বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বিদেশে পড়তে যান। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় ভাষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন। বিশ্বের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি। তাই আন্তর্জাতিক এই ভাষায় দক্ষতা প্রমাণে একটি পরীক্ষা দিতে হয়। যা ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টেস্টিং সিস্টেম (আইইএলটিএস) নামে পরিচিত।
যারা উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য প্রস্তুতি এবং প্রক্রিয়া দুইটিই শুরু করেছেন কিন্তু ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণে আইইএলটিএস নিয়ে হয়তো পিছিয়ে পড়ছেন অনেকে। তবে তাদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে। চলুন জেনে নিই আইইএলটিএসের ছাড়া যেসব দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ রয়েছে।
১.পোল্যান্ডে আইইএলটিএস ছাড়াই পড়াশোনার সুযোগ: ইউরোপের সেনজেনভুক্ত একটি দেশ পোল্যান্ড, এর রাজধানীর নাম ওয়ার্শ। উচ্চশিক্ষা অর্জনসহ নিজেকে বিকশিত করার জন্য পোল্যান্ড সরকার আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের নানা ধরনের সু্যোগ প্রদান করে থাকে। এই দেশে রয়েছে শত বছর পুরনো বিশ্বমানের ১০০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় । এই সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পোলিশসহ ইংরেজি মিডিয়ামের কোর্স অফার করা হয়ে থাকে।
* ওয়ারশ ইউনিভার্সিটি
* অ্যাডাম মিকিউইচ ইউনিভার্সিটি, পোজনান
* সাইলেসিয়া ইউনিভার্সিটি, ক্যাটোভিস
* জাগোলোনিয়ান ইউনিভার্সিটি
* এজিএইচ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইউনিভার্সিটি
* ওয়ারশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
* গদানস্ক ইউনিভার্সিটি
* রকলো ইউনিভার্সিটি
* পোজনান ইউনিভার্সিটি অব মেডিকেল সায়েন্সেস
* লডজ ইউনিভার্সিটি।
আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য পোল্যান্ডের নজরকাড়া কিছু স্কলারশিপঃ-
* উকাজিইউজ স্কলারশিপ প্রোগ্রাম
* পোলিশ সরকারে পলোনিস্তা স্কলারশিপ
* ওয়ারশ ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
* মারিয়া কুরি-ওডোস্কা ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
* উলাম ইন্টারন্যাশনাল প্রোগ্রাম
* লাজারস্কি ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ
* ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ ২০২০
আইএলটিএসের বিকল্প হিসেবে যে যোগ্যতা থাকতে হবে আপনারঃ-
* কোনো শিক্ষার্থী যদি আগে একটি ইংরেজি মাধ্যমের ইনস্টিটিউট বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকেন, তাহলে আপনাকে ‘ইংরেজি ভাষার দক্ষতা’র সনদ পেতে পারেন। আইইএলটিস এবং টোয়েফলের বিকল্প হিসাবে সেই সনদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনের সময় জমা দিতে হবে। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পূর্ববর্তী প্রতিষ্ঠান থেকে ইংরেজি দক্ষতার শংসাপত্র গ্রহণ করে থাকেন।
* আবার কিছু ক্ষেত্রে কিছু বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ইংরেজি ভাষার দক্ষতা মূল্যায়নের জন্য স্কাইপ বা ভিডিও কলে সাক্ষাত্কার নেয় ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণের জন্য। সেই সাক্ষাৎকারে ভালো করতে পারলে আইইএলটিএসের সনদের প্রয়োজনের ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যায়।
* ইংরেজি ভাষা পরীক্ষার ক্ষেত্রে পোল্যান্ডের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় আইইএলটিএস ছাড়া অন্যান্য ইংরেজি ভাষার দক্ষতা পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে। যেমন: ডুওলিঙ্গোও অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গ্রহণ করে।
* আবার নেটিভ ইংলিশ স্পিকার বা ইংরেজিভাষী দেশের নাগরিক হয়ে থাকেন অথবা আপনি যদি ইংরেজিভাষী দেশগুলোর বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে আপনার শিক্ষা কার্যক্রম শেষ করে থাকেন সে ক্ষেত্রে আপনার আইইএলটিএসের সনদের প্রয়োজন নেই।
আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
