশি-র প্রেমে না পড়ে কোনও উপায় নেই।
দক্ষিণ কোরিয়া
আন্তর্জাতিকভাবে আধুনিক ও দ্রুত প্রযুক্তিগত উন্নয়নের জন্যই পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়া। তবে এর পাশাপাশি এই দেশ কিন্তু নিজেদের ঐতিহ্য এবং অন্তবর্তী সৌন্দর্য্য সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে চলেছে।
এটি এমন একটি দেশ যেখানে শহুরে ইন্ডাস্ট্রিগুলির সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে গ্রামীণ সংস্কৃতিও। প্রায় ৫০০০ বছরের ইতিহাস ধরে রেখেছে এই দেশ। অতএব এই দেশে ঘুরতে যাওয়া মানেই পর্যটকদের জন্য অপেক্ষা করছে এক অসাধারণ অভিজ্ঞতার ভান্ডার।