রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন

আমাজন বন

  • আপডেট সময় শনিবার, ১১ নভেম্বর, ২০২৩

দক্ষিণ আমেরিকায় অবস্থিত আমাজন বন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বনাঞ্চল। আমাজন নদীই আমাজন বনের জীবনীশক্তি। মহাবন আমাজন ৯ টি দেশের প্রায় ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। আয়তনের দিক থেকে আমাজন বাংলাদেশের তুলনায় ৩৮ গুণ বড়। সমগ্র পৃথিবীতে যত রেইনফরেস্ট আছে তার অর্ধেকই হল আমাজন। এই বনে ৪০ হাজার প্রজাতির প্রায় ৩ হাজার ৯০০ কোটি বৃক্ষ রয়েছে। পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০ শতাংশ উৎপাদিত হয় আমাজন বনে। সে কারনে একে পৃথিবীর ফুসফুস বলা হয়। পৃথিবীর প্রাকৃতিক সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম আমাজন বন সম্পর্কে জানব শুকতারা Tv র এই পর্বে।

আমাজন বন (সংক্ষেপে পরিচিতি) – Amazon Rainforest
ধরণ (Type) আমাজন চিরহরিৎ বন (অরন্য)
অবস্থান (Location) আমাজন বনাঞ্চাল, মানাউস, ব্রাজিল
অংশ (Region) দক্ষিণ আমেরিকা
নদী (River) আমাজন নদী
ক্ষেত্র (Area) ৫৫,০০,০০০ বর্গকিলোমিটার (২১,২৩,৫৬২ বর্গমাইল)
দেশসমূহ (Countries) ব্রাজিল, পেরু, কলম্বিয়া, ভেনেজুয়েলা, ইকুয়েডর, বলিভিয়া, গায়ানা, সুরিনাম, ফ্রান্স (ফরাসি গায়ানা)
বার্ষিক বৃষ্টিপাত (Annual Rainfall) ১৭৫ সেমি (৬৯ ইঞ্চি) থেকে ২০০ সেমি (৭৯ ইঞ্চি) পর্যন্ত

আমাজন বনের সৃষ্টি :-

আমাজন বনের সৃষ্টি হয়েছিল প্রায় ৫ কোটি বছর আগের ইওসিন যুগে। সেসময় আমাজন বেসিনে উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ুর আবির্ভাবের ফলে আমাজন বনের উদয় ঘটে। অ্যামাজন জাঙ্গল দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় বেশিরভাগ অংশ জুড়ে বিস্তৃত। এ বনের মোট ৭০ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৫৫ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার এলাকা আর্দ্র জলবায়ু দ্বারা প্রভাবিত। আমাজন বন এতটাই বড় যে, এটি আয়তনে ভারতের ৫ গুন এবং বাংলাদেশের ৩৮ গুণ। আমাদের সুন্দরবন যেমন ভারত ও বাংলাদেশ দুটি দেশের মধ্যে অবস্থিত।

আমাজন বন কোন দেশে অবস্থিত?

আমাজন তেমনিভাবে ৯টি দেশের মধ্যে অবস্থিত। এই ৯ টি দেশের মধ্যে আমাজন বনের ৬০ শতাংশ অঞ্চল শুধুমাত্র ব্রাজিলেই অবস্থিত। বাকি অংশের ১৩ শতাংশ পেরুতে, ১০ শতাংশ কলোম্বিয়ায় অবস্থিত। এবং অন্যান্য ১৭ শতাংশ বনাঞ্চল বাকি ৬ টি দেশ বলিভিয়া, ইকুয়েডর, ভেনিজুয়েলা, গায়ানা, সুরিনাম এবং ফ্রেঞ্চ গায়ানায় অবস্থিত।

আমাজন বনের জীব-বৈচিত্র্য :-

আকারের বিশালতার মতই আমাজনের প্রাণী ও উদ্ভিদকুলের মাঝেও রয়েছে অবিশ্বাস্য বৈচিত্র। জীব-বৈচিত্রে সমৃদ্ধ আমাজন বনে আছে প্রায় ৪০ হাজার জাতের গাছ, ১ হাজার ৩শ জাতের পাখি, ২ হাজার ২শ জাতের মাছ, ৪২৭ জাতের স্তন্যপায়ী, ৩৭৮ জাতের সরীসৃপ, ৪২৮ জাতের উভচর প্রাণী এবং ২৫ লক্ষ জাতের পোকামাকড়। অনিন্দ্য সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিপজ্জনক অনেক প্রানীই আমাজন জঙ্গলে বাস করে। চিতাবাঘ, বৈদ্যুতিক ইল, মাংস-খেকো পিরানহা, বিষাক্ত ডার্ট ফ্রগসহ অসংখ্য বিষাক্ত জাতের সাপ রয়েছে আমাজন বনে।

