ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএসসি থেকে নামে-বেনামে মোট ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়ে গেছে এস আলম গ্রুপ বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির নতুন চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে নতুন বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বলেন, ‘এস আলম গ্রুপ ঋণের অর্ধেকের বেশি নিয়ে গেছেন। তবে পুরো তথ্য পেতে আরও এক সপ্তাহ সময় লাগবে। গ্রুপটি সম্পদ অতিমূল্যায়ন করে ঋণ বের করে নিছে। ইতোমধ্যে তার সম্পদ নতুন করে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এছাড়া ঋণের বিপরীতে যেসব জামানত রয়েছে তা দিয়ে কাভার হবে না। তাই জামানতের বাইরে যেসব সম্পদ রয়েছে তা বের করার জন্য আইন মন্ত্রণলায়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে। ’
তিনি বলেন, ‘নতুন বোর্ড দায়িত্ব নেওয়ার সময় ২৩০০ কোটি টাকা শর্টে ছিল। তা প্রতিদিন কমে আসছে। আজকে কমে তা দুই হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। আশাকরি এ বছরের মধ্যে তা ইতিবাচক ধারায় ফিরবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অনেক গ্রাহকের এতোদিন টাকা তুলতে যে সমস্যা হয়েছে তা আজকের পর আর হবে না। কারণ গত এক সপ্তাহ যে পরিমাণ জমা হয়েছে তার চেয়ে বের হয়েছে কম। নিট ব্যালেন্স থাকতেছে। ’
এস আলমকে সহযোগিতা করেছে বিভিন্ন কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা নিচের দিকে কর্মকর্তা এখনই সরাতে চাচ্ছি না। কারণ নিচে এখন হিট করলে সব ভেঙে পড়বে। ইতোমধ্যে উপরের কিছু সরানো হচ্ছে। ধীরে ধীরে সব সরানো হবো। আইন অনুযায়ী সবাইকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কেউ ছাড় পাবে না। ভুল প্রক্রিয়ায় কাউকে সরানো হবে না। ’
তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাংকটি ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য একটি রোডম্যাপ করা হয়েছে। তিনটি পর্যায়ে এ রোডম্যাপ করা হয়। প্রথমত নতুন বোর্ডের শুরু থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুঁজে বের করা ও বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া। দ্বিতীয়ত ২০২৫-২৬ সাল দেওয়া হয়েছে ঘুরে দাঁড়ানোর বছর। তৃতীয় ২০২৭-২৮ ও ২৯ সাল এগিয়ে যাওয়ার বছর।’