জ্বি, ঠিকই ধরেছেন, এই তিন বছর আলিশান এই জাহাজে চড়ে সমুদ্রের বুকে ভেসে বেড়ানোর সুযোগ পাবেন। তবে এজন্য বেশ ভালোই খরচ করতে হবে।
জানা গেছে, এই জাহাজ ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মাইল পাড়ি দেওয়ার সময় বিশ্বের ১৪টি ‘ওয়ান্ডারস অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ এর মধ্যে ১৩টি দেখাবে। এছাড়া বিশ্বের মোট ৩৭৫টি পোর্টের মধ্যে ২০৮টিতে রাতারাতি স্টপেজ হবে।
জাহাজটির নাম ‘এমভি জেমিনি’। এতে আছে ৪০০ কেবিন। এক হাজার ৭৪ জন যাত্রীর ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই জাহাজ ১ নভেম্বর ইস্তাম্বুল থেকে যথাক্রমে ৫ ও ১৬ নভেম্বর বার্সেলোনা ও মিয়ামিতে পিকআপ নিয়ে যাত্রা শুরু করবে।
এই ক্রুজ ওয়েবসাইটের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘৭ মহাদেশের ১৩৫ দেশ ভ্রমণের সময় ১০০টিরও বেশি ক্রান্তীয় দ্বীপপুঞ্জ ও অগণিত পাহাড়ে আরোহণ-অন্বেষণের এই সুযোগ সত্যিই স্বপ্নের মতো।’
এই বিশ্বভ্রমণের প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত কিছু আইকনিক সাইট হলো- রিও ডি জেনিরোর ক্রাইস্ট দ্য রিডিমার মূর্তি, ভারতের তাজমহল, মেক্সিকোর চিচেন ইতজা, গিজার পিরামিড, মাচু পিচু ও চীনের গ্রেটওয়াল। এমনকি জাহাজটি ১০৩টি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় দ্বীপের কাছাকাছি ভ্রমণকারীদের নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভ্রমণকালীন বছরব্যাপী প্যাকেজের সুবিধাগুলোর মধ্যে আছে- সব ডাইনিং ভেন্যুতে বিনামূল্যে অ্যাক্সেস, পড এমবার্কেশন সিস্টেম ও স্টোরেজ, বিনামূল্যে পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে দেখা, চিকিৎসা পরামর্শ, জিপিএস সহ একটি অনবোর্ড অ্যাপ।
এমনকি ডিনারের সঙ্গে অ্যালকোহল, পোর্ট ফি ও ট্যাক্স, পরিষেবা চার্জ, জিম ও ফিটনেস, লন্ড্রি , হাউসকিপিং, সমৃদ্ধকরণ সেমিনার, পানীয়, গল্ফ সিমুলেটর, বিনোদন ও পারফরম্যান্স।
সমুদ্রযাত্রার প্রকৃতি ও সময়কাল বিবেচনায় রেখে এই জাহাজে আছে দুটি মিটিং রুম, ১৪টি অফিস, একটি ব্যবসায়িক লাইব্রেরি, একটি আরামদায়ক লাউঞ্জ ও একটি ক্যাফে, ওয়াইফাই, প্রিন্টার, কনফারেন্স সরঞ্জাম ও স্ক্রিন’সহ দূরবর্তী কাজের সুবিধা।
সংস্থাটি একটি ম্যাচমেকিং স্কিমও চালু করছে। যেখানে যাত্রীরা বিভিন্ন সময় ও মৌসুমে চাইলে অন্য কারও সঙ্গে একটি কেবিন ভাগাভাগি করতে পারবেন। আরও নানা ধরনের সুযোগ সুবিধা থাকছে এমভি জেমিনি জাহাজে।
সূত্র: সিএনএন