আমাজনের নদনদী :- 

আমাজন বনের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত নদীটিও আমাজন নদী হিসেবে পরিচিত। পেরুর আন্দিজ পর্বতের নেভাদো মিস্মি নামক চূড়া হতে এ নদীর উৎপত্তি। এটি পৃথিবীর দ্বিতীয় দীর্ঘতম নদী। এই নদী বিশ্বের যেকোন নদীর তুলনায় বেশি পরিমাণ জল ধারণ করে। প্রায় ১ হাজার উপনদী মিলিত হয়ে আমাজন নদী গঠিত। এসব উপনদীগুলোই বনের জীবনীশক্তি। প্রধান কয়েকটি উপনদীর মধ্যে ১৭ টি নদীর দৈর্ঘ্য ১০০০ মাইলেরও বেশি। বনের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত আমাজন নদী এই বনের বিস্তৃতির পেছনে গুরুত্বপূর্ণ।

এসব উপনদী বিশাল জঙ্গলের মধ্যে যাতায়াতের জন্য সবচেয়ে কার্যকরী পথ হিসেবেও কাজ করে। আমাজন নদী দক্ষিণ আমেরিকার প্রায় ৩০০০ মাইল পাড়ি দিয়ে পাঁচটি দেশ বিধৌত হয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে গিয়ে পড়েছে। এ নদী মোট বৈশ্বিক জলের প্রায় ২০ ভাগ জল সমুদ্রে বহন করে। আমাজন নদী যেখানে সাগরে গিয়ে মিশেছে সেখানে প্রতি সেকেন্ডে ৪২ লক্ষ ঘন ফুট জল সাগরে পতিত হয়। বর্ষা মৌসুমে এই পরিমাণ গিয়ে দাঁড়ায় প্রায় ৭০ লক্ষ ঘন ফুটে। আমাজনের বেসিন হল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জল নিষ্কাষন বেসিন যা প্রায় ৭০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। শুধুমাত্র ব্রাজিলে অবস্থিত বেসিনটিই অন্য যে কোন বেসিনের তুলনায় বড়।

আমাজন রহস্য :-

ব্রাজিলিয়ান আমাজনের বুকে বেশ কিছু বৃত্তাকার নকশা দেখতে পাওয়া যায়। নকশাগুলো আজ পর্যন্ত রহস্যে ঘেরা এবং নৃতাত্ত্বিকগণ এই ধাঁধার উত্তরের সন্ধান করে চলেছেন। ধারণা করা হয়, নকশাকৃত অংশগুলো সমাধি অথবা সুরক্ষা ক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহৃত হত। প্রচলিত মতে, প্রাচীন অ্যামাজোনিয়ানরা এই নকশার শিল্পী ছিলেন। তবে এই নকশা আঁকার জন্য ব্যবহৃত হতে পারে তেমন কোন যন্ত্রপাতির তথ্য গবেষণা করেও পাওয়া যায়নি। প্রাপ্ত আলামত থেকে চিহ্ণিত করা যায় যে, এসব স্থাপনা ১২শ থেকে ১৫শ বছর আগে তৈরী করা হয়েছিল।

আমাজনের আরেকটি রহস্যময় বিষয় হল এর মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া এক ফুটন্ত নদী। আক্ষরিক অর্থেই এ নদীর জল অত্যন্ত উষ্ণ। এ নদীর জলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৯৩ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হতে পারে। বিজ্ঞানীরা এখনও নদীর জল উত্তপ্ত হবার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে পারেনি। স্থানীয়রা মনে করে এটি এক বিশেষ প্রাকৃতিক শক্তি। ফলে তারা কখনই এ নদীতে সাতার কাটে না। আমাজনের বিভিন্ন অতিকায় প্রজাতির উদ্ভিদের মধ্যে রয়েছে ভিক্টোরিয়া অ্যামাজনিয়া নামের এক প্রকার জলপদ্ম। ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়ার নামে এর নামকরণ করা হয়েছে। পদ্মপাতাগুলো আয়তনে প্রায় ৩ মিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। এসব পাতা একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের ভার বহন করার মত শক্ত সমর্থ।

