ইউরোপের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা ঘুরতে যান বিভিন্ন দেশে। ইউরোপের আইকনিক ল্যান্ডমার্ক, মনোমুগ্ধকর সব শহর ও বৈচিত্র্যময় ল্যান্ডস্কেপ পর্যটকদের বিমোহিত করে।
বিশেষ করে ইউরোপের এমন কয়েকটি দেশ আছে, যেখানে পর্যটকদের আনাগোনা সবচেয়ে বেশি। সেসব দেশে গেলে আপনি যেমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন, আবার জনপ্রিয় সব খারারের স্বাদও গ্রহণ করতে পারবেন।
স্পেনে আছে ৪৭টিরও বেশি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এছাড়া সেখানে গেলে আপনি আটলান্টিক ও ভূমধ্যসাগরীয় উভয় সৈকত দেখতে পাবেন। স্পেনে গেলে টর্টিলা এসপাওলা, পিস্টো, পায়েলাসহ অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিতে ভুলবেন না।
বিশ্বের সবচেয়ে রোমান্টিক দেশ হিসেবে বিবেচিত ফ্রান্স। সেখানকার সংস্কৃতি, ওয়াইন, ক্যাফে, ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ ও আকর্ষণীয় ল্যান্ডস্কেপ পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
তুরস্কের ইস্তাম্বুল ভ্রমণকারীদের জন্য একটি স্বপ্নের গন্তব্য। সেখানে গেলে আপনি দেখতে পাবেন বাইজেন্টাইন ও অটোমান স্থাপত্য, মধ্যপ্রাচ্যের খাবার, মনোরম আবহাওয়া ও রাস্তায় অবাধে বিড়াল ও কুকুরের ঘোরাঘুরি।
অস্ট্রিয়াতে অনেকগুলো দুর্গ আছে, যা হ্যাবসবার্গ যুগে স্থাপিত হয়েছিল। বিখ্যাত সব অস্ট্রিয়ান স্থাপত্যগুলো ঘুরে দেখতে বেশ কয়েক দিন বা সপ্তাহও কেটে যেতে পারে।
গ্রেট ব্রিটেন ও উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমসাময়িক রাজ্য চারটি অবিচ্ছেদ্য দেশ নিয়ে গঠিত- ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও উত্তর আয়ারল্যান্ড। ইতিহাসের পরিক্রমায়, এই জাতি ইউরোপ ও বিস্তৃত বিশ্ব উভয় ক্ষেত্রেই একটি উল্লেখযোগ্য ও প্রভাবশালী অবস্থান অধিষ্ঠিত করেছে।
যার নিদর্শন হিসেবে আজও প্রাসাদ, দুর্গ, গির্জা ও বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুগের প্রতিনিধিত্বকারী অন্যান্য স্থাপনা দাঁড়িয়ে আছে। যা প্রতিবছর লাখ লাখ দর্শনার্থীদের আকর্ষিত করছে। এই আকর্ষণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল স্টোনহেঞ্জ, রোমান বাথ ও জর্জিয়ান সিটি অব বাথ।
প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন গ্রিসে। এর সমৃদ্ধ ইতিহাস প্রাচীনকাল থেকেই এটিকে একটি জনপ্রিয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। সেখানকার আইকনিক আকর্ষণগুলোর মধ্যে আছে অ্যাক্রোপলিস।
আরও আছে মেটেওরা মঠ, হেফেস্টাসের মন্দির, ডেলফির ধ্বংসাবশেষ ও এথেন্স, করফু, থেসালোনিকি, সান্তোরিনি ও ক্রিটের মতো সুন্দর সব শহর। সেখানকার সামুদ্রিক খাবার ও পনিরের পদ পর্যটকদের লোভ বাড়িয়ে দেয়।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া