বাংলাদেশের চট্টগ্রাম শহরের সঙ্গে আকাশপথে যুক্ত হতে চলেছে উত্তর-পূর্ব ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা। খুব তাড়াতাড়ি আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বিমান পরিষেবা চালু হবে।
আর এই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করবে স্পাইসজেট। ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরীর বরাত দিয়ে গত বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানায় উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যতম প্রধান নিউজ পোর্টাল ইস্টমোজো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রামের মধ্যে ফ্লাইট পরিষেবা পরিচালনার জন্য ভারতীয় বিমান সংস্থা স্পাইসজেটকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে ত্রিপুরার পরিবহনমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী জানিয়েছেন।
মন্ত্রী জানান, নতুন এই ফ্লাইট সার্ভিস চালু হলে আগরতলার মহারাজা বীর বিক্রম বিমানবন্দর আন্তর্জাতিক মর্যাদায় উন্নীত হবে। এছাড়া চট্টগ্রামমুখী এই ফ্লাইটের ভাড়া ৪ হাজার থেকে সাড়ে চার হাজার রুপির মধ্যে থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ৫ হাজার ২০০ টাকা থেকে ৫ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে।
গত বৃহস্পতিবার জিরানিয়ায় আইডিটিআর (ইনস্টিটিউট অব ড্রাইভিং ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে সুশান্ত চৌধুরী বলেন, ‘আগরতলার এমবিবি বিমানবন্দরটি শিগগিরই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীত হতে চলেছে। রাজ্য সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিমান পরিষেবা শুরু করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করছে। বিমান সংস্থা স্পাইসজেটকে প্রথম আন্তর্জাতিক রুটে যাত্রী পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আন্তর্জাতিক সংযোগকে রাজ্যের জন্য অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি নতুন সুযোগ হিসেবে দেখছি।’
ত্রিপুরার এই পরিবহনমন্ত্রী আরও জানান, আগরতলা এবং আখাউড়ার মধ্যে ইন্দো-বাংলা রেলপথ সংযোগও রাজ্যের নতুন সংযোগ প্রচেষ্টার আরেকটি প্রধান দিক। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি রাজ্যে থাকার সময় আন্তর্জাতিক রেল করিডরের এই সাইটটি পরিদর্শন করেছিলেন। আমরা আশা করি এই রেললাইনটি আগামী ছয় মাসের মধ্যে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, আগরতলা বিমানবন্দরে বেশ বড় ধরনের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করা হয়েছে। সেখানে অত্যাধুনিক টার্মিনালও নির্মাণ করা হয়েছে। পিক আওয়ারে এই বিমানবন্দরটিতে একসঙ্গে থাকতে পারবেন প্রায় ১২০০ যাত্রী।