আমাজনের বনভূমি ধ্বংসের কারণ ও ফলাফল :-

আমাজনের বৃক্ষরাজি পৃথিবীর মোট অক্সিজেনের ২০% তৈরিতে ভূমিকা পালন করে এবং সেই সাথে বাতাস থেকে বিপুল পরিমাণ কার্বনডাই অক্সাইড গ্রহণ করে। সে কারণে আমাজন পৃথিবীর ফুসফুস হিসেবে পরিচিত। কিন্তু দুখের বিষয় হল সারা বিশ্বের মতই আমাজনেও অবাধে চলছে বৃক্ষ নিধন। বনের গাছ কেটে বসতি স্থাপনের কারণেই প্রধানত আমাজনের বনভূমি হ্রাস পাচ্ছে। ১৯৬০ সালের আগে আমাজনের ভিতরে প্রবেশ নিষিদ্ধ ছিল। সে সময় শুধুমাত্র প্রাচীন পদ্ধতি প্রয়োগ করে আমাজনের জমিতে চাষ করা হত। কিন্তু আমাজনের জমিগুলো বছরের অল্প সময়ের জন্য উর্বর থাকে। সে কারণে চাষিরা সবসময় নতুন জমির খোঁজে বন উজাড় করতে শুরু করে।

১৯৭০ সালে শুরু হয় ট্রান্স-অ্যামাজোনিয়ান হাইওয়ে নির্মাণের কাজ। সৌভাগ্যবশত আমাজনের জন্য হুমকি স্বরূপ এই হাইওয়ের কাজ বন্ধ হয়ে যায়। তারপরও ১৯৯০ সালের মধ্যে আমজনের ৪ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকার বনভূমি ধ্বংস করা হয়। ২০০০ সালে আমাজনের উজাড়কৃত বনভূমির পরিমাণ দাঁড়ায় ৫ লক্ষ ৮৭ হাজার বর্গকিলোমিটারে। অপরিকল্পিত বন নিধনের কারণে পরিবেশ বিজ্ঞানীরা ধারণা করেন আগামী ৫০ বছরের মধ্যে আমাজনের বনাঞ্চল বিলীন হয়ে যেতে পারে। এত দ্রুত আমাজনের বন নিধনের কারনে বিশ্ব উষ্ণায়নেও এর বিরুপ প্রভাব পড়ছে।

আমাজনের জনগোষ্ঠী বা আদিবাসী :-

আমাজন বনের সাথে মানবকুলের সম্পর্কও বেশ পুরনো। আমাজনে বসবাসরত বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী তাদের আবাস গড়ে তুলেছিল নদী ঘেঁষা অঞ্চলগুলোতে। যাতায়াত, মাছ ধরা এবং জমির উর্বরতার ভিত্তিতে তারা বাসস্থান নির্বাচন করত। অতীতে আমাজন বনে যে সকল মানুষের বসবাস ছিল তারা প্রচলিত বিশ্বাস এবং কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে বিভিন্ন সমাজে বিভক্ত ছিল। বর্তমানেও বিভিন্ন জাতের প্রায় ২ কোটি আদিবাসী মানব আমজন বনের ভেতর বাস করে। ১৬শ শতাব্দীতে আমাজনে ইউরোপিয়ানদের আগমনের ফলে অ্যামাজোনিয়ানদের জনসংখ্যা হ্রাস পেতে থাকে। গবেষণায় দেখা যায়, আমাজনের ১১.৮ শতাংশ জায়গা সেখানকার আদিবাসীরা ব্যবহার করেছে। কিন্তু তাদের দ্বারা বনের জীব-বৈচিত্রের তেমন কোন ক্ষতি সাধন হয়নি। অথচ আমাজন অঞ্চলে ইউরোপিয়ানদের আগমনের পর থেকেই বনের জীব-বৈচিত্র ব্যাহত হতে থাকে। বর্তমানে আমাজন বনে প্রায় ৪০০-৫০০ টি আমেরি-ইন্ডিয়ান আদিবাসী জনগোষ্ঠী বাস করে।

ধারণা করা হয়, এদের মধ্যে কমপক্ষে ৫০ টি আদিবাসী গোষ্ঠীর সাথে পৃথিবীর সভ্য সমাজের কোন সম্পর্ক নেই। আমাজন বনের এসব আদিবাসীর মতই আফ্রিকার জঙ্গলেও কিছু আদিবাসি আছে যারা সভ্য পৃথিবীর সাথে কোন যোগাযোগই রাখতে চায় না। কঙ্গোর জঙ্গলে বসবাসরত এমনই এক মানব সম্প্রদায় হল পিগমী। মাত্র ৪ ফুট গড় উচ্চতা এই মানবগোষ্ঠী পৃথিবীর সবচেয়ে খাটো মানব সম্প্রদায় হিসেবেও পরিচিত। সভ্যসমাজের কাছে বন মানুষ হিসেবে পরিচিত জুঙ্গলের সন্তান এই পিগমী মানব।

আমাজন বন সম্পর্কে কিছু অজানা তথ্য :-

আমাজন একটি চমৎকার জায়গা। এই বনে আছে এমন অদ্ভুত সব জিনিস যা হয়ত আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি কি জানেন, বিশ্বের সুমিষ্ট জলের বিশাল উৎস আছে আমাজনে? আমাজন নদীর জলের প্রবাহ বিশ্বের সবচেয়ে বড় অন্য ৮ টি নদীর জলের প্রবাহের সমষ্টির চেয়েও বেশি!

