শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

এককালে যেভাবে আকাশ দাপিয়ে বেড়াত কনকর্ড বিমান

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

এককালে আকাশ কাঁপিয়ে যাতায়াত করত যাত্রীবাহী কনকর্ড বিমান। ২০০৩ সালে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এটিই ছিল সবচেয়ে দ্রুতগতির যাত্রীবাহী বিমান। এতে নিউইয়র্ক থেকে লন্ডন যেতে সময় লাগত মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। দূরত্বের হিসেবে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পথ। এই দূরত্ব পাড়ি দিতে বোয়িং ৭৪৭ বিমানের সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা। উচ্চগতিতে ছোটার জন্য কনকর্ড বিমানে বিশেষ কিছু কারিকুরি করা হয়। কী সেই কারিকুরি তা একটু পরেই জানা যাবে।

সে প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে কনকর্ড বিমান নিয়ে একটু বলা যাক। এটি মূলত একটি সুপারসনিক বিমান। ইংরেজিতে শব্দের গতির চেয়ে বেশি গতি বোঝাতে সুপারসনিক শব্দটা ব্যবহৃত হয়। অর্থাৎ শব্দের চেয়ে বেশি গতিতে ছুটে চলে এমন বিমানকে সুপারসনিক বিমান বলা হয়। বাতাসে শব্দের গতি ঘণ্টায় ১ হাজার ২৩৫ কিলোমিটার। এর চেয়ে বেশি গতিতে চললে সেটাকে সুপারসনিক বিমানের কাতারে ফেলা যায়। ব্রিটিশ অ্যারোস্পেস ও ফ্রেঞ্চ অ্যারোস্পেশিয়ালের যৌথ উদ্যোগে এ বিমানগুলো তৈরি করা হয় ৬০-এর দশকে।

১৯৭৬-২০০৩ সাল পর্যন্ত আকাশে যাত্রী পরিবহন করেছে এ বিমানগুলো। উড্ডয়নের সময় ঘণ্টায় ৪০২ কিলোমিটার বেগে ছুটতে পারত। আর ওড়ার সময় ঘণ্টায় গড়ে ২ হাজার ১৭৩ কিলোমিটার বেগে চলত। ২০০৩ সালের পর আর কনকর্ড বিমানের বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালিত হয়নি। অন্যদিকে বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত বোয়িং ৭৩৭-৭০০ মডেলের বিমানগুলোতে উড্ডয়নের সময় গতি হয় ঘণ্টায় ২৭৮ কিলোমিটার এবং ওড়ার গড় গতি ঘণ্টায় ৮২৮ কিলোমিটারের মতো।

গতি অর্জনের জন্য কনকর্ড বিমানের ইঞ্জিনিয়াররা একে এমনভাবে ডিজাইন করেছিলেন, যেন ধীর গতির পরিস্থিতি (ল্যান্ডিং বা উড্ডয়নের সময়) এবং উচ্চ গতির পরিস্থিতি (আকাশে থাকার সময়), দুটিই ভালোভাবে সামলাতে পারে। এমনটাই মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার এম্ব্রি-রিডল অ্যারোনটিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাভিয়েশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের খণ্ডকালীন সহযোগী অধ্যাপক টনি ফারিনা।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com