ইউরোপের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও শিল্প-সংস্কৃতির এক অনন্য তীর্থভূমি ইতালি। রোম শহর ঘিরে গড়ে উঠেছে দেশটির জনপদ। প্রাচীন রোম ছিলো শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে। প্রাচীন সভ্যতা ও আধুনিকতার পাশাপাশি মনোরম সমুদ্র সৈকত, আলপাইন লেক, আল্পস পর্বতমালার সমন্বয়ে গঠিত ইতালি এককথায় মনোমুগ্ধকর। ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে এই দেশ অন্যতম আকর্ষণীয়।
ফ্লোরেন্স নগরী থেকে ইতালির নবজাগরণ শুরু হয়েছিলো। এই শহরে অসংখ্য অভিজাত ভবন রয়েছে। উফিজি গ্যালারিতে গেলে ইতালির চারুকলা সম্পর্কে জানা যাবে। সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার জন্য পিয়াজ্জেল মাইকেল্যাংগেলোতে পর্যটকরা এসে থাকেন।
ছবির মতো শহর তুস্কানি। মনোমুগ্ধকর ও বৈচিত্র্যময় শহরের অন্যতম। অ্যাডভেঞ্চারপ্রিয় মানুষ এই শহরে ভ্রমণ করে থাকেন। তুস্কানি শহর ইতালির একটি বড় শহর। ফ্লোরেন্স থেকে অল্প কিছু সময়ের দুরত্ব হওয়ার কারণে ফ্লোরেন্স ও তুস্কানি শহরে একসঙ্গে ভ্রমণ করে থাকেন পর্যটকরা।
পাহাড়ে ঘেরা শহর সিয়েনা। এটি তুস্কানি শহরের ভেতরেই অবস্থিত। ফ্লোরেন্স নগরীর মতোই মনোরম সিয়েনা। এখানে রয়েছে সিয়েনা ক্যাথেড্রাল নামে একটি গীর্জা। আর আধুনিক জনপ্রিয় পর্যটনসমৃদ্ধ নগরীর নাম মিলান। এই নগরী পর্যটকদের কাছে খুব পছন্দের। ফ্লোরেন্স, ভেনিস, লেক কমো থেকে এখানে আসার ব্যবস্থা রয়েছে। ইতালির ব্যবসায়-বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই মিলান নগরী। মিলান নগরীতে রয়েছে অসংখ্য মনোমুগ্ধকর দর্শনীয় স্থান।
ভেরোনা শহরে শেক্সপীয়রের রোমিও জুলিয়েট নাটক প্রথম মঞ্চস্থ হয়। ইতালির ব্যস্ততম এই শহরে রয়েছে জুলিয়েটের ঘর। পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রে রয়েছে এই শহর। ভেরোনা শহরের প্রাকৃতিক শোভা আর মনোরম দর্শনীয় স্থান পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
ইতালিতে বেড়াতে প্রতিবছর ২ কোটি পর্যটক সমাগম হয়। সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণের জন্য প্রথম শর্ত হলো বৈধ ভিসা। ইতালি ভ্রমণের শেনজেন ভিসা পাওয়া গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত আরও ২৫টি দেশ ঘোরা যায়। তাই ভিসার জন্য আপনার যা যা দরকার-
১. এন্ট্রি ভিসা এপ্লিকেশন ফর্ম
২. বর্তমান সময়ে তোলা দুটো পাসপোর্ট সাইজের ছবি
৩. পাসপোর
৪. রিটার্ন সহ এয়ার টিকেট বুকিং
৫. ব্যাংক স্টেটমেন্ট
৬. সোস্যাল এবং প্রোফেশনাল স্ট্যাটাস এর সাপোর্টিং ডকুমেন্টস
৭. ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা
৮. দুবাই রেসিডেন্সি পারমিট কপি
৯. কাভার লেটার ও ইটিনারি
১০. চাকরির নিয়োগপত্র, এনওসি (যদি প্রয়োজন হয়)
কেউ যদি আগে শেনজেন ভিসা পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এর ফটোকপি জমা দিতে হবে। ভিসার জন্য আবেদনপত্রে উল্লেখ করা সময় থেকে পাসপোর্টের মেয়াদ অন্তত ১৮০ দিন বেশি থাকা চাই। পাসপোর্টে অন্তত দুটি পেজ ফাঁকা থাকতে হবে। ভিসা ফি ৭৪৬০ টাকা। ৬ থেকে ১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে ভিসা ফি ৫২১০ টাকা। সর্বোপরি আবেদনপত্র সঠিক ও যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। তাহলেই ভিসার আবেদন বাতিল হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।