1. [email protected] : চলো যাই : cholojaai.net
একাকীত্ব থেকে মুক্তির যে উপায় চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু দোকান
শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:২৫ অপরাহ্ন

একাকীত্ব থেকে মুক্তির যে উপায় চালু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার কিছু দোকান

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫

সোলের নতুন “উষ্ণ হৃদয়ের কনভিনিয়েন্স স্টোর” বা নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারে ঢুকলেই খিলখিল করে হেসে ওঠেন হি কাং।

বেশিরভাগ মানুষই হয়তো ভাবেনি হি কাং এর মতো ২৯ বছর বয়সী এই তরুণ দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানীতে গড়ে ওঠা একাকীত্ব কমানোর এই নতুন উদ্যোগ ব্যবহার করবে।

কিন্তু হি কাং প্রতিদিন এই বাজারে আসেন বিনামূল্যের ইনস্ট্যান্ট রামেন নুডলস নিতে এবং অন্য দর্শনার্থী ও সমাজকর্মীদের সাথে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতে।

“আমি নিজেকে বলি, ‘আরেকটা দিন, একাকীত্ব থেকে মুক্তির আরেকটা সুযোগ’,” বলেন হি কাং।

কিশোরী বয়সে বাড়ি ছেড়ে পালানোর পর থেকে হি কাং আর পরিবারের কারও সঙ্গে কথা বলেন না। তার যেসব বন্ধু আছে, তাদের সঙ্গে পরিচয় অনলাইনে।

মূলত কে-পপ গ্রুপ সুপার জুনিয়রের ভক্ত হওয়ায় তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে।

কিন্তু এই বন্ধুদের কেউ হি কাং এর সাথে থাকে না। সবাই অনেক দূরে দূরে থাকে। বর্তমানে তিনি বেকার, তাই কোন সহকর্মীও নেই যার সঙ্গে কথা বলা যায়।

তিনি একা থাকেন, আর সময় কাটান মেঝেতে শুয়ে ফোনে সুন্দর সুন্দর প্রাণীর ভিডিও দেখে।

তিনি বলেন, “এই স্টোর না থাকলে আমার যাওয়ার মতো আর কোনো জায়গা থাকত না।”

সোলে এই দোকানটি চালু হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। খোলার পর থেকে চারটি স্টোরে আসা ২০ হাজার মানুষের একজন হি-কাং।

অথচ শুরুতে আশা করা হয়েছিল প্রথম বছর এই দোকানে হয়তো মাত্র পাঁচ হাজার মানুষ আসবে।

শহরের উত্তর-পূর্ব দোংদেমুন জেলায় অবস্থিত এই স্টোরে প্রতিদিন প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জন দর্শনার্থী আসে।

বেশিরভাগের বয়স ৪০ বা ৫০ বছর বয়সের মধ্যে। তবে হি কাং এর মতো অনেক তরুণরাও এই সেবা নিচ্ছে।

এই স্টোরগুলো বাড়ির বসার ঘরের মতো তৈরি, যেখানে আরাম এবং সঙ্গ পাওয়া যায়।

ছবির উৎস,Jake Kwon/ BBC

ছবির ক্যাপশান,এই স্টোরগুলো বাড়ির বসার ঘরের মতো তৈরি, যেখানে আরাম এবং সঙ্গ পাওয়া যায়।

২০২২ সালের এক গবেষণায় দেখা গেছে, শহরের প্রায় এক লাখ ৩০ হাজার তরুণ, যাদের বয়স ১৯ থেকে ৩৯ বছরের মধ্যে। তারা হয় সামাজিকভাবে বিচ্ছিন্ন, নয়তো বাড়িতে বন্দি।

একই গবেষণায় বলা হয়েছে, সোলে একক ব্যক্তির পরিবারের সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৪০ শতাংশে পৌঁছেছে।

এ নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বেশ উদ্বিগ্ন। কারণ তারা দেশটির জন্মহার ও বিয়ের হার কমে যাওয়া ঠেকাতে অনেক চেষ্টা চালাচ্ছে।

যে দিন বিবিসি সেই কনভেনিয়েন্স স্টোরে যায় সেদিন প্রায় দশ বারো জন দর্শনার্থীর সাথে দেখা হয়।

তাদের মধ্যে ছিলেন পুরুষ ও নারী, তরুণ ও বয়স্ক। তাদের কেউ হয় বেঞ্চে বসে নাহলে নরম বিনব্যাগে গুটিশুটি হয়ে একসাথে একটি সিনেমা দেখছিলেন।

