শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ অপরাহ্ন

উজবেকিস্তান

  • আপডেট সময় রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০২৪

বিশ্বে বিস্মিত হওয়ার মতো অসংখ্য দৃষ্টিনন্দন স্থান আছে। কোনোটি অনেক বেশি জনপ্রিয়, কোনোটি আবার কিছুটা কম। এমই একটি স্থান মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান। ঐতিহাসিক গুরুত্ব ও নজরকাড়া সব মুসলিম স্থাপত্যকর্মের জন্য ব্যাপক পরিচিতি আছে উজবেকিস্তানের। তাসখন্দ, সমরখন্দ, বুখারা, খিভা প্রভৃতি স্থান মুসলিম সভ্যতার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। চমৎকার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের কারণে উজবেকিস্তান তার প্রতিবেশী অন্যান্য মধ্য এশিয়ান দেশগুলোর তুলনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। ১৯৯১ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পর দেশটির পর্যটন শিল্প দ্রুত প্রসার লাভ করছে। সমগ্র বিশ্বের অগণিত পর্যটকের মধ্যে অধিকাংশই মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে ভ্রমণে বের হন। একাংশ চান প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যকে আবিষ্কার করতে, আর বাকিরা পছন্দ করেন কোনো ঐতিহাসিক স্থান আবিষ্কার করতে ও ইতিহাস, ঐতিহ্য, সভ্যতা ও সংস্কৃতিকে ভালো করে জানতে। আপনি যদি বাকিদের দলে হন তাহলে আপনার জন্য আদর্শ এক গন্তব্য হতে পারে মধ্য মধ্য এশিয়ার দেশ উজবেকিস্তান।

চলুন জেনে নেই উজবেকিস্তান ভ্রমণের খরচসহ জরুরি ১০টি বিষয়

১. বর্তমানে উজবেকিস্তান যাওয়ার জন্য বাংলাদেশিদের ই-ভিসা প্রদান করা হচ্ছে। ভিসা ফি জনপ্রতি ২ হাজার ৫০০ টাকা। আপনি নিজেই করতে পারেন ভিসার আবেদন। অথবা কোনো ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে এই আবেদন করতে পারেন।

২. উজবেকিস্তান ভ্রমণের সবচেয়ে ভালো সময় হলো মার্চ থেকে মে ও সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর। ফ্লাইট খরচসহ জনপ্রতি ১ লাখ ৩০ থেকে ২ লাখ টাকার মধ্যে সুন্দর দেশটি ঘুরে আসা যায়।

৩. উজবেকিস্তান যাওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে ভারতের দিল্লি বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ট্রানজিট নিয়ে যেতে হবে। দিল্লি হয়ে যাওয়া সাশ্রয়ী। ভ্রমণ তারিখের মাস দেড়কে আগে ফ্লাইটের টিকিট কেটে নিলে কিছুটা কম দামে পাওয়া যাবে।

৪. উজবেকিস্তানে থাকার খরচ তুলনামূলক অনেক কম। দেশটিতে চার-পাঁচ তারকা হোটেল তো আছেই, সেই সঙ্গে গেস্টহাউস, বুটিক হোটেলগুলোও বেশ পর্যটকবান্ধব। যা দিন প্রতি ২০ থেকে ৬০ ডলারের মধ্যে পাওয়া যাবে। ট্রাভেল এজেন্সির চেয়ে নিজে ফ্লাইট বা হোটেল বুকিং করা সাশ্রয়ী।

৫. তাসখন্দ বিমানবন্দরেই উজবেকিস্তানের স্থানীয় মোবাইল সিম পাওয়া যায়, সেখানে ডলারও স্থানীয় মুদ্রায় ভাঙানো যায়। স্থানীয় মোবাইল নম্বর নেওয়া যাতায়াতের জন্য বেশ সুবিধার।

৬. উজবেকিস্তানের যাতায়াতব্যবস্থা খুবই ভালো। এখানে Yandex Go নামের শেয়ার রাইডিং অ্যাপ রয়েছে। যা ফোনে নামিয়ে নিলে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অল্প খরচে চলে যেতে পারবেন।

৭. উজবেকিস্তানের মানুষ অত্যন্ত আন্তরিক। ভাষার দূরত্ব থাকলেও পরামর্শ থাকবে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে মিশতে, কথা বলতে। ওখানকার আতিথেয়তার স্বাদ নেওয়াটা সফরের অন্যতম অভিজ্ঞতা।

৮. বাংলাদেশিদের উজবেকিস্তান ভ্রমণে গিয়ে খাবার নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। এখানে কাবাব, পোলাও, সমুচা, মোমো খুবই মজাদার ও সহজলভ্য। মুসলিমপ্রধান দেশ হলেও ধর্ম নিয়ে কোনো কড়াকড়ি নেই। ছুটির দিনে রেস্তোরাঁয় স্থানীয় গান পরিবেশন হয়, সুযোগ করে দেখতে পারে।

৯. কেনাকাটার জন্য খুব বেশি সময় নষ্ট না করে ভালো হয় দর্শনীয় স্থানের জন্য সময় রাখলে। আর কিছু কেনা কাটা করতে চাইলে চলে যান তাসখন্দের ‘চরসু বাজারে’। এখানে উজবেকিস্তানের বিখ্যাত ইক্কাত কাপড়ের পোশাক, সিরামিক, স্যুভেনির—সবকিছু একসঙ্গে পাইকারি দরে পাওয়া যাবে। এ ছাড়া যেকোনো দর্শনীয় স্থানেই স্থানীয় জিনিসের পসরা থাকে, চাইলে সেখান থেকেও দরদাম করে কিনতে পারেন।

১০. উজবেকিস্তানের সফর অন্তত এক সপ্তাহের হওয়া ভালো। তাসখন্দ, সমরখন্দ, বুখারা—এই তিনটি শহর অবশ্যই ঘুরে দেখুন। কেউ চাইলে শীতকালে (ডিসেম্বর বা জানুয়ারি) চিমগান পর্বতে যেতে পারেন, বরফে ঢাকা থাকে তখন। পাহাড়ি রিসোর্টে দারুণ সময় কাটবে।

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com