একজন ইন্টেরিয়র ডিজাইনার কোন বাড়ি বা প্রতিষ্ঠানের অন্দরসজ্জা ডিজাইন করেন। একটি ভবনের লাইটিং থেকে শুরু করে খোলা জায়গার সৌন্দর্য বাড়ানোতে আপনি ভূমিকা রাখতে পারবেন এ পেশার মাধ্যমে।
সাধারণ পদবী:ইন্টেরিয়র ডিজাইনার
বিভাগ: ক্রিয়েটিভ ক্যারিয়ার
প্রতিষ্ঠানের ধরন:বেসরকারি, প্রাইভেট ফার্ম/কোম্পানি
ক্যারিয়ারের ধরন: ফুল-টাইম
লেভেল: এন্ট্রি, মিড
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য অভিজ্ঞতা সীমা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য আয়: ৳২০,০০০ – ৳৬০,০০০/মাস
এন্ট্রি লেভেলে সম্ভাব্য বয়সসীমা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানসাপেক্ষ
মূল স্কিল: সৃজনশীলতা, ডিজাইন সফটওয়্যারে পারদর্শিতা
বিশেষ স্কিল: খুঁটিনাটি সম্পর্কে সচেতনতা, সমস্যা সমাধানের দক্ষতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা: সাধারণত ইন্টেরিয়র ডিজাইন কিংবা আর্কিটেকচারে ডিপ্লোমা, ব্যাচেলর বা মাস্টার্স ডিগ্রি থাকা প্রয়োজন।
অভিজ্ঞতা: কাজ ও প্রতিষ্ঠানভেদে আলাদা হয়। তবে বড় প্রজেক্টে কাজ করার জন্য ২-৩ বছরের অভিজ্ঞতা থাকা দরকার।
টেকনিক্যাল জ্ঞান ও দক্ষতার মধ্যে রয়েছে –
নন-টেকনিক্যাল জ্ঞানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো –
বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টেরিয়র ডিজাইন শেখানোর বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এগুলোতে শর্ট ও লং কোর্সে ভর্তি হয়ে একজন শিক্ষার্থী এ বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা লাভ করতে পারেন। কোর্সগুলোর মেয়াদ সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বছর পর্যন্ত হতে পারে। এ ধরনের কিছু প্রতিষ্ঠান হলো:
এক বছর থেকে দুই বছর ও ছয় মাস মেয়াদি এসব কোর্সে খরচ পড়বে ৪০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা।
উল্লেখ্য যে, আর্কিটেকচারে পড়াশোনা করেও এ পেশায় খুব সহজে কাজ করা সম্ভব।
সৃজনশীলতা ও দক্ষতা থাকলে এ পেশায় ভালো আয় সম্ভব। চাকরিজীবনের শুরুতে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা মাসিক আয় হতে পারে। কাজের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আয় বাড়তে থাকবে। এছাড়া অনলাইন মার্কেটপ্লেসে বা চুক্তিভিত্তিক কাজ করেও ভালো উপার্জন করা সম্ভব।
সাধারণত অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিজাইনার হিসাবে কোন আর্কিটেকচার ফার্মে বা রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে আপনার চাকরি শুরু হবে। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে ম্যানেজারিয়াল কোন পদে উন্নীত হতে পারেন। সর্বোচ্চ পর্যায়ে একটি প্রতিষ্ঠানের ইন্টেরিয়র ডিজাইনের প্রধান হিসাবে যোগদান করা সম্ভব। তবে বহু ইন্টেরিয়র ডিজাইনার নিজেদের ফার্ম খুলে স্বাধীনভাবে কনসাল্টেন্সি করাকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।