দেশটির অর্থনীতি নিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে তালেবানের ক্ষমতা নেওয়ার তিন বছর হলো। এ সময়ে নিরাপত্তা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও অর্থনীতি এখনো গতিশীল হয়নি। তবে তালেবানের যে একেবারেই কোনো সফলতা নেই, তা নয়। ২০২১ সালে তারা ক্ষমতা নেওয়ার পর দেশটিতে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে, যদিও কোনো দেশ এখন পর্যন্ত তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। দেশটির মুদ্রার বিনিময় মূল্য বেড়েছে, দুর্নীতি কমেছে আর কর সংগ্রহ বেড়েছে।
আফগানিস্তানে প্রচুর খনিজ সম্পদ আছে; সেই সঙ্গে আছে কৃষি খাতে উন্নয়নের সম্ভাবনা। তালেবান সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। জাফরান চাষেও সফলতা পাচ্ছে দেশটি। আফগানিস্তানের পশ্চিমাঞ্চলীয় হেরাত প্রদেশে ৫৪ বছর বয়সী আজিজুল্লাহ রেহমাতির জাফরানের ব্যবসা। তাঁর ব্যবসা দিন দিন বড় হচ্ছে। আশা করছেন, তাঁর রেড গোল্ড স্যাফরন কম্পানি এ বছর দ্বিগুণ উৎপাদন করবে।
২০২১ সাল পর্যন্ত রেহমাতি এই দামি মসলা সশস্ত্র বাহিনীর নিরাপত্তা প্রহরায় কারখানা থেকে বিমানবন্দরে আনা-নেওয়া করতেন। কিন্তু এখন আর তার প্রয়োজন হয় না। তিনি ২৭টি দেশে জাফরান রপ্তানি করেন। তিনি বলেন, এখন কোনো সমস্যা নেই।