২. আইইএলটিএস ছাড়াই পড়ুন ইউরোপের দেশ অস্ট্রিয়ায়: অস্ট্রিয়ার শিক্ষাব্যবস্থাও খুবই মানসম্পন্ন। অস্ট্রিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সর্বদা বিশ্ব র্যাংকিং শীর্ষ সারিতে থাকে। বর্তমানে অস্ট্রিয়ায় পড়তে যাওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর প্রধান কারণ হচ্ছে, অস্ট্রিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে বিনা বেতনে বা স্বল্প বেতনে উচ্চশিক্ষা অর্জনের সুযোগ। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, অস্ট্রিয়ার বেশ কিছু ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আইইএলটিএস দরকার হয় না। এর পাশাপাশি থাকে সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্কলারশিপ পাওয়ারও সুযোগ।
চলুন জেনে নেওয়া যাক আইইএলটিএস ছাড়াই অস্ট্রিয়ার যে আট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।
১। ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় (Vienna University):- এখানে ইংরেজি, ব্যবসা, অর্থনীতি, পরিসংখ্যান নিয়ে পড়তে গেলে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দরকার হয়। তবে এখানে ভর্তির সময় আইইএলটিএস দরকার হয় না।
২। সালজবার্গ বিশ্ববিদ্যালয় (University of Salzburg):- এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদনের ক্ষেত্রে ইংরেজি বা জার্মান ভাষায় দক্ষতা থাকতে হয়। আইইএলটিএস থাকতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। শিক্ষার্থী ইংরেজিতে খুব দক্ষ, এমন একটি রিকমেন্ডেশন লেটার থাকলেই হয়।
৩। ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস টেকনিকুম উইন (University of Applied Sciences Technikum Wien):- এখানে পড়তে ইংরেজি অথবা জার্মান ভাষায় দক্ষতা লাগে। তবে যদি আপনি আগের প্রতিষ্ঠানে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে থাকেন, তাহলে কোনো ভাষাগত দক্ষতার সনদ দরকার হবে না।
৪। জোহানেস কেপলার বিশ্ববিদ্যালয় (Johannes Kepler University):- এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু বিষয়ে পড়াশোনার ক্ষেত্রে আইইএলটিএস লাগে, সব বিষয়ের ক্ষেত্রে লাগে না।
৫। মডুল বিশ্ববিদ্যালয় (Modul University):- এটি অস্ট্রিয়ার অন্যতম প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে বাংলাদেশিরা এইচএসসির পরই ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শুরুতে এক সেমিস্টারের একটি ফাউন্ডেশন কোর্স করতে হবে। তাহলে আর আইইএলটিএস লাগবে না, কোর্সের শেষে থাকবে পরীক্ষা। মূল ডিগ্রি কোর্সে ভর্তির সময় আইইএলটিএস ৫.৫ স্কোর লাগবে।
৬। ইনসব্রুক বিশ্ববিদ্যালয় (University of Innsbruck):- পূর্বের পড়াশোনা বাংলা মাধ্যমে হলেও ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষায় খুব ভালো রেজাল্ট থাকতে হবে অথবা পড়াশোনার মাধ্যম ইংরেজি হতে হবে, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। তবে যদি আইইএলটিএস স্কোর ৫.৫ থাকে, তাহলে ভালো।
৭। ভিয়েনা ইউনিভার্সিটি অব ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস (Vienna University of Economics and Business):- বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এখানে ব্যাচেলরে ভর্তি হতে হলে আইইএলটিএস লাগবে, তবে যদি অস্ট্রিয়ার যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শিক্ষা সেন্টারের সার্টিফিকেট থাকে, যেখানে শিক্ষার্থীর B2 লেভেলের যোগ্যতা উল্লেখ থাকে, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না। আর মাস্টার্সে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীর ব্যাচেলর ডিগ্রি ইংরেজিতে করা হয়েছে, এমন প্রমাণ দিতে পারলে আর আইইএলটিএস লাগবে না।
৮। গ্রাজ কারিগরি বিশ্ববিদ্যালয় (Technical University Graz):- এখানে পড়তে ইংরেজিতে দক্ষতার সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। শিক্ষার্থী যদি পূর্ববর্তী পড়াশোনা ইংরেজি মাধ্যমে করার প্রমাণ দেখাতে পারেন, তাহলে আইইএলটিএস লাগবে না।
৩.আইইএলটিএস ছাড়াই পড়ুন ডেনমার্কে: বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ ডেনমার্ক। গবেষণা কেন্দ্রিক পড়াশোনা এবং তুলনামূলক কম টিউশন ফি এর জন্য বর্তমানে শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষাগ্রহণের আকর্ষণীয় দেশ হচ্ছে এটি।ডেনমার্কের শিক্ষার মান অন্যান্য দেশের তুলনায় খুবই উন্নত এবং ডেনিশ ডিগ্রি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। ২০২৪ সালে আইইএলটিএস ছাড়াই স্কলারশিপ নিয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে ডেনমার্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক আইইএলটিএস ছাড়াই ডেনমার্কের সেরা কয়েকটি স্কলারশিপ সম্পর্কে।
