বুর্জ খলিফার নাম সকলেই শুনেছেন নিশ্চয়ই। বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চতম ভবন এই বুর্জ খলিফা। তবে এবার নজির গড়তে চলেছে জাপান। নেক্সট টোকিয়ো ২০৪৫ প্রজেক্টে ‘স্কাই মাইল টাওয়ার’ নামে এক বিরাট ভবনের কাজ চলছে যা উচ্চতায় হার মানাবে বুর্জ খলিফাকেও! আধুনিক-বিলাসী জীবনের আরাম-আয়েশের সব ব্যবস্থাই থাকবে এখানে।
সেইসঙ্গে আকাশ ছোঁয়ার স্বাদ পেতে এবার থেকে আপনাকে যেতেই হবে জাপানে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে, ভবনটি তৈরি করতে সময় লাগবে ২০ বছরের বেশি! নতুন প্রজেক্টটিকে একটি শহরের সঙ্গেই তুলনা করা হচ্ছে। যেখানে থাকতে পারবেন পাঁচ লক্ষ মানুষ।
ভবনটির উচ্চতা হবে পাহাড় সমান। বুর্জ খালিফা হাতের ধুলো এই নতুন বহুতলের পাশে। ভবনটির নীচে নামলেই আপনার সঙ্গে খেলা করবে নীল তিমি। এমনকি জানালা খুলে মেঘ থেকেই খেতে পারবেন পানি। শুনতে আশ্চর্যজনক মনে হলেও বাস্তবে তাই হবে।
‘স্কাই মাইল টাওয়ার’ হবে একটি মিনি-সিটি। টাওয়ারটি থেকে পৃথিবীকে লাগবে ঠিক যেন লিলিপুট। প্যারিসের আইফেল টাওয়ারের পাঁচ গুণ উচ্চতা হবে ভবনটি। স্কাই মাইল টাওয়ারের উচ্চতা যেখনে ৫,৫৭৭ ফুট, সেখানে বুর্জ খলিফা মাত্র ২,৭২২ ফুট। সাইক্লোন কিংবা ভূমিকম্প কোন কিছুই যেন ফাটল ধরাতে পারবে না ভবনটিতে।
কী কী থাকবে বিশালাকার ভবনটিতে? জানেন কী এই ভবনটি ভাসবে গভীর সমুদ্রে। সমুদ্রের বুকে ভবন তৈরি কিন্তু বিশাল চ্যালেঞ্জ। ভেবে দেখুন সুনামি আসলে কিভাবে নিজেকে বাঁচাবে বহুতলটি? ৪২১ তলার বহুতলে থাকবে সব রকম অত্যাধুনিক ব্যবস্থা। রেস্তরাঁ থেকে জিম, শপিং মল, হাসপাতাল এক জায়গাতেই সব। পুরো ভবনটিই বাতাসের ধাক্কার প্রতিরোধী হিসাবে কাজ করবে। ঝোড়ো হাওয়ার হাত থেকে বাঁচতে এটি ষড়ভুজ আকারে বানানো হচ্ছে।
বুর্জ খলিফার মতোই কয়েক হাজার কাঁচ দিয়ে তৈরি হবে ভবনটি। ৪২১ তলার ভবনের ছাদে তৈরি করতে পারবেন আপনার সাধের বাগান। এই অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেখিয়েছেন টাওয়ারের নির্মাতা লেসলি ই রবার্টসন। হং কং-এর ব্যাঙ্ক অব চায়না টাওয়ার থেকে শুরু করে সাংহাই ওয়ার্ল্ড ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার, কুয়ালালামপুরের পিএনবি ১১৮ সবই রবার্টসনের সৃষ্টি।