ঢাকা থেকে থাইএয়ারওয়েজে রওনা দিয়ে যখন ব্যাংকক পৌছালাম, উষ্ণ উত্তাপ আর উত্তেজনায় ভরা এই শহর তখন সবেমাত্র ঘুমের জড়তা কাটিয়ে উঠেছে। ব্যাংকক থেকে আর একটি প্লেনে সোজা ফুকেত। ফুকেতে পা দিয়েই আমার আয়েসি মন বলে উঠলো। রোমানিকতার আর এক নাম দক্ষিন থাইল্যান্ডের এই পাহাড়ি দ্বীপ অঞ্চল। আমরা উঠেছি বুটিক অ্যান্ড স্পা রিসোর্ট। ঢাকা থেকে আমরা আগাম বুকিং দিয়েছিলাম। হোটেলে পৌছানো মাত্র স্বাগত পানীয় হাতে সদর অভ্যর্থনা জানালো।
রিসোর্টে আরামদায়ক রুম, সুন্দর রেস্তোরা, সুইমিং পুল, বিচ এ ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, নতুন জীবন শুরুর উদযাপনের আলো ছড়িয়ে আছে সর্বত্র। অবসরে লোকাল মার্কেটে ঘুরতে খুবই ভাল লাগে। স্থানীয়দের সাথে মিলে যাওয়া যায়। মিষ্টি আনারস, আম, আঙ্গুর আরও হরেক রকম ফল কেটে রাস্তার পাশে বিক্রি হয়।
একটা স্কুটার ভাড়া নিয়ে বেরিয়ে পড়তে পারেন দুজনে। এলোপাতাড়ি ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। সি বিচে স্কুবা ডাইভিং করতে পারেন। সূর্যাস্ত দেখতে হলে যেতে হবে রং হিল। মোট আটটি বিচ আছে ফুকেতে। সমুদ্র এখানকার বৈভব আর সবুজ বনরাজি এর ঐশ^র্য। সমুদ্র যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য কুকেত পারফেক্ট ডেসটিনেশন।
ক্রাবি কো ফি ফি এই অঞ্চলের দুটি বিখ্যাত আইল্যান্ড। ফুকেত থেকে স্পীড বোটে যাওয়া যায়। খুব বেশি সময় লাগে না। কিন্তু লোকের ভিড় এড়িয়ে আরো নিভৃতে যেতে চাইলে যেতে হবে কো লোন কিংবা কো ইয়াও ইয়াই। এখানে পা দেওয়া মাত্র মান হবে এই দ্বীপের মালিক শুধু আপনারা দুজন। এতটাই নির্জন, নিরিবিলি। ফুকেত থেকে স্পিড বোটে সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ১৫ মিনিটে পৌছে গেলাম কো লোন আইল্যান্ডে। ছোট ছোট সুন্দর কটেজ আর সমুদ্র তো দোর গোড়ায়। সাদা মসৃন বালুতে লুটিয়ে পড়তেই সব সুখ। কটেজের সামনে মখমল সবুজ ঘাসের কার্পেট।
রিসোর্টে লাগেজ রেখেই ফ্রেস হয়ে লাঞ্চ করে নিলাম। রোস্তোরাটি বেশ ভাল। থাই ফুড আমার খুবই প্রিয়। জমিয়ে লাঞ্চ সেরে বেরিয়ে পড়লাম। নির্জন এই দ্বীপ সী-বিচে বালুর মধ্যে হাটতে খুব ভাল লাগে। ফুকেত থেকে স্পিড বোটে কো ইয়াও ইয়াই দ্বীপে সময় লাগে ৩০ মিনিট। এখানেও তেমন ভিড় নেই। এখানের কর্নেন্ড রিসোর্টে পুল, স্পা প্রাইভেট বিচ আছে।
আপনার হানিমুন মধুময় করে তুলুন।