আমাজন রেইন ফরেস্টে আছে মিলিয়নেরও বেশি প্রজাতির জীব-জন্তু। এমন আরও অজানা তথ্য জেনে নেব আজ।

১। নিউইয়র্ক শহরে ১২ বছরে যত জল ব্যবহৃত হয় আমাজন নদীতে তার চেয়েও বেশি জল প্রবাহিত হয় একদিনে। পৃথিবীর তাবৎ পরিচ্ছন্ন জলের ২০ ভাগ বয়ে চলে এই নদীতে।

২। আমাজন এতই বিশাল জীব বৈচিত্রে পরিপূর্ণ বন যে এর একটিমাত্র লতা গুল্মে থাকতে পারে বহু প্রজাতির পিপড়া। এত পিঁপড়া যা হয়ত সমগ্র ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে নেই!

৩। এক আমাজনে আছে ৩০০০ প্রকারের ফল। তবে খাওয়ার যোগ্য ফল আছে মাত্র ২০০ প্রকারের।

৪। আমাজনের নামের পেছনে আছে এক গল্প। স্প্যানিশ এক্সপ্লোরার ফ্রান্সিস্কো অরেল্লানাকে আক্রমণ করেন এক নারী যোদ্ধা। ফ্রান্সিস্কো সেই নারী যোদ্ধার নাম রাখেন আমাজন, গ্রীক পূরাণের আমাজনের নামে। সেখান থেকেই কালক্রমে বন ও নদীর নাম হয় আমাজন।

৫। এই বনে ১০ মিলিয়ন প্রজাতির প্রাণী রয়েছে। এর মধ্যে আছে ৪০,০০০ প্রজাতির গাছ, ১৩০০ প্রজাতির পাখি, ৩০০০ প্রজাতির মাছ, এবং ২.৫ মিলিয়ন ভিন্ন প্রজাতির পোকামাকড়।

৬। একসময় হেনরি ফোর্ড আমাজনে রাবার চাষের উদ্দেশ্যে একটি ওয়ার্ক হাউজ তৈরি করেন। এখন সেই ফোরলান্ডিয়া পরিত্যাক্ত ভুতের বাড়ি হিসেবে পরিচিত।

৭। ৩০০ পাউন্ড ওজনের আরাপাইমাম মাছ বাস করে আমাজনে। এর গায়ের চামড়া বর্মের মত শক্ত যার কারণে সে নিরাপদ থাকে মাংসাশী পিরানহার কামড় থেকে।

৮। সাহারা মরুভূমি থেকে প্রতি বছর ৪০ মিলিয়ন টন বালি উড়ে আসে আমাজনে!

৯। আমাজনে এমন অনেক আদিবাসী গোষ্ঠী আছে বহির্বিশ্বের সাথে যাদের কোন সংযোগ নেই। কিছু বিজ্ঞানী আছেন যারা চান না এদেরকে আবিষ্কার করা হোক।

১০। বলা হয়, আমাজন একটি দৈত্যাকৃতি ফলের বাগান যা বিকশিত হয়েছে ৩০০০ বছর আগে।

১১। আমাজন নদী থেকে এত পরিমাণে সুমিষ্ট জল সমুদ্রে গিয়ে মেশে যে প্রায় ১০০ মাইল পর্যন্ত সমুদ্রের জল কম লবণাক্ত থাকে।

১২। আমাজন নদীর মুখ এতই বিশাল যে তা এর নিকটবর্তী দ্বীপ মাজারিওকে ডুবিয়ে দেয়। মজার বিষয় কি জানেন? মাজারিও এর আকৃতি সুইজারল্যান্ডের সমান।

১৩। পৃথিবীর অক্সিজেনের ২০% আসে আমাজন বন থেকে।

১৪। বিজ্ঞানীরা টেরা পেটা বা কালো মাটির সন্ধান পেয়েছেন যা আমাজনের বেশ বড় অংশকে ঢেকে রেখেছে। তারা মনে করেন এখানে গড়ে ওঠা সভ্যতা এই মাটির উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল।

১৫। আমাজনের নদী একসময় প্রবাহিত হত প্রশান্ত মহাসাগরের দিকে। গতিমূখ বদলে এটি এখন প্রবাহিত হয় আটলান্টিক মহাসগরের দিকে!

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com