এখানকার “একাকীত্ব প্রতিরোধ বিভাগ” এর ম্যানেজার কিম সে হিয়ন ফিসফিস করে বলেন, “আমরা মুভি ডে রাখি, যাতে মানুষদের মধ্যে সামান্য হলেও বন্ধুত্ব তৈরি হয়।”

স্টোরগুলোকে এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন কফি শপের মতো উষ্ণ পরিবেশের আবহ থাকে।

এক কোণায় এক বৃদ্ধা চোখ বন্ধ করে বসে আছেন গুনগুন করা স্বয়ংক্রিয় ম্যাসাজ চেয়ারে। অন্য কোণায় রয়েছে নুডলসের স্তূপ।

“রামেন দক্ষিণ কোরিয়ায় আরাম ও উষ্ণতার প্রতীক,” বলেন কিম।

নুডলস সেদ্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করার সময়, দর্শনার্থীদের তাদের মেজাজ ও জীবনযাপনের অবস্থা নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত জরিপ পূরণ করতে বলা হয়।

এরা কেবল শহরের ক্রমবর্ধমান একাকী মানুষের সামান্য অংশ, যাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

লি ইন সুক কনভেনিয়েন্স স্টোরে একজন কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করেন।

ছবির উৎস,Jake Kwon/ BBC

ছবির ক্যাপশান,লি ইন সুক কনভেনিয়েন্স স্টোরে একজন কাউন্সেলর হিসেবে কাজ করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশাল হারে পরিবর্তন হয়েছে: এক প্রজন্মের মধ্যে, এটি যুদ্ধবিধ্বস্ত কৃষিনির্ভর সমাজ থেকে একটি উন্নত অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে।

কয়েক দশক আগে, একই ছাদের নিচে ছয় থেকে আট সন্তানসহ বড় পরিবার দেখা ছিল স্বাভাবিক ব্যাপার।

কিন্তু শহরে অভিবাসী মানুষের ঢল পরিবারের আকার ছোট করে ফেলেছে এবং সোলের মতো জায়গাগুলোকে বিশাল শহরে পরিণত হয়েছে।

বাড়ির দাম নাগালের বাইরে চলে গিয়েছে, সবকিছুর খরচ বেড়েছে, আর দীর্ঘ ও কষ্টকর কর্মঘণ্টা অনেক তরুণকে বিয়ে বা সন্তান কিংবা দুটোই না নেওয়ার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

অন্যদিকে রয়েছে বৃদ্ধ জনসংখ্যা, যারা মনে করে সন্তানরা ব্যস্ত সময়ের সাথে তাল মেলাতে দৌড়াতে গিয়ে তাদের খেয়াল রাখতে পারছে না।

“তুমি সেই কথাটা জানো নিশ্চয়ই সেই খাবারটাই সবচেয়ে বেশি বিস্বাদ যা তোমাকে একা খেতে হয়। আমি যখন দোকানে আসা বয়স্ক মানুষদের যখন জিজ্ঞেস করি তারা ঠিকমতো খাচ্ছেন কিনা, শুধু এই প্রশ্ন শুনেই তাদের চোখ ছলছল করে ওঠে,” বলেন দোকানের কাউন্সেলর লি ইন সুক।

বিবাহবিচ্ছেদ এবং প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানরা আলাদা হয়ে যাওয়ার পর, ইন সুক বোঝেন একা থাকার অনুভূতি কেমন।

প্রথমবার যখন হি কাং স্টোরে আসে, তখন তিনি সাথে সাথেই ইন সুকের নজর কেড়ে নেন।

হি কাং এর বয়স ইন-সুকের মেয়ের বয়সের কাছাকাছি।

অনেক দর্শনার্থীর মতো, হি কাং প্রথম দিন চুপচাপ ছিলেন, প্রায় কারও সাথেই কথা বলেনি।

কিন্তু দ্বিতীয়বার আসার পর থেকে তিনি ইন-সুকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার বয়স্ক জনগোষ্ঠী বাড়ার সাথে সাথে একাকীত্বের অনুভূতিও বাড়ছে।

ছবির উৎস,Getty Images

ছবির ক্যাপশান,দক্ষিণ কোরিয়ার বয়স্ক জনগোষ্ঠী বাড়ার সাথে সাথে একাকীত্বের অনুভূতিও বাড়ছে।

