২০২১ সালের ইউরোপিয়ান বেস্ট ডেস্টিনেশন হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে পর্তুগালের ঐতিহাসিক শহর ব্রাগা। ব্রাগাকে স্থানীয়রা পর্তুগালের রোম হিসেবেও বিবেচনা করেন। যদিও এই শহরের উৎপত্তি রোমান শাসনামলের অনেক আগে থেকেই।
১৮৩.৪০ বর্গকিলোমিটারের ছোট এই শহরটি ইউরোপের অন্যতম সুখী শহর হিসেবেও পরিচিত। ঝকঝকে পরিচ্ছন্ন ফুল আর সবুজে ঘেরা ব্রাগার রোমান্টিক শহর হিসেবেও সুনাম রয়েছে। বিশেষ করে গ্রীষ্ম মৌসুমে প্রতিদিনই এমন কিছু আয়োজন থাকে যা যুগলদের ভ্রমণকে স্মৃতিময় করে তোলে। ভোজনরসিকদের জন্যও এই শহরে রয়েছে ছোট ছোট বেশ কয়েকটি রেস্তোরা। যেখানে মিলবে পর্তুগিজ রসনা বিলাসের অপূর্ব স্বাদ।
আইবেরিয়ান পেনিনসুলার ইতিহাস এবং স্থাপত্য শিল্পের এক মনোমুগ্ধকর শহর ব্রাগা। শহর জুড়ে দেখা মিলবে ইউরোপিয়ান ঐতিহ্যের সরু রাস্তা এবং কারুকার্যখচিত শত শত ভবন। যা পর্যটকদের মনে বিস্ময় জাগিয়ে তোলতে সক্ষম।
দ্বাদশ শতাব্দীতে তৈরি ব্রাগা ক্যাথেড্রালে পর্তুগালের সবচেয়ে পুরনো খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ধর্মীয় উৎসব উদযাপিত হয়। তাছাড়া রোমান সভ্যতার স্মৃতি সম্বলিত ও পর্তুগিজ ঐতিহ্যের নিদর্শনের পুরনো ভবন, প্যালেস, থিয়েটার, মিউজিয়াম ভ্রমণকারীরা উপভোগ করতে পারেন। অষ্টাদশ শতাব্দীতে মুসলমানদের বিজয় এবং শেষ দিকে ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের পুনর্দখল এক অনন্য নিদর্শন বহন করছে শহরটি।
বর্তমানে করোনা মহামারীর কাটিয়ে আবারও পর্যটন চালু করার কথা যখন ভাবছে পর্তুগাল সরকার। এ খবরটি নিঃসন্দেহে পর্তুগিজ পর্যটন শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে এখানকার পর্যটন খাতে জড়িত প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয় রোজগারের চাকা আবারও সচল হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ইউরোপিয়ান বেস্ট ডেস্টিনেশন (ইবিডি) হচ্ছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ব্রাসেলস ভিত্তিক স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান ইডিইন প্রোগ্রামের অধীন ওয়েবসাইট। যারা ইউরোপের ইতিহাস ঐতিহ্যকে বিশ্বের ১৯০ টি দেশের নাগরিকদের ভোটের মাধ্যমে সেরা গন্তব্যের তালিকা প্রস্তুত করে থাকে।