শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২৩ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

ইন্দোনেশিয়ার ভিসা

  • আপডেট সময় শনিবার, ২৬ জুন, ২০২১

ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দ্বীপ রাষ্ট্র। প্রায় ৫,০০০ দ্বীপের সমন্বয়ে গঠিত এই দেশটি পৃথিবীর বৃহত্তম মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্র। সুমাত্রা, জাভা, সুলাওয়েসি, বোর্নিও ও নিউ গিনি পাঁচটি প্রধান দ্বীপ। বৈচিত্র্যপূর্ণ সৌন্দর্যের দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া পর্যটকদের জন্য একটি আকর্ষণীয় দেশ। আর এই বৈচিত্র্যপূর্ণ সৌন্দর্যের আকর্ষণে ভ্রমণপিয়াসু অনেক ভ্রমণকারী ইন্দোনেশিয়ায় বেড়াতে যান। শুধু ভ্রমণপিয়াসুরাই নয়, ব্যবসায়িক কাজেও প্রতি বছর অনেকে ইন্দোনেশিয়ায় আসেন। কোন বাংলাদেশী নাগরিক ইন্দোনেশিয়ায় ভ্রমণ করতে চাইলে অথবা ব্যবসার কাজে ইন্দোনেশিয়ায় যেতে চাইলে তাকে অবশ্যই ভিসা নিতে হবে। আর এ জন্য বাংলাদেশে  ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে।

অন্তত ছয়মাস মেয়াদী পাসপোর্টে ভিসা ছাড়াও ইন্দোনেশিয়া প্রবেশের জন্য যে কাগজপত্রগুলো প্রয়োজন হবে:

  • ভ্রমণকারী নিজ দেশে বা যে দেশ থেকে এসেছেন সে দিশে ফিরে যাবেন এই মর্মে অঙ্গীকারনামা,
  • ফিরতি বিমান টিকেট,
  • ভ্রমণকারী ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের পর নিজ দেশ ছাড়া অন্য কোন দেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে সে দেশের ভিসাও ইন্দোনেশিয়া ভ্রমণের সময় দেখাতে হবে,
  • ইন্দোনেশিয়া অবস্থানের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে।

ভিসা ও অন্যান্য কাগজপত্র থাকার পরও ইন্দোনেশিয়া প্রবেশে বাধা দেয়ার এখতিয়ার রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের। বিমানবন্দরে স্পন্সর লেটার, হোটেল কনফার্মেশন, ভিসা রসিদ এসবও দেখতে চাওয়া হতে পারে। তাই এসব সাথে রাখাই ভালো।

ভিসা আবেদন যেভাবে করবেন

অনলাইনে ভিসা আবেদন করতে হয়। ওয়েবসাইটে গিয়ে ভিসা ফরম পূরণ করতে হবে। অনলাইনে ফরম পূরণের পর সেটার প্রিন্ট-আউট নিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ জমা দিতে হবে। অন্তত দুই সপ্তাহ হাতে নিয়ে ভিসা আবেদন জমা দেয়া উচিত।

ভিসা আবেদনের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

  • অনলাইনে পূরণকৃত ভিসা আবেদনের প্রিন্ট-কপি (এক কপি),
  • লাল পটভূমিতে সাম্প্রতিক তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি,
  • ট্রাভেল এজেন্টের মাধ্যমে ভিসার আবেদন করলে ট্রাভেল এজেন্টকে একটি অথোরাইজেশন লেটার দিতে হবে,

ব্যবসায়িক প্রয়োজন বা সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়া যেতে সংশ্লিষ্ট দেশ থেকে ঢাকাস্থ ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসে আমন্ত্রণপত্র পাঠাতে হবে। সিঙ্গেল এন্ট্রি, লিমিটেড স্টে বা মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা যাই হোক না কেন আমন্ত্রণপত্র প্রয়োজন হবে। আমন্ত্রণপত্র পাঠানোর ফ্যাক্স নম্বর: .(880-2) 8825391 অথবা 8810993

সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ছয় মাস থাকতে হবে। লিমিটেড স্টে এন্ট্রি ভিসা এবং মাল্টিপল বিজনেস এন্ট্রি ভিসার ক্ষেত্রে পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ১৮ মাস হতে হবে।

