পড়ালেখা, ভ্রমণ, পেশাগত ও ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে বিদেশ যাত্রার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো সঠিকভাবে কাগজপত্র তৈরি করা। এ কাজে একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মানুষকে সহযোগিতা করে থাকেন। বিশ্বায়নের যুগে এক দেশ থেকে অন্য দেশে যাবার উপলক্ষ ও সুযোগ বেড়ে যাওয়ায় এ পেশার চাহিদাও বেড়েছে।
সাধারণ পদবী: ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট
বিভাগ: কনসালট্যান্সিভিত্তিক পেশা
প্রতিষ্ঠানের ধরন: প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি, ফ্রিল্যান্সিং
পেশার ধরন: ফুল-টাইম, পার্ট-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে অভিজ্ঞতা সীমা: ০ – ২ বছর
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য গড় বেতন সীমা: ৳২০,০০০ – কাজ, প্রতিষ্ঠান ও অভিজ্ঞতাসাপেক্ষ
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়স সীমা: ২৪ বছর – কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
মূল স্কিল: যোগাযোগের দক্ষতা, যথাসম্ভব কম সময়ের মধ্যে তথ্য সংগ্রহ করতে পারা
বিশেষ স্কিল: সময় ব্যবস্থাপনা, ধৈর্যের সাথে কাজের চাপ সামলানো
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ কনসালটেন্সি এজেন্সিগুলো সাধারণত যেকোন বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি চেয়ে থাকে।
বয়সঃ প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষে বয়সের সীমা নির্ধারিত হয়। সাধারণত আপনার বয়স কমপক্ষে ২২-২৪ বছর হতে হবে।
অভিজ্ঞতাঃ এ পেশায় অভিজ্ঞদের প্রাধান্য রয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ১-২ বছরের অভিজ্ঞতা চাকরির প্রধান শর্ত হয়ে থাকে।
বহু মাইগ্রেশন এজেন্সিতে এন্ট্রি লেভেলের চাকরি নিয়ে কাজ শেখার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য। এছাড়া অনলাইন কোর্সও করতে পারেন। তবে চ্যালেঞ্জিং এ পেশায় কাজ করার জন্য প্রচুর তথ্য সংগ্রহ করার দক্ষতা ও কঠোর পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।
বাংলাদেশে ১-২ বছর অভিজ্ঞ কনসালট্যান্টের মাসিক আয় ৳১৮,০০০ – ৳২২,০০০ হাজার হয়ে থাকে। তবে কাজের অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতনও বেড়ে যায়।
একজন ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্টের ক্যারিয়ার সুনির্দিষ্ট নয়। কোন এজেন্সিতে কয়েক বছরের কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে সে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পদে উন্নীত হতে পারেন। অন্যদিকে ফ্রিল্যান্স কনসালট্যান্ট হিসাবেও কাজ করার সুযোগ রয়েছে আপনার জন্য।