বাঙালি ভ্রমণ প্রিয়। দুই বা তিন দিনের ছুটি মিললেই কোথাও না কোথাও বেড়াতে যেতেই হবে।পরিবার বা বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার আনন্দই আলাদা। তবে মাঝেমধ্যে একা একাও বেড়াতে যেতে হয় এক বা দুদিনের জন্য।
সামাজিক নিরাপত্তার কারণে মেয়েদের একা ভ্রমণে পরিবার থেকেই আপত্তি চলে আসে। সেক্ষেত্রে এমন স্থান নির্ধারণ করতে হবে বেড়াতে যাওয়ার জন্য, যেখানে নিরাপত্তাসহ সব সুবিধা আছে। তাই একা কোথাও ঘুরতে গেলে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে। মূলত নিরাপত্তার কারণেই একা ভ্রমণ থেকে অনেকেই বিরত থাকন। কিন্তু একা ঘুরতে যাওয়ার ইতিবাচক দিকও রয়েছে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী কী।
একা ঘুরতে গেলে নিজের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো যায়। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও নাগরিক ব্যস্ত জীবনে ক্রমশ নিজের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আসছে আমাদের। যার জন্য একটা সময় গ্রাস করে অবসাদ। সব রকম কাজে কর্মে উৎসাহ হারাতে থাকার পেছনে এটি অন্যতম কারণ। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মাঝেমধ্যে একা ঘুরতে যাওয়া অবশ্যই দরকার।
নানান জায়গার, নানান মত ও চিন্তার মানুষজনের সঙ্গে পরিচয় হয় একলা ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে
বিভিন্ন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করা সম্ভব হয়, যদি একা ভ্রমণে যাওয়া যায়। তা যত ছোট কিংবা গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার মাধ্যমে হোক না কেন, তা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিতে পারে। আর এই ধরনের অভিজ্ঞতা আমাদের সারা জীবনের সঞ্চয় হয়ে থাকে।
নানান জায়গার, নানান মত ও চিন্তার মানুষজনের সঙ্গে পরিচয় হয় একলা ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে।
একই ভাবে সুযোগ হয় বিভিন্ন ধরনের সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হওয়ার। খাবার, পোশাক, গান-বাজনা থেকে শুরু করে আরও কত কিছু যে রয়েছে আমাদের চেনা-জানা দুনিয়ার বাইরে, তা দেখা যায়, বুঝতে পারা যায়।
এ ভাবে একলা ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে যতটা অনুভব করা সম্ভব হয় ততটা হয়তো একসঙ্গে অনেকে মিলে ভ্রমণে গেলে হয়ে ওঠে না।