  • আবেদনকারীর পাসপোর্টের ফটোকপি,
  • কোম্পানির ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি,
  • ব্যাংক স্টেটমেন্টের ফটোকপি (ভিসার জন্য আবেদন করার দিন থেকে তিন মাস পূর্ব পর্যন্ত)
  • হোটেল বুকিং এর ফটোকপি (শুধুমাত্র টুরিস্ট ভিসার জন্য)
  • আবেদনকারীর ফিরতি টিকিটের ফটোকপি অথবা অন্য দেশে যাবার টিকিটের কপি,
  • ইন্দোনেশিয়ার ইমিগ্রেশনের ক্লিয়ারেন্সের প্রমাণপত্র (সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে সিঙ্গেল এন্ট্রি, লিমিটেড স্টে এবং মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসার জন্য)
  • ভিসার আবেদনপত্র জমা দেয়ার সময় সব কাগজপত্রের মূলকপি সঙ্গে আনতে হবে।

অতিরিক্ত অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের জন্য নির্দিষ্ট দপ্তরের রেফারেন্স অথবা সুপারিশপত্র প্রয়োজন হবে:

  • শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি ইত্যাদি ক্ষেত্রে গবেষণা, ধর্মীর কর্মকাণ্ড বা দাপ্তরিক উদ্দেশ্যে ইন্দোনেশিয়া যেতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের রেফারেন্স অথবা সুপারিশপত্রের কপি জমা দিতে হবে।
  • ইয়োলো ফিভারের প্রকোপ রয়েছে এমন এলাকা থেকে ইন্দোনেশিয়া গেলে বা সাম্প্রতিক সময়ে এমন এলাকায় গিয়ে থাকলে ইয়োলো ফিভারের প্রতিষেধক (Yellow Fever Vaccination) নেয়ার ইন্টারন্যাশনাল সার্টিফিকেট ভিসার আবেদনপত্রের সাথে জমা দিতে হবে।
  • এয়ারলাইন অফিসের তরফে রেফারেন্স অথবা সুপারিশপত্র (শুধুমাত্র প্যাকেজ ট্যুরের জন্য)

ভিসা ফি:

 

বিভিন্ন প্রকার ভিসা

ভিসার চার্জ

ডলার ($)

টাকা (৳)

সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা (টুরিস্ট, বিজনেস এবং সোশ্যাল)

US$ 50

৪২৫০/-

লিমিটেড স্টে এন্ট্রি ভিসা (৬ মাস)

US$ 55

৪৬১০/-

লিমিটেড স্টে এন্ট্রি ভিসা (১ বছর)

US$ 105

৮৯৩০/-

লিমিটেড স্টে এন্ট্রি ভিসা (২বছর)

US$ 108

১৫৩০০/-

মাল্টিপল বিজনেস এন্ট্রি ভিসা

US$ 100

৮৫০০/-

লিগালাইজেশন অফ ডকুমেন্টস

US$ 20

১৭০০/-

ক্লিয়ারেন্স টেলেক্স

US$ 18

৫০০/-

** মার্চ ২০১৫ এর তথ্য

* ভিসা জন্য আবেদন করার সময়:  সকাল ৯:৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১২:৩০ মিনিট পর্যন্ত।
* ভিসা সংগ্রহ করার সময়:  সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
* ভিসার কার্যক্রম রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলে। শুক্রবার ও শনিবার বন্ধ থাকে।

ভিসা প্রসেসিং এর সময়:

সাধারণত চার কর্মদিবসের মধ্য ভিসা প্রসেসিং এর কাজ শেষ হয়ে যায় (জমা দেয়ার দিন বাদে)। ভিসা হয়ে গেলে আবেদনকারীকে ফোনে জানানো হয়। তবে কিছু কিছু আবেদনে ইন্দোনেশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সাধারণত তিন সপ্তাহের মধ্যেই কাজটি হয়ে যায় এবং এক্ষেত্রেও ভিসা হয়ে গেলে আবেদনকারীকে ফোনে জানিয়ে দেয়া হয়।

ভিসা সংক্রান্ত  আরও তথ্যের জন্য, pk@jakarta-dhaka.com এই ঠিকানায় ই-মেইল করা যেতে পারে। আর ঢাকায় ইন্দোনেশিয়া দূতাবাসের ওয়েবসাইটেও (www.indonesia-dhaka.org ) ভিসা সংক্রান্ত তথ্য পাওয়া যাবে।

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com