চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা চীনের শাংহাইয়ে গত ৫ নভেম্বর শুরু হয়েছে। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত এ মেলা চলতে থাকবে। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং এ মেলা উদ্বোধন করেছেন এবং গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা দ্বিতীয় চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার আয়োজনস্থল-শাংহাই ঘুরে বেড়াবো।
শাংহাই চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম এবং সবচেয়ে সমৃদ্ধ শহর। চীনের অর্থনৈতিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এ শহর। শাংহাইয়ের প্রতীক এর উঁচু উঁচু ভবন, সমৃদ্ধ সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা। শাংহাই চীনের প্রথম শহর যেটি বাইরের দুনিয়ার সাথে প্রথম বাণিজ্যিক যোগাযোগ স্থাপন করেছিল। সেই শাংহাই আজ পূর্ব এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংকিং ও বাণিজ্যিক শহর।
শাংহাই বৈচিত্র্যময়। এখানে ঐতিহ্যবাহী ছোট রাস্তা ও পুরাতন পশ্চিমা স্থাপত্যের নিদর্শন যেমন আছে, তেমনি আছে আধুনিক উঁচু উঁচু ভবন। এখানে আছে চীনা বৈশিষ্ট্যের নানা ধরনের পার্ক। পুরাতন ও নতুনের মিশেলে এ শহর সত্যিই নান্দনিক।
শাংহাইয়ে চারটি মৌসুম আছে। বসন্ত, গ্রীষ্ম, শরত ও শীত। এ শহরে বেড়ানোর সবচেয়ে ভালো সময় বসন্ত ও শরত্কাল। বসন্তকালে শতাধিক ধরনের ফুল ফোটে। উষ্ণ সুর্যালোকে শহরটির প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের শ্রেষ্ঠ সময়। আর শরত্কালে শহরের তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। এ তাপমাত্রা ঘুরে বেড়ানোর জন্য উপযোগী।
শাংহাইয়ে অনেক দর্শনীয় স্থান আছে। এগুলোর বেশিরভাগই শহরের কেন্দ্র এবং ওয়াই থানের দু’তীরে অবস্থিত। ছেং হুয়াং মিয়াও, ইয়ু ইয়ান এবং নান চিন ওয়াকিং স্ট্রিটে একটি গোটা দিন কাটিয়ে দিতে পারেন। আরেকটি দিন ছি পাও পুরানো স্ট্রিট, সু চিয়া হুই ও চিং আন মন্দির ঘুরে দেখতে পারেন। তৃতীয় দিনে বেড়াতে যেতে পারেন সিন থিয়েন ডি শপিং মল, চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রথম সম্মেলনের পুরার্কীর্তি এবং থিয়েন চি ফাংসহ নানা দর্শনীয় স্থানে। হাতে যদি আরও সময় থাকে, তাহলে জাদুঘরে যেতে পারেন; করতে পারেন খানিকটা কেনাকাটা।
এ ছাড়া, শাংহাইয়ের ডিজনিল্যান্ড ও হুয়ানলেকুসহ নানা বিনোদন পার্ক শিশুদের বেড়ানোর শ্রেষ্ঠ জায়গা।