বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৩:৫০ পূর্বাহ্ন
Uncategorized

আপনি কবে যাচ্ছেন মহাকাশে?

  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০২১

নিজ নিজ কোম্পানির সুপারসনিক রকেটে করে মহাকাশ ঘুরে এসেছেন শীর্ষ কোটিপতি জেফ বেজোস আর ব্রিটিশ ব্যবসায়ী রিচার্ড ব্র্যানসন। গেলো দুই সপ্তাহ উৎসব আমেজেই নিজেদের সাব অরবিটাল রকেটে মহাকাশ ভ্রমণ করে ফিরেছেন এই কোটিপতিরা।
আপনি কবে যাচ্ছেন মহাকাশে?

এখন কোম্পানিগুলো ভাবছে, কীভাবে সাধারণ মানুষের জন্য স্পেস ট্রাভেলের ব্যবস্থা করা যায়। এরইমধ্যে কিছু পরিকল্পনাও নিয়েছে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো। জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন আর রিচার্ড ব্র্যানসনের ভার্জিন গ্যালাক্টিকই নিশ্চিত করতে চায় সাধারণ মানুষের জন্য মহাকাশে ভ্রমণ।

জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিন কোম্পানি তৈরি করেছে ৬০ ফুট লম্বা রকেট, ভার্জিন গ্যালাক্টিক তৈরি করেছে রকেটের শক্তিতে চলা মহাকাশ বিমান। এখন সাবঅরবিটাল স্পেস ট্রিপে সাধারণ মানুষকে নিতে প্রচারণা শুরু করেছে এই দুই কোম্পানি।

২০২১ সালেই হয়তো ব্লু অরিজিনের আরও দুটি ফ্লাইট মহাকাশে যাবে, যাত্রীদের নিয়ে, যারা এরইমধ্যে টিকিটের বুকিং দিয়েছেন। কিন্তু এ কোম্পানির টিকিটের দাম এখনো জানা যায়নি। নিলামে একটি টিকিট বিক্রি হয়েছে ব্লু অরিজিনের, যার দাম ২ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

এদিকে ভার্জিন গ্যালাক্টিক চলতি বছরই আরও একটি টেস্ট ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনার আগে। ২০২২ সাল থেকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করবে ভার্জিন গ্যালাক্টিক। ২ থেকে আড়াই লাখ ডলারে এই স্পেস ফ্লাইটের টিকিট কিনেছেন অন্তত ৬০০ মানুষ। টিকিটের জন্য চলছে বুকিংও।

ইলন মাস্কের কথা তো না বললেই নয়। এই কোটিপতি তো ব্লু অরিজিন আর ভার্জিন গ্যালাক্টিকের চেয়েও শক্তিশালী রকেট তৈরি করেছে। স্পেস এক্সের তৈরি রকেট ক্যাপসুল এতোটাই শক্তিশালী যে, নাসার নভোচারীদের পৃথিবীর কক্ষপথে কয়েকদিন নিয়ে ঘুরতে পারবে এটি। চলতি বছরই প্রথম ট্যুরিজম ফ্লাইট পরিচালনা করবে স্পেস এক্সের মহাকাশযান। প্রতি সিটের জন্য খরচ পড়তে পারে আনুমানিক সাড়ে ৫ লাখ ডলার।

জেফ বেজোসের স্বপ্নটাও ভিন্ন। শুধু কসমিক পর্যটন নয়, ভারী শিল্প আর পরিবেশ দূষণে সহায়ক শিল্প যেমন জ্বালানি আর মাইক্রোচিপ উৎপাদন, পৃথিবী থেকে সরিয়ে ফেলতে চান তিনি। ব্লু অরিজিন নতুন প্রযুক্তি তৈরি করছে। বারবার ব্যবহার করা যায়, এমন অরবিটাল রকেট তৈরি করছে, যেগুলো স্পেসএক্স তৈরি করে ফেলেছে। জেফ বেজোসের ব্লু অরিজিনের তৈরি নিউ শেফার্ড সাব অরবিটাল রকেট এমনভাবেই তৈরি যে এটি চাঁদেও বাণিজ্যিক ফ্লাইট পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি অন্যান্য ডিপ স্পেস প্রকল্পেও কাজ করতে পারবে।

বেজোস বলেছিলেন, একদিন লাখ লাখ মানুষ মহাকাশে থাকবে আর কাজ করবে। রিচার্ড ব্র্যানসনের পরিকল্পনা অবশ্য সীমিত। তিনি শুধু বাণিজ্যিক স্পেস ট্যুরিজম নিয়েই ভাবছেন। ইলন মাস্কের স্পেস এক্স অবশ্য প্রথমবারের মতো মঙ্গলে মানুষ নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে। পাশাপাশি মানুষ কীভাবে মঙ্গলেই স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারে, সে পরিকল্পনাও করছে ইলন মাস্ক।

অর্থের কোনো অভাব নেই এই তিন কোটিপতির, যারা চাইলেই আপনাকে মহাকাশে নিয়ে যেতে পারেন। বাসযোগ্য পৃথিবীর চিন্তা বাদ দিয়ে মহাকাশ আর অন্য গ্রহে স্থায়ী বসতি গড়ার চিন্তা করছেন তারা। কিন্তু পৃথিবীকে বাসযোগ্য করতে নেই তাদের কোনো মাথাব্যাথা কিংবা উদ্যোগ।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবীকে বাসযোগ্য করার চেয়ে তাদের কাছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে মহাকাশে যাওয়াই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই তিন কোটিপতিকে নিয়ে সমালোচনারও শেষ নেই। এক বার্তায় ইলন মাস্ক বলেছিলেন, মঙ্গলের মাটিতে মরতে চান তিনি।

বাংলা পত্রিকা

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর

ভ্রমন সম্পর্কিত সকল নিউজ এবং সব ধরনের তথ্য সবার আগে পেতে, আমাদের সাথে থাকুন এবং আমাদেরকে ফলো করে রাখুন।

© All rights reserved © 2020 cholojaai.net
Theme Customized By ThemesBazar.Com