“একা মৃত্যু” বা “lonely deaths” বেড়ে যাওয়ায় সোল কর্তৃপক্ষ উদ্যোগ নেয়। অনেক বয়স্ক মানুষ বাড়িতে একা মারা যাচ্ছিলেন, আর কয়েক দিন বা সপ্তাহ পরে তাদের দেহ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল।

পরে মৃত্যুর আগে এই মানুষগুলোর খোঁজখবর নেওয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়। পরে এই উদ্যোগ একাকীত্ব কমানোর মতো প্রকল্পে বিস্তৃত হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার সোল প্রথম কোনো শহর না, এর আগে ২০১৮ সালে যুক্তরাজ্য একাকীত্ব মোকাবিলায় “মন্ত্রীর পদ” তৈরি করে।

জাপানও একইভাবে একটি সংস্থা গড়ে তোলে, বিশেষ করে কোভিড মহামারির সময় যখন সমস্যাটি বেড়ে গিয়েছিলো।

জাপানে সমাজ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া এতটাই সাধারণ যে এর জন্য একটি আলাদা নাম আছে: হিকিকোমরি।

দক্ষিণ কোরিয়াতেও ক্রমেই অনেক তরুণ প্রতিযোগিতামূলক ও কঠোর সমাজ থেকে স্বেচ্ছায় নিজেদের আলাদা করে ফেলছে।

“হয়তো এই প্রবণতা মহামারির কারণে বেড়েছে,” বলেন সোল এক অ্যান্টি-লোনলিনেস (একাকীত্ব-বিরোধী) প্রোগ্রামের ম্যানেজার লি ইউ-জিয়ং।

তিনি লক্ষ্য করেছেন, সন্তানদের বন্ধুরা এলেও তারা স্মার্টফোনে ডুবে থাকে।

“আজকাল মানুষ বন্ধুদের নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা কঠিন বলে মনে করে। একাকীত্ব এখন এমন এক সমস্যা, যা পুরো সমাজকে মিলে সমাধান করতে হবে।”

গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার আরও বেশি মানুষ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা অনুভব করছে।

ছবির উৎস,Getty Images

ছবির ক্যাপশান,গবেষণায় দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার আরও বেশি মানুষ সামাজিক বিচ্ছিন্নতা অনুভব করছে।

প্রথম পদক্ষেপ ছিল এমন একটি হটলাইন চালু করা, যাতে যাদের কথা বলার মতো কেউ নেই তারা ফোন করতে পারেন।

২০২৩ সালের একটি জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, দক্ষিণ কোরিয়ার এক-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্কের হয় গৃহস্থালির কাজে সাহায্য করার মতো কেউ নেই, নয়তো মন খারাপ হলে কথা বলার মতো কেউ নেই।

এই হটলাইনের পরামর্শদাতারা ৪০ মিনিটের ফোন আলাপের সুযোগ দেন, যেকোনো বিষয়ে কথা বলার জন্য।

পার্ক সুং-আ প্রতিদিন তার অফিস কিউবিকল থেকে তিনটি করে ফোন করেন।

“আমি এটা দেখে অবাক হয়েছি যে অনেক তরুণ এই সেশনগুলো চেয়েছে। তারা বুকে জমে থাকা বোঝা হালকা করতে চায়, কিন্তু প্রায়ই বাবা-মা বা বন্ধুদের সাথে ক্ষমতার পার্থক্যের কারণে সবসময় সেটা বলা হয় না। তাই তারা আমাদের কাছে আসে।”

এরপর দ্রুতই আসে “উষ্ণ হৃদয়ের কনভিনিয়েন্স স্টোর” একটি কাঠামোগত জায়গা, যেখানে একাকী মানুষদের স্বাগত জানানো হয়।

এই কনভিনিয়েন্স স্টোরের জন্য দোংদেমুনের লোকেশনটি বেছে নেওয়ার মূল কারণ এর অবস্থান নিম্ন-আয়ের আবাসনের কাছাকাছি।

যেখানে বাসিন্দারা খুব ছোট ছোট ভাগ করা অ্যাপার্টমেন্টে একা থাকে।

একাকীত্ব

ছবির উৎস,Getty Images

৬৮ বছর বয়সী সন সপ্তাহে একবার এই স্টোরে আসেন সিনেমা দেখতে এবং তার খুপড়ি বাসা থেকে বেরিয়ে এসে কিছুটা মুক্তির স্বাদ পেতে।

“এই স্টোরগুলো আমার জন্মের আগেই খোলা উচিত ছিল। মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় কাটালেও ভালো লাগে,” তিনি বলেন।

