শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০১ পূর্বাহ্ন

এই দেশগুলিতে না আছে পুলিশ, না আছে কোনও জেল

  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩

কোনও দেশের নিরাপত্তার কথা উঠলেই সাধারণত দুটি ছবি আসে। প্রথম সেনাবাহিনী এবং দ্বিতীয় পুলিশ। একটি গোটা দেশ তথা দেশবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। কিন্তু পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যাদের কোনও পুলিশ নেই! আর পুলিশ যখন নেই তখন জেলই বা থাকবে কী করে?

এই দেশগুলিতে না আছে পুলিশ, না আছে কোনও জেল, বড়ই অদ্ভুত না!
দেশের নিরাপত্তা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আর কোনও দেশের নিরাপত্তার কথা উঠলেই সাধারণত দুটি ছবি আসে। প্রথম সেনাবাহিনী এবং দ্বিতীয় পুলিশ। একটি গোটা দেশ তথা দেশবাসীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী। পুলিশের দায়িত্ব দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার রক্ষা করা এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্ব বাইরের শত্রুর হাত থেকে দেশ, দেশবাসীতে নিরাপদ রাখা। তাই প্রতিটি দেশে পুলিশ এবং সেনাবাহিনী থাকা খুবই জরুরি। কিন্তু যদি বলি যে পৃথিবীতে এমন অনেক দেশ আছে যাদের কোনও পুলিশবাহিনী নেই। নেই কোনও জেল। কী শুনতে অবাক লাগছে কি? ভাবছেন তো তাহলেএই সব দেশের নিরাপত্তা কীভাবে রক্ষিত হয়? অপরাধীদের শাস্তিই বা হয় কীভাবে? তাহলে চলুন সীমান্তে পুলিশবিহীন দেশগুলি সম্পর্কে একটু খোঁজ নেওয়া যাক। (All photo credit: pexels.com)

ভ্যাটিকান সিটি
ভ্যাটিকান সিটি

বিশ্বের ক্ষুদ্রতম রাষ্ট্র ভ্যাটিকান সিটি হল ইটালির রাজধানী রোমের একাটি অংশ। পোপ এবং দেশের নিরাপত্তার জন্য অতীতে এখানে সশস্ত্রবাহিনী ছিল। কিন্তু পোপ পল ষষ্ঠ ১৯৭০ সালে সমস্ত বাহিনী বাতিল করে দেন। ভ্যাটিকান সিটির সুরক্ষার দায়িত্ব ইটালির।

নউরু

নউরু

প্রশান্ত মহাসাগরে অবস্থিত এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির আয়তন ২১ বর্গ কিলোমিটারের সামান্য বেশি। দেশের জনসংখ্যা মাত্র ১০ হাজার। এটি মাইক্রোনেশিয়ার অংশ। এই দেশের নিজস্ব কোনও পুলিশ বা নিরাপত্তাবাহিনী নেই।

পালাউ-এ কোনও জেল নেই

পালাউ-এ কোনও জেল নেই

পালাউ-এর কোনও সেনাবাহিনী নেই। শুধুমাত্র অনুমতিপ্রাপ্ত বাহিনী বলতে আছে পুলিশবাহিনী। দেশেটির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে ৩০ জনের মেরিটাইম সার্ভিল্যান্স ইউনিট। কমপ্যাক্ট অফ ফ্রি অ্যাসোসিয়েশনের অধীনস্ত পালাউকে প্রতিরক্ষা প্রদান করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

নেদারল্যান্ড

নেদারল্যান্ড

দেশের জনগণ জেলখানায় বসে থাকুক তা নেদারল্যান্ড সরকার চায় না। এতে নাকি অর্থনীতির উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। তাই অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার পরিবর্তে তাদের উন্নত জীবনযাপনে সহায়তা করার জন্য তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। নেদারল্যান্ডস অপরাধীর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করতে ইলেকট্রনিক ট্যাগিং ব্যবহার করে। এই যন্ত্রটি ব্যক্তির গোড়ালিতে আটকানো থাকে। যা ব্যক্তির প্রতিটি কার্যকলাপ রেকর্ড করে। অনেক অপরাধীর শরীরেই এই ডিভাইসটি লাগিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আইসল্যান্ড

আইসল্যান্ড

আইসল্যান্ড ইউরোপের দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ। এর কোনও স্থায়ী সামরিকবাহিনী নেই। সৌন্দর্যের দিক থেকেও আইসল্যান্ডের কোনও তুলনা হয় না। এই দ্বীপ রাষ্ট্রের দায়িত্বে রয়েছে স্বয়ং ন্যাটো। ১৮৬৯ সাল থেকে এই দেশের সীমান্তে কোনও সেনাবাহিনী নেই। ন্যাটোর সদস্য হওয়ায় দেশের যাবতীয় সুরক্ষার দায়িত্ব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com