আমাদের উদ্দেশ্য ছিল রাতের খাবার ওখানে খাব। এর জন্য যা যা প্রয়োজন, সব নিয়ে নিলাম। রাত ১০টায় আমরা পৌঁছে গেলাম বিনায়দা। ওখানে আমাদের পরিচিত এক চাচা ছিলেন। যিনি ওই জায়গায় ডিউটি করেন। আমরা সবাই ওনার বাসায় উঠলাম। আমাদের ইচ্ছা, রাতের সৈকত এবং সূর্যোদয় দেখব।
জনি ও মামুন ভাইয়ের রান্না করা রাতের সুস্বাদু খাবার শেষ করে সবাই সৈকতে নামলাম। তখন রাত দুইটা বাজে। আমরা যে বাসায় উঠছি, সেটা একদম সৈকতের পাশাপাশি ছিল।
নামাজ শেষ হতে না হতে দেখা গেল, দিনের আলোয় আলোকিত হতে যাচ্ছে চারপাশ। কিছুক্ষণ পর সূর্য উঠবে। আমরা সবাই নেমে পড়লাম সমুদ্রে। আমাদের জন্য সমুদ্রের কূলে একটা নৌকা রাখা ছিল। ওটা নামিয়ে দিলাম সাগরে। এবার কেউ সাঁতার কাটছেন, কেউ নৌকা চালাচ্ছেন আবার কেউবা ছবি তুলছেন। সবাই নামলেও আমাদের মধ্যে থাকা রুবেল ভাই পানিতে নামেননি। উনি সাঁতার জানেন না, তাই ভয় পাচ্ছেন। সে জন্য উনি ভিডিও নিয়ে ব্যস্ত। সূর্যোদয়ের এই মনোরম দৃশ্যটা উনি ক্যামেরাবন্দী করে রাখলেন।
লেখক: জিসান মাহমুদ, কুয়েত