১. ডেনিশ সরকারি বৃত্তি: ডেনিশ গভর্নমেন্ট স্কলারশিপ সম্পূর্ণ বা আংশিক টিউশন ফি মওকুফ অথবা মৌলিক জীবনযাত্রার খরচ বহন করে। শুধু একাডেমিক কৃতিত্বের ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেওয়া হয়, যার মধ্যে রয়েছে ডেনমার্ক সরকারি বৃত্তি, সাংস্কৃতিক চুক্তির অধীনে ডেনিশ সরকারি বৃত্তি, ডেনমার্কের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে ডেনিশ সরকারি বৃত্তি।
২. ডেনিস ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ প্রোগ্রাম: ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ হলো ইইউ বা ইইএ এবং নন-ইইউ বা ইইএ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্কলারশিপ প্রোগ্রাম।
৩. ব্যান্টিং ইন্টারন্যাশনাল পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ: ব্যান্টিং পোস্টডক্টরাল ফেলোশিপ তাঁদের জন্য, যাঁরা গবেষণানির্ভর কর্মজীবনের মাধ্যমে অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং গবেষণাভিত্তিক ক্যারিয়ার গড়তে চান। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পোস্টডক্টরালের জন্য এ ফেলোশিপ দেওয়া হয়। এই ফেলোশিপ ডেনিশ এবং আন্তর্জাতিক—উভয় শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
৪. আইটি ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেন স্টেট স্কলারশিপ: প্রতিবছর ইইউ এবং ইইএ–এর বাইরে অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তিন থেকে চারটি বৃত্তি দেওয়া হয় এমএসসি আবেদনকারীদের। সাধারণত স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের জন্য বিনা মূল্যে টিউশন, বাসস্থান সুবিধাসহ নানা সুবিধা আছে এই স্কলারশিপে।
৫. আরহাস ইউনিভার্সিটি পিএইচডি ফেলোশিপ ইন ডেনমার্ক: বিশ্ববিদ্যালয়টি ৩০টি সম্পূর্ণ অর্থায়িত পিএইচডি এবং ফেলোশিপ দেয়। আরহাস ইউনিভার্সিটির স্বাস্থ্যবিজ্ঞান অনুষদে গবেষণা এবং ফেলোশিপের জন্য বেশ কিছু প্রণোদনা বরাদ্দ থাকে। এ বরাদ্ধ দেওয়া হয় পিএইচডি শিক্ষার্থীদের।
৬. রোসকিল্ড ইউনিভার্সিটিতে ডেনিশ স্টেট টিউশন ফি ওয়েভার্স অ্যান্ড স্কলারশিপ: এ বৃত্তি স্নাতক শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইএ–এর বাইরের দেশগুলোর নাগরিক এ বৃত্তির জন্য সুযোগ পান। এ বৃত্তির আওতায় ডেনমার্কে আবাসন ফি, টিউশন ফি মওকুফ এবং প্রতি মাসে ৭ হাজার ৮০০ ডেনমার্কের মুদ্রা ক্রোন দেওয়া হবে।
আরো বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
৪. আইইএলটিএস ছাড়াই ৭০০টির বেশি স্কলারশিপ নিয়ে পড়ুন সুইডেনে: সুইডেনের বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটি বিভিন্ন স্কলারশিপ দিয়ে থাকে, যা আপনাকে বিনা খরচে পড়াশোনা করার সুযোগ করে দিতে পারে। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য সুইডিশ ইনস্টিটিউট (এসআই) ৭০০টির বেশি মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য স্কলারশিপ দেবে। এ স্কলারশিপে আবেদনের জন্য আইইএলটিএসের প্রয়োজন নেই। আবেদনের শেষ সময় ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ।
সম্পূর্ণ অর্থায়িত এ বৃত্তিতে মাস্টার্স প্রোগ্রামের সময় এক বা দুই বছর হতে পারে। এসআই স্কলারশিপে আবেদনের জন্য প্রথমে সুইডেনে মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির আবেদন করতে হবে। কেউ বৃত্তি পেলে ২০২৪ সালের অটাম সেমিস্টারে পড়াশোনা শুরু হবে।
সুযোগ-সুবিধাঃ-
* জীবনযাত্রার খরচের জন্য শিক্ষার্থীদের মাসে ১২ হাজার সুইডিস ক্রোনার ( বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকা) প্রদান করবে।
* স্বাস্থ্য বিমা প্রদান করবে।
* ভ্রমণের জন্য ১৫ হাজার সুইডিশ ক্রোনা অনুদান।
* এছাড়া সঙ্গে পাবেন এসআই নেটওয়ার্ক ফর ফিউচার গ্লোবাল প্রফেশনালসের মেম্বারশিপ ও এসআই অ্যালামনাই নেটওয়ার্কের মেম্বারশিপ, যা শক্তিশালী একটি নেটওয়ার্ক গঠন করার সুযোগ করে দেবে।
যোগ্যতাসমূহঃ-
* বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
* স্নাতক ডিগ্রিসম্পন্ন ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
* তিন হাজার কর্মঘণ্টা কাজের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ফুলটাইম কাজ করলে যা প্রায় দেড় বছরের কাজের অভিজ্ঞতার সমতুল্য।
