শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

উড়ন্ত অবস্থায় জন্ম নিলে শিশুর জাতীয়তা কী হবে

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩

বিমানে জন্ম নেয়া কোন শিশুর জাতীয়তা নির্ধারণ করা একটু সমস্যাই হয়ে যায়। তখন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর বিভিন্ন বিষয় বিবেচনায় নিতে হয়। যেমন গন্তব্য, আকাশসীমা ইত্যাদি।

একেক দেশের জাতীয়তার আইন একেক রকম। যেমন যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযাযী- এর স্থল, জল বা আকাশসীমায় জন্ম নেয়া প্রতিটি শিশুই মার্কিন নাগরিকত্ব পায়। পৃথিবীর অনেক দেশেই যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভূমি আইন অনুসরণ করা হয়। তবে যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশ আবার এমন নিয়মের অনুসারী নয়। তাই এসব দেশের সীমানায় জন্ম নিলেও জাতীয়তা পাবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে নিয়ম হচ্ছে, যে দেশের আকাশসীমায় শিশু জন্ম নেবে শিশুটি সেই দেশেরই নাগরিকত্ব পাবে। আন্তর্জাতিক আরেকটি নিয়ম আছে এক্ষেত্রে। সেটি হলো, সন্তানসম্ভবা নারী যে দেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিল, শিশু সেই দেশের নাগরিক হবে।

রোগ বা প্রসবসংক্রান্ত জটিলতা না থাকলে অন্তঃসত্ত্বা নারীদের গর্ভাবস্থার ৩৬তম সপ্তাহ বা পাঁচ মাস পর্যন্ত বিমান ভ্রমণে সাধারণত কোনো বাধার সম্মুখীন হতে হয় না। তবে কিছু এয়ারলাইনস গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নারী যাত্রীদের বহন করতে গড়িমসি করে এবং চিকিৎসকের লিখিত নিশ্চয়তাপত্র দাবি করে; অর্থাৎ চিকিৎসক নিশ্চিত করবেন যে যাত্রাপথে সন্তান প্রসবের কোনো সম্ভাবনা নেই। গর্ভাবস্থার শেষের দিকে নারী যাত্রীদের জন্য বিমান ভ্রমণে কোনো আইনি নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে এ সময়ে চিকিৎসকেরা দীর্ঘ পথে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভূমি ছেড়ে আকাশের কোলে জন্ম নেওয়া বিরল হলেও নজিরবিহীন নয়। ‘জার্নাল অব ট্রাভেল’ পত্রিকায় ২০১৯ সালে প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯২৯ থেকে ২০১৮ সাল—এই ৮৯ বছরে আকাশে উড়ন্ত বিমানে জন্ম নিয়েছে মোট ৭৪টি মানবসন্তান।

অনেকেই প্রশ্ন তোলেন, উড়ন্ত অবস্থায় জন্ম নিলে নবজাতকের জন্মস্থান কোথায় এবং তার জাতীয়তা কী হবে? জন্মস্থান নির্ধারণসংক্রান্ত ১৯৬১ কনভেনশন বা চুক্তি অনুসারে আন্তর্জাতিক জল বা আকাশসীমায় একটি জাহাজ বা বিমানে জন্ম নিলে সেই জাহাজ বা বিমানের নিবন্ধনের দেশকে জন্মস্থান হিসেবে গণ্য করতে হবে। তবে শিশুর জাতীয়তা নির্ধারণ নির্ভর করে একেক দেশের জাতীয়তাসংক্রান্ত আইনের ওপর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নবজাতকের জাতীয়তা পিতা-মাতার জাতীয়তা দিয়ে নির্ধারণ করা হয়।

বিমান ভ্রমণ নিরাপদ ও আরামদায়ক। তারপরও গর্ভবতী নারীরা বিমান ভ্রমণের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ বা নির্দেশ মেনে খানিকটা পূর্বপ্রস্তুতি নিয়ে রাখলে অপ্রত্যাশিত অভিজ্ঞতা এড়াতে পারবেন।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com