বদলে যেতে শুরু করেছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। আধুনিক ও বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে এই সৈকতের ৫ কিলোমিটার এলাকা। কর্ণফুলী নদীর সাথে সাগরের মিলন স্থলে বিরল এই সৈকতে থাকবে বহুমুখী সুবিধা। দিনে ও রাতে এর রূপ হবে ভিন্ন ভিন্ন। এরইমধ্যে শহররক্ষা বাঁধে এই প্রকল্পের আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা নজর কাড়ছে পর্যটকদের।
কয়দিন আগেও যেখানে ছিল ঝুপড়ি দোকান পাট, বোল্ডার পাথর আর বিবর্ণ সৈকত, এখন সে এলাকা রূপময় হতে শুরু করেছে। অযত্ন অবহেলার ছাপ মুছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের প্রধান বিনোদন এলাকা পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত।
সাগরে সূর্যাস্তের মোহনীয় দৃশ্য দেখতে ভিড় করছেন হাজারো পর্যটক। সন্ধ্যা গড়িয়ে গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে মানুষের ভিড়।
নদী আর সাগর মোহনায় এমন সৈকত খুব কমই আছে। চট্টগ্রামের ঐতিহ্য এই সৈকতকে ঘিরে শুরু হয়েছে পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ। এরই মধ্যে বদলে গেছে অনেকখানি। কর্ণফুলী টানেল, আউটার রিং রোড, মেরিন ড্রাইভ, এক্সপ্রেসওয়েসহ নানা উন্নয়নের সাথে সমন্বয় রেখেই দৃষ্টিনন্দন পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হচ্ছে বলে জানান সিডিএ চেয়ারম্যান আব্দুচ ছালাম।
পরিকল্পনা অনুযায়ী পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত হবে বিশ্বমানের আধুনিক সুযোগ-সুবিধার পর্যটন কেন্দ্র। প্রায় এক হাজার প্রাইভেট কার ও ২শ’ বাস রাখার ব্যবস্থা থাকবে। শহর রক্ষা বাঁধ থেকে সাগর পর্যন্ত তিনটি ধাপে বসার এবং বিনোদনের জন্য থাকবে নানান আনন্দ আয়োজন। নির্দিষ্ট দূরত্বে সিঁড়ি থাকবে সাগরে নামার। সব বয়সী মানুষের বিনোদনের জন্য থাকবে বিভিন্ন ধরনের রাইড, লাইট হাউস, ক্যাবল কার, টয় ট্রেন, জেটি, ফুড কোর্ট, ফুটওভার ব্রিজ। থাকবে থিম পার্ক, ওয়াটার রাইড ফেরি’স হুইল, কনভেনশন হল, শপিং মল এবং পাঁচ তারকা মানের হোটেল। পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও হবে আধুনিক মানের।
সিডিএ নিজস্ব অর্থায়নে শহর রক্ষা বাঁধে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করছে। যাতে রাতেও অপরূপ হয়ে উঠছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত। পুরো পরিকল্পনা বাস্তায়ন হলে পতেঙ্গা হবে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র।