* সিভি, মোটিভেশন, রেফারেন্স ইত্যাদির কনটেন্ট ও প্রেজেন্টেশন হতে হবে প্রথম শ্রেণির।
* যে স্নাতকোত্তর প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করবেন তা অবশ্যই এসআই স্কলারশিপের জন্য যোগ্য হতে হবে।
* আপনাকে অবশ্যই একটি সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে এবং জানুয়ারি ২০২৪–এর মধ্যে একটি অফার লেটার পেতে হবে।
* আগে সুইডিশ বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজের কোনো ডিগ্রি নেওয়া থাকলে আবেদন করার প্রয়োজন নেই।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ-
* সিভি (সুইডিশ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত ফরমে)
* লেটারস অব রেফারেন্স (সুইডিশ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত ফরমে)
* কাজের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের প্রমাণপত্র (সুইডিশ ইনস্টিটিউটের নির্ধারিত ফরমে)
* বৈধ পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
* মোটিভেশন লেটার
আবেদন প্রক্রিয়াঃ-
আগ্রহী প্রার্থীদের সুইডিশ ইনস্টিটিউটের ওয়েবসাইট থেকে এসআই স্কলারশিপের বিস্তারিত তথ্য জেনে নিতে হবে। এরপর একই লিংক থেকে সিভি, লেটারস অব রেফারেন্স এবং কাজের অভিজ্ঞতা ও নেতৃত্বের প্রমাণপত্রের নির্ধারিত ফরম ডাউনলোড করতে হবে।
আবেদন করতে এবং বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন
৫. জার্মানিতে উচ্চশিক্ষায় পড়ুন আইইএলটিএস ছাড়াই: বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অন্যতম জার্মানি। তথ্য-প্রযুক্তিতে অগ্রসরমান এ দেশ শিক্ষাসহ নানা দিক দিয়ে ইউরোপের শীর্ষস্থানীয়। বিশেষ করে দেশটির শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিক ও যুগোপযোগী। জার্মানির বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০ লাখের বেশি শিক্ষার্থীর মধ্যে ১২ শতাংশের বেশি বিদেশি পড়াশোনা করেন।
জার্মানির কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের আইইএলটিএস ছাড়াই ভর্তির সুযোগ রয়েছে। তবে সেসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আইইএলটিএসের বিকল্প একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। ভাষা দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। আবার কিছু ক্ষেত্রে ভর্তির পর মিলতে পারে বৃত্তিও। এ ক্ষেত্রে অনেক সময় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট শেষে বৃত্তি পাওয়ার সুযোগ বেশি।
আইইএলটিএস বা অন্য কোনো ভাষা–দক্ষতা পরীক্ষা না দিয়েই শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেয় এমন কয়েকটি জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় হলো:
* ইউনিভার্সিটি অব কাইসারস্লটার্ন
* ইউনিভার্সিটি অব সিয়েজেন
* ফ্রি ইউনিভার্সিটি অব বার্লিন
* ইউনিভার্সিটি অব গিজেন
* ইউনিভার্সিটি অব কোবলেঞ্জ অ্যান্ড ল্যান্ডউ
* ব্রাউনচেইইউগ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি
* এসলিনজেন ইউনিভার্সিটি অব অ্যাপ্লায়েড সায়েন্স
আইইএলটিএসের বিকল্প পরীক্ষা:
জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় আইইএলটিএস ছাড়া ভর্তির সুযোগ আছে। তবে আইইএলটিএসের বিকল্প একটি পরীক্ষা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ভাষা–দক্ষতার প্রমাণ হিসেবেই তারা এ পরীক্ষা নেবে।
* ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য পূর্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোর্সে সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়েছিল এমন একটি সনদ জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়ে জমা দিতে হবে। অর্থাৎ সর্বশেষ পড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সব কোর্স যদি সম্পূর্ণরূপে ইংরেজি ভাষায় পড়ানো হয়, সেটির সনদ জমা দিতে হবে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা প্রমাণের জন্য।
* শিক্ষার্থী স্নাতকে সব কোর্স সম্পূর্ণভাবে ইংরেজি মাধ্যমে পড়লে আইইএলটিএস লাগবে না। শিক্ষার্থী যদি পিটিই (PTE), টোয়েফল (TOEFL), ডুয়োলিঙ্গো (Duolinguo) বা সিএই (CAE) পরীক্ষার সনদ থাকে, তবে আইইএলটিএস পরীক্ষা দিতে হবে না।
* কিছু জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় আছে, যারা আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার নিয়ে শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই করে।