ইউরোপ ও এশিয়ার মেলবন্ধন হিসেবে পরিচিত তুরস্কের ইস্তানবুল। এখানকার প্রাণবন্ত একটি কেন্দ্র ১৪৬১ সালে ইস্তানবুলে প্রতিষ্ঠিত গ্র্যান্ড বাজার। প্রতি বছর প্রায় পাঁচ কোটি দর্শনার্থী এ বাজারের ২১টি প্রবেশদ্বার অতিক্রম করে।
শত শত বছর ধরে গড়ে উঠেছে এখানকার ৬১টি গলির গোলকধাঁধা। যেখানে ছড়ানো রয়েছে স্বর্ণ, রত্ন, মসলা ও চামড়া বা ঐতিহ্যবাহী পণ্য দিয়ে সাজানো চার হাজার দোকান।
২০২৩ সালে ইস্তানবুল বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভ্রমণার্থী পাওয়া শহরের স্বীকৃতি পায়, যাদের মধ্যে ৪০ লাখ ২০ হাজার বিদেশী। তবে গ্র্যান্ড বাজারের বিশেষ বিশেষ অংশ এখনো শুধু নির্বাচিত ব্যক্তিরাই উপভোগ করতে পারেন। ২০২০ সালে বাজারের ছাদ পর্যটকদের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে, এর আগে শুধু দোকান মালিকরা এটি ব্যবহার করতে পারতেন।
এখন নিবন্ধিত ট্রাভেল এজেন্সি ও গাইডদের মাধ্যমে প্রতিদিন ১০ জনের একটি দর্শনার্থী দল ২০ মিনিটের জন্য ছাদ ভ্রমণে অংশ নিতে পারে। এজন্য পরিচয়পত্র ও পাসপোর্টের তথ্য আগাম জমা দিতে হয়। ২০১২ সালের জেমস বন্ডের সিরিজের ‘স্কাইফল’ সিনেমায় গ্র্যান্ড বাজারের ছাদ দেখানো হয়েছিল। এরপর পর্যটন স্থান হিসেবে ছাদটির জনপ্রিয়তা বেড়ে যায়।
২০১৬ সালে বড় ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে ছাদটি পুনর্নির্মাণ করা হয়। এখানে প্রায় আট লাখ লাল টাইলস ব্যবহার করে হয়েছে। ছাদ থেকে দর্শনার্থীরা নুরু ওসমানিয়া মসজিদ, সুলেমানিয়া মসজিদ ও গালাতা টাওয়ারের মতো ইস্তানবুলের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে পান। সুরক্ষার জন্য চলাফেরার সময় সতর্ক থাকা ও ছবি তোলা নিষেধ।
ছাদ থেকে বসফরাস প্রণালির ওপর ঐতিহাসিক সেতু ও শহরের সাতটি পাহাড়ের অপূর্ব দৃশ্যও উপভোগ করা যায়। গ্র্যান্ড বাজারে কেনাকাটা এর অন্যতম আকর্ষণ; বিশেষত বিয়ের মৌসুমে স্বর্ণের অলংকারে এর সুনাম রয়েছে।