সন তার জীবনের পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় কাটিয়েছেন মায়ের দেখাশোনা করে, তিনি শিশু বয়স থেকেই মস্তিষ্কে অ্যানিউরিজমে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এর ফলে, তিনি কখনো বিয়ে করেননি বা সন্তান নেননি।

ব্রেন অ্যানিউরিজম হল এমন একটি অবস্থা যেখানে মস্তিষ্কের রক্তনালীর পাশে বা দেয়ালে অস্বাভাবিকভাবে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তনালী ফুলে যায়। যা ফেটে গেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হতে পারে।

মা মারা যাওয়ার পর তার এই আত্মত্যাগের মূল্য স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

কয়েক বছর আগে নিজের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের শিকার হওয়ার পর থেকে নিঃস্ব অবস্থায় আছেন তিনি।

এখন তিনি লাঠিতে ভর করে হাঁটেন এবং পকেটে টাকাপয়সা নেই। তিনি বলেন, “আমার যাওয়ার তেমন জায়গা নেই। যেখানেই যাই, সেখানেই খরচ লাগে, সিনেমা দেখতে গেলেও খরচ লাগে।”

এ ব্যাপারে স্টোর ম্যানেজার লি বো-হিউন জানান, এই স্টোরগুলো বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে সেই মানুষদের জন্য, যাদের অন্য কোথাও স্বাগত জানানো হয় না।

এখানে শুধু বসার জায়গা আর সিনেমা দেখার সুবিধা নয় বরং গরমের দিনে কম আয়ের মানুষদের জন্য বিনামূল্যে এয়ার কন্ডিশনিংয়েরও ব্যবস্থা থাকে, যাদের ঘরে এটি চালানোর সামর্থ্য নেই।

এই স্টোরগুলোকে এমন একটি স্থান হিসেবেও তৈরি করা হয়েছে, যেখানে একাকী মানুষরা সাহায্য চাইবার সামাজিক লজ্জা এড়াতে পারেন।

একাকীত্ব

ছবির উৎস,Getty Images

দোকানের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে “কনভিনিয়েন্স স্টোর” রাখা হয়েছে, যাতে মানুষের মনে মানসিক স্বাস্থ্য ক্লিনিকের ভাবনা না আসে।

কারণ কোরিয়ায় মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সাহায্য চাওয়াকে এখনও কলঙ্ক হিসেবে দেখা হয়, বিশেষ করে বয়স্ক বাসিন্দাদের মধ্যে এই সামাজিক বাধা ব্যাপকভাবে দেখা যায়।

তবুও, প্রথমবার দরজা পেরিয়ে আসা অনেকের মধ্যেই সেই দ্বিধা দেখা যায়, যা তাদের একাকীত্বের অভিজ্ঞতার কারণে আরো বেড়ে যায়।

স্টোর ম্যানেজার লি বলেন, প্রথমে অনেকে কারও সাথে কথা বলতে বা একসাথে খেতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না।

“সাধারণ একাকীত্ব যদি দিন, মাস, বা ছয় মাস ধরে চলতে থাকে, তখন সেটা আর কেবল একটি অনুভূতি থাকে না,” লি ব্যাখ্যা করেন।

“তখন সেই মানুষরা ইচ্ছা করেই জন সমাগম এলাকা এড়িয়ে চলা শুরু করে। তাই অনেকেই আমাদের জিজ্ঞেস করে তারা কি রামেন নিয়ে যেতে পারে, কারণ তারা অন্যদের সাথে বসে খেতে চান না।”

লি তাদের বলেন, কথা বলার প্রয়োজন নেই। শুধু একই টেবিলে বসে নুডলস খাওয়াই যথেষ্ট।

কয়েক মাস আগে হি কাং এমনই নীরব নতুন অতিথিদের একজন ছিলেন।

তাহলে কি তাদের মধ্যে কোন পরিবর্তন এসেছে? ইন-সুক স্থানীয় এক পত্রিকার সঙ্গে কথা বলছিলেন।

মেয়ের কথা উঠতেই হঠাৎ বুকের ভেতর ব্যথা অনুভব করেন তিনি, তার কণ্ঠ ভেঙে আসে।

“আমি তোমাকে জড়িয়ে ধরতে চাই,” বলে ওঠেন হি-কিউং।

হি কাং ঘরের এক প্রান্ত থেকে হেঁটে এসে ইন-সুককে আলিঙ্গন করেন।

বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Developed By